রামপুরহাট, 21 মার্চ: লোকসভা ভোটের আগে ফের উঠে এল বগটুই গণহত্যাকাণ্ড ৷ বগটুইকাণ্ডের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে স্বজন হারানো পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিল বিজেপির প্রতিনিধিদল। বৃহস্পতিবার নিহতদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানালেন বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা-সহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে 2022 সালের 21 মার্চ রাত আটটা নাগাদ রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে ও গুলি করে খুন করা হয়। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বগটুই গ্রাম। আচমকাই অগ্নি সংযোগ করা হয় গ্রামের 15টি বাড়িতে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা রাতে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে ও আগুন জ্বালিয়ে খুন করে 10 জন শিশু ও মহিলাকে। ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। ঘটনার পর পীড়িতদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়, রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে।
অবশ্য এর কয়েক দিন পরই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত ভার যায় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই'কে। এখন পর্যন্ত দুই দফায় চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছে 28 জন অভিযুক্ত। তার মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখ সিবিআই হেফাজতেই আত্মঘাতী হন ৷ 2013 সালের 21 মার্চ সেই ঘটনার প্রথম বর্ষ পূর্তিতে বগটুই গ্রামে একই ঘটনায় দুটি শহিদ বেদী তৈরী করা হয়। একটি শহিদ বেদীতে মাল্যদান করেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যটিতে মাল্যদান করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এদিন সেই বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার মধ্যে বগটুই ফের রাজনৈতিক দলগুলির নজরে। তবে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার দাবি করে বলেন, "স্বজন হারানো পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখ-সহ তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত। তাই একজন সহযোদ্ধা হিসেবে আমরা তার বাড়িতে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি নিহতদের প্রতি আত্মার শান্তি কামনা করে তাদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমরা এসেছি।"
আরও পড়ুন: