কলকাতা, 22 জুলাই: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, "অসহায় মানুষ দরজায় কড়া নাড়লে, অবশ্যই আশ্রয় দেব"। এবার এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
সংবিধানের 167 নম্বর ধারা উল্লেখ করে বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শুরু করে বাংলার জনসংখ্যার বর্তমান অবস্থার হাল হকিকতের বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। সূত্রের দাবি, একই সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছে, প্রকাশ্য জনসভায় এ ধরনের ঘোষণা করার আগে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করেছিলেন কিনা বা তাঁদের অনুমতি নিয়েছিলেন কিনা ।
সোমবার রাতে রাজভবনের করা সোশাল মিডিয়া পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্যে করা মন্তব্যের বিষয়ে 167 ধারার অধীনে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এরপর মমতার বক্তব্যের ওই বিশষ অংশটি তুলে লেখা হয়েছে- এই ধরনের প্রতিশ্রুতি বা ঘোষণা রাজ্যের সরকার কোনওভাবেই করতে পারে না। এই ধরনের ঘোষণা করা হলে তা সম্পূর্ণভাবে ভুল। কারণ, এগুলি এমন বিষয় যা কেন্দ্র সরকার পরিচালনা করে। রাজ্য সরকারের এই ইস্যুতে কোনও অবস্থান নেই।
বিদেশ সংক্রান্ত সমস্ত ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের আছে। আরও বলা হয়েছে, ভিন্ন দেশ থেকে আসা লোকেদের আশ্রয় দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়া নিয়ে একজন মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্য বিবৃতিঅত্যন্ত গুরুতর। এটি সাংবিধানিক উলঙ্ঘনের সমান। ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশগুলির প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া দেশের নীতি। তাছাড়া প্রকৃত ভুক্তভোগীদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের সাংবিধানিক বিশেষ অধিকার।