কলকাতা, 14 অগস্ট: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের দ্বারভাঙা বিল্ডিংয়ে কোনওরকম রাজনৈতিক কার্যকলাপ করা যাবে না ৷ বুধবার এই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ৷
আদালতের নির্দেশ
বিশ্ববিদ্যালয়কে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে কোনওভাবে ক্যাম্পাসের মধ্যে বহিরাগতরা ঢুকতে না পারে ৷ কোনও রাজনৈতিক কার্যক্রমও যাতে না হয়, সেই বিষয়টিও দেখতে হবে ৷ পুলিশকে নজর রাখতে হবে ক্যাম্পাসের বাইরে ৷ সেক্ষেত্রে বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী রাখতে হবে এলাকায় ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী, আধিকারিক বা পড়ুয়ারা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। প্রবেশ এবং বাহির পথ যাতে কোনওভাবে বিক্ষোভ বা সভার জন্য বন্ধ না হয়ে যায়, তাও দেখতে হবে পুলিশকে ৷ এমনই একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপাল বিরোধের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন । তারই মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য শান্তা দত্তকে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ তিনি রাজ্যপালের দ্বারা মনোনীত হয়েছেন ।
অগস্টের প্রথম সপ্তাহে সিন্ডিকেট বৈঠক চলাকালীন রাজনৈতিক দলের মাথা, তথা বহিরাগতরা বাইরে থেকে গেটে তালা লাগিয়ে দেয় ৷ পুলিশ রাতে তাঁদের উদ্ধার করে ৷ এমন নানা ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন জানিয়ে কয়েকজন সিন্ডিকেট সদস্য ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন ৷ সেই মামলাতেই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
এদিকে উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ অমান্য করে সিন্ডিকেট বৈঠক করছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য শান্তা দত্ত, অভিযোগ করে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ৷ গত 2 অগস্ট তাঁকে প্রায় 10 ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয় ৷ পরে অবশ্য তাঁকে মুক্ত করে পুলিশ ৷ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও ছাত্রদের সমর্থন করে জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানলে শান্তা দত্তের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকারই কথা নয় ৷ তিনি এখনও সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও উপাচার্য পালটা জানিয়েছেন, তিনি আচার্য তথা রাজ্যপালের নির্দেশে এই পদে রয়েছেন ৷