গাইঘাটা, 21 মার্চ: আবাস যোজনার ঘর নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই । এবার বাংলা আবাস যোজনার ঘরের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকার পর থেকে বেপাত্তা এক ব্যক্তি । প্রথম কিস্তির টাকা ঢোকার পর থেকে তাঁকে খুঁজছে পঞ্চায়েত কর্মীরা । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার চাঁদপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢাকুরিয়ায় ।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, 2018 সালে ঢাকুরিয়া এলাকায় একটি জমি দেখিয়ে বাংলা আবাস যোজনার ঘরের জন্য আবেদন করেন সুকুমার মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি । সার্ভে করার পর ঘরের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয় । সম্প্রতি আর পাঁচজন উপভোক্তার মতো ঘর করার জন্য প্রথম কিস্তির 60 হাজার টাকা ঢোকে সুকুমারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ।
নিয়ম অনুযায়ী প্রথম কিস্তির টাকা ঢোকার পর ঘরের কাজ শুরু করতে হয় । সেই কাজ দেখে দ্বিতীয় কিস্তির টাকার ছাড়পত্র দেওয়া হয় । মাস দুই আগে ঘর তৈরির কাজ কতটা এগিয়েছে তা দেখার জন্য সুকুমারের জমিতে যান সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা । জমিতে গিয়ে কার্যত তাদের চক্ষু চড়কগাছ । যেমন জমি তেমনি পড়ে রয়েছে । ঘর তৈরির কাজ শুরু করা থাক দূরের কথা, সেখানে পড়েনি এক টুকরো ইট,বালি বা পাথর ।
এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান দীপক কুমার দাস বলেন, "প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েও এখনও ঘর তৈরির কাজ শুরু করেনি সুকুমার । আমাদের সঙ্গে দেখাও করেনি । দু'মাস ধরে আমরা তাকে খুঁজছি । কিন্তু কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ বিষয়টি গাইঘাটার বিডিওকে জানানো হয়েছে । তাঁর কথা মতো পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সুকুমারের দেখানো জমতে নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে । 15 দিনের মধ্যে তাকে দেখা করতে বলা হয়েছে । নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেখা না করলে, তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"
তবে স্থানীয়দের দাবি, দু'বছর ধরে সুকুমার এলাকায় থাকে না । পাশের পাড়ায় এক ব্যক্তির বাড়িতে থাকত বলে তারা শুনেছিলেন । মাঝে মধ্যে জমি দেখতে আসত । ছয় মাস আগে শেষবার তাকে জমিতে আসতে দেখেছেন । তবে তাঁর দুই বিয়ে ৷ এখন তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন ৷ এদিকে বাড়ি তৈরির জমির একাংশ তাঁর প্রথম স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রি করা রয়েছে ৷ সেই জমিজটের কারণেও এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে ৷
গাইঘাটার বিডিও নীলাদ্রি সরকার বলেন, "ওই ব্যক্তির সন্ধান না পেয়ে ব্যাঙ্কে খোঁজ নিয়ে আমরা জানতে পেরেছি আবাসের ঘরের টাকা তিনি তোলেননি । আমরা সুকুমারের খোঁজ চালাচ্ছি । তাঁর জমিতে নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং দেখা করতে বলা হয়েছে । আমরা চেষ্টা করছি যাতে তাকে দিয়ে ঘরটি করানো যায় ।"