দুর্গাপুর, 24 মার্চ: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধনে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, "ভোটের জন্য সরকার ভিক্ষা দেয় আর সেই ভিক্ষা নেওয়ার জন্য মানুষ বসে থাকে ৷" পাল্টা বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূলও ৷
কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি মন্ত্রকের উদ্যোগে খাদি গ্রামোদ্যোগ বিকাশ যোজনা প্রকল্পের আওতায় দুর্গাপুরে শুরু হল সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোরুই ৷ হাজির ছিলেন জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত থেকে শুরু করে সুমন্ত মণ্ডল-সহ অন্য বিজেপি নেতারা।
সেই অনুষ্ঠানে গিয়েই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোরুই। তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, ছোট্ট ও মাঝারি মন্ত্রকের উদ্যোগে আমরা বেকার যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর করার চেষ্টা করছি। কারণ বাংলার সরকার ভিক্ষা এবং ভাতা দিয়ে রেখেছে। কখন ব্যাঙ্কে টাকা আসবে ? আর সেই টাকা দিয়ে কীভাবে সংসার চলবে, সেই ভেবেই মানুষ অসহায় বোধ করছে। কিন্তু আমাদের একটাই লক্ষ্য পিছিয়ে পড়া মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এর ফলে আর্থিক বিকাশও ঘটবে পিছিয়ে পড়া এলাকায়। একইভাবে সেলাই মেশিন দিয়েও আমরা মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।"
এর সঙ্গেই তিনি বলেন, "রাজ্য সরকার পুরো ব্যর্থ। কারণ তারা চায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে ভাতা আর ভিক্ষা দিতে। তারা শুধু ভোট চায়। ভোটের জন্য তারা ভিক্ষা দেয়। আর ভিক্ষা নেওয়ার জন্য মানুষ বসে থাকে। কিন্তু আমরা মানুষকে আত্মনির্ভর গড়ে তুলতে চাই। সেই জন্যই বিনা পয়সায় সেলাই মেশিন দেওয়া হচ্ছে। সারা দুর্গাপুরজুড়ে গরিব ছেলে, মেয়েদের সেলাই মেশিনে প্রশিক্ষণ দেওয়া দেওয়া হবে।"
2026 সালে বাংলার মানুষ বিজেপিকে উৎখাত করবে বলে পাল্টা সমালোচনায় সরব হয়েছেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুজিত মুখোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "এই রাজ্যের দিকে না তাকিয়ে অন্য রাজ্যে বিজেপি কী করছে দেখুন! পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে উন্নয়ন করছে, তাও তাকিয়ে দেখতে হবে আপনাদের। আপনার ঘরের স্ত্রীরাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করছেন। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বিজেপির এ কথা বলা মানায় না।"