ETV Bharat / state

প্রিন্সিপালের গেস্ট হাউসে চিত্ত বিনোদনের আসর! প্রশ্ন তুলে প্রিন্সিপাল ঘেরাও বর্ধমানে - Burdwan Medical College Corruption

Burdwan Medical College: ডিন ও এমএসভিসি একই ব্যক্তি ৷ তাঁর পদত্যাগ চেয়ে প্রিন্সিপালকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 11, 2024, 10:59 PM IST

Burdwan Medical College
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ (ইটিভি ভারত)

বর্ধমান, 11 সেপ্টেম্বর: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের গেস্ট হাউসে চলত অনৈতিক কাজকর্ম ৷ অথচ ডিন অফ অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্বে আছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি (Medical Superintendent cum Vice Principal) ডাঃ তাপস ঘোষ ৷ দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি দায় এড়িয়ে যেতে চাইছেন ৷ তাই বুধবার তাঁকে ডিন পদ থেকে অপসারণের দাবি-সহ একাধিক দাবিতে প্রিন্সিপালের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ (ইটিভি ভারত)

জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, দিনের পর দিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচার, তোলাবাজি, পাশ-ফেল করানো, ক্যান্টিন দুর্নীতি চলছিল ৷ সেখানে নেতৃত্ব দিতেন সন্দীপ ঘোষের মূল পাণ্ডা অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসেরা ৷ এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছুই জানে না বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে ৷ অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষের হাত না থাকলে এইভাবে দীর্ঘদিন দুর্নীতি করা সম্ভব নয় ৷ শুধু তাই নয়, প্রিন্সিপালের গেস্ট হাউস দখল করে সেখানে বিনোদনের আসর বসত বলেও অভিযোগ ৷ কিন্তু এত কিছুর পরেও ডিন অফ অ্যাফেয়ার্স ডাঃ তাপস ঘোষ কিছুই জানেন বলে দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না ৷

বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসক মহম্মদ রিজওয়ান বলেন, "আমাদের কলেজে সিন্ডিকেট বা থ্রেট কালচারের ধারক ও বাহক অভীক দে এবং তাঁর অনুগত ছাত্র-ছাত্রীরা ৷ আমরা খবরাখবর নিয়ে জানতে পেরেছি কলেজ কর্তৃপক্ষের কয়েকজনের মদত ছাড়া এই ধরনের ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না ৷"

আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অভিযোগ, এছাড়া পরীক্ষার নম্বর নিয়ে দুর্নীতিও হয়েছে ৷ অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং-এর উপরের তলায় যে গেস্ট হাউস আছে, সেই ঘরটিকে ব্যক্তিগত কাজে লাগানো হত ৷ সেখানে চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করা হত ৷ এই খবর কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল না, এটা মেনে নিতে পারছেন না কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ৷

বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসক মহম্মদ রিজওয়ান বলেন, "গত সোমবার কলেজ কাউন্সিল মিটিংয়ে যখন এমএসভিপি এবং ডিন পদে যিনি আছেন সেই ডাঃ তাপস ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হয় ৷ তখন তিনি জানান হাসপাতাল সংক্রান্ত তথ্য ছাড়া তাঁর অন্য কিছু জানা নেই ৷ অথচ তিনি ডিন অফ স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স পদে আছেন ৷ তাহলে এই পদে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এইসব অসাধু কাজকর্ম এই গেস্ট হাউসে হয়, সেই উত্তর তাঁকেই দিতে হবে ৷ আমরা একজন সুদক্ষ ডিনকে অভিভাবক হিসেবে চাই ৷"

বিক্ষোভকারী চিকিৎসক আরও বলেন, "দুর্নীতির আঁতুড়ঘর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ । কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে এই কাজকর্ম চলছে ৷ প্রিন্সিপালের গেস্ট হাউস ব্যবহার করে নিজেদের চিত্ত বিনোদন চালাচ্ছিল ৷ কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সুচতুরভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন ৷ এই বিল্ডিং ডিন অফ অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্বে আছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তথা এমএসভিপি ডাঃ তাপস ঘোষ ৷ অথচ তিনি এই দায় না নিয়ে প্রিন্সিপালের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন ৷ এখন কে কার ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে, সেটা তাদের ব্যাপার ৷ তাই আমরা অভিযোগ জানাচ্ছি কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে এই কাজকর্ম হয়েছে ৷ তাই আমরা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ঘুঘুর বাসা ভাঙার অভিযান শুরু করছি ৷ পাশাপাশি একই ব্যক্তির একাধিক পদ যেন না থাকে সেই মর্মে অ্যাফেয়ার্স অফ ডিন পদ থেকে ডাঃ তাপস ঘোষের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি ৷"

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডাঃ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ছাত্রছাত্রীদের একাধিক দাবি জানিয়েছে ৷ ডাঃ তাপস ঘোষ আগে ডিন ছিলেন, পরে তিনি এমএসভিপির দায়িত্ব নেন ৷ তিনি যেহেতু দু'টি বিষয় নিয়েই ঠিকঠাক ভাবে কাজকর্ম করছেন ৷ তাই আমরা আর এই বিষয় নিয়ে ভাবিনি ৷ আর এই অ্যাকাডেমিক সেশন শেষ হলে তবেই সব কিছু নতুন করে করা যাবে ৷ থ্রেট কালচার নিয়ে এনকোয়ারি কমিটি তদন্ত করছে ৷ রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে ৷ আর গেস্ট হাউসে সমস্যা হওয়ায় সেই চাবি আমার কাছেই আছে ৷"

