কলকাতা, 15 জুন: লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে না-হতেই রাজ্যে জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা। আর সেই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে এবার বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা শনিবার চার সাংসদকে এক কমিটি গঠন করলেন। গোটা বিষয় অনুসন্ধান করে কমিটি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানা গিয়েছে।
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে রয়েছেন সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, ব্রিজলাল এবং কবিতা পতিদার ৷ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিপ্লব দেবকে। বিজেপি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব দর্শক হয়ে আছেন, যখন তাঁর দলের অপরাধীরা বিরোধী কর্মীদের এবং ভোটারদের আক্রমণ করছে এবং ক্রমাগত ভয় দেখাচ্ছে। এমনকী কলকাতা হাইকোর্ট এই বাড়াবাড়ির কথা নোট করেছে ৷ 21 জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন থাকছে। 18 জুন শুনানির জন্য বিষয়টি হাইকোর্টে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।"
দেশে লোকসভা নির্বাচনের পালা শেষ হয়েছে। তবে নতুন করে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ভোট পরবর্তী অশান্তি লেগেই রয়েছে। রাজ্যে জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি আবার মনে করিয়ে দিচ্ছে 2021 বিধানসভা নির্বাচনের পরের পরিস্থিতি। এই নিয়ে একটি চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই মর্মে তারা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন আপাত শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রে নতুন সরকারও গঠন করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে 2021 বিধানসভা নির্বাচনের পর যে হিংসার ছবি উঠে এসেছিল, তা আবারও বিদ্যমান বাংলায়। চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে, এই নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন। শাসক দলের দুষ্কৃতীরা বিরোধীদলের কর্মী সমর্থকদের উপর হামা চালাচ্ছে। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টও এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত এবং রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে।
এই অবস্থায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির জেপি নাড্ডা পুরো বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধানে চার সদস্যের এক কমিটি গঠন করলেন। যারা বাংলায় গিয়ে পুরো বিষয়টির অনুসন্ধান করে তাঁদের রিপোর্ট জমা দেবেন।