বর্ধমান, 11 সেপ্টেম্বর: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের গেস্ট হাউসে চলত অনৈতিক কাজকর্ম ৷ অথচ ডিন অফ অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্বে আছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি (Medical Superintendent cum Vice Principal) ডাঃ তাপস ঘোষ ৷ দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি দায় এড়িয়ে যেতে চাইছেন ৷ তাই বুধবার তাঁকে ডিন পদ থেকে অপসারণের দাবি-সহ একাধিক দাবিতে প্রিন্সিপালের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ (ইটিভি ভারত)

জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, দিনের পর দিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচার, তোলাবাজি, পাশ-ফেল করানো, ক্যান্টিন দুর্নীতি চলছিল ৷ সেখানে নেতৃত্ব দিতেন সন্দীপ ঘোষের মূল পাণ্ডা অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসেরা ৷ এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছুই জানে না বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে ৷ অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষের হাত না থাকলে এইভাবে দীর্ঘদিন দুর্নীতি করা সম্ভব নয় ৷ শুধু তাই নয়, প্রিন্সিপালের গেস্ট হাউস দখল করে সেখানে বিনোদনের আসর বসত বলেও অভিযোগ ৷ কিন্তু এত কিছুর পরেও ডিন অফ অ্যাফেয়ার্স ডাঃ তাপস ঘোষ কিছুই জানেন বলে দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না ৷

বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসক মহম্মদ রিজওয়ান বলেন, "আমাদের কলেজে সিন্ডিকেট বা থ্রেট কালচারের ধারক ও বাহক অভীক দে এবং তাঁর অনুগত ছাত্র-ছাত্রীরা ৷ আমরা খবরাখবর নিয়ে জানতে পেরেছি কলেজ কর্তৃপক্ষের কয়েকজনের মদত ছাড়া এই ধরনের ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না ৷"

আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অভিযোগ, এছাড়া পরীক্ষার নম্বর নিয়ে দুর্নীতিও হয়েছে ৷ অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং-এর উপরের তলায় যে গেস্ট হাউস আছে, সেই ঘরটিকে ব্যক্তিগত কাজে লাগানো হত ৷ সেখানে চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করা হত ৷ এই খবর কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল না, এটা মেনে নিতে পারছেন না কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ৷

বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসক মহম্মদ রিজওয়ান বলেন, "গত সোমবার কলেজ কাউন্সিল মিটিংয়ে যখন এমএসভিপি এবং ডিন পদে যিনি আছেন সেই ডাঃ তাপস ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হয় ৷ তখন তিনি জানান হাসপাতাল সংক্রান্ত তথ্য ছাড়া তাঁর অন্য কিছু জানা নেই ৷ অথচ তিনি ডিন অফ স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স পদে আছেন ৷ তাহলে এই পদে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এইসব অসাধু কাজকর্ম এই গেস্ট হাউসে হয়, সেই উত্তর তাঁকেই দিতে হবে ৷ আমরা একজন সুদক্ষ ডিনকে অভিভাবক হিসেবে চাই ৷"

বিক্ষোভকারী চিকিৎসক আরও বলেন, "দুর্নীতির আঁতুড়ঘর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ । কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে এই কাজকর্ম চলছে ৷ প্রিন্সিপালের গেস্ট হাউস ব্যবহার করে নিজেদের চিত্ত বিনোদন চালাচ্ছিল ৷ কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সুচতুরভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন ৷ এই বিল্ডিং ডিন অফ অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্বে আছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তথা এমএসভিপি ডাঃ তাপস ঘোষ ৷ অথচ তিনি এই দায় না নিয়ে প্রিন্সিপালের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন ৷ এখন কে কার ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে, সেটা তাদের ব্যাপার ৷ তাই আমরা অভিযোগ জানাচ্ছি কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে এই কাজকর্ম হয়েছে ৷ তাই আমরা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ঘুঘুর বাসা ভাঙার অভিযান শুরু করছি ৷ পাশাপাশি একই ব্যক্তির একাধিক পদ যেন না থাকে সেই মর্মে অ্যাফেয়ার্স অফ ডিন পদ থেকে ডাঃ তাপস ঘোষের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি ৷"

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডাঃ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ছাত্রছাত্রীদের একাধিক দাবি জানিয়েছে ৷ ডাঃ তাপস ঘোষ আগে ডিন ছিলেন, পরে তিনি এমএসভিপির দায়িত্ব নেন ৷ তিনি যেহেতু দু'টি বিষয় নিয়েই ঠিকঠাক ভাবে কাজকর্ম করছেন ৷ তাই আমরা আর এই বিষয় নিয়ে ভাবিনি ৷ আর এই অ্যাকাডেমিক সেশন শেষ হলে তবেই সব কিছু নতুন করে করা যাবে ৷ থ্রেট কালচার নিয়ে এনকোয়ারি কমিটি তদন্ত করছে ৷ রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে ৷ আর গেস্ট হাউসে সমস্যা হওয়ায় সেই চাবি আমার কাছেই আছে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.