শিলিগুড়ি, 15 ফেব্রুয়ারি: কলকাতার পর শিলিগুড়ি ! একইদিন একইভাবে অভিনব কায়দায় এটিএম প্রতারণা ৷ শিলিগুড়িতে শিকার এক দম্পতি। শনিবারই কলকাতার যাদবপুর স্টেডিয়ামের কাছে সন্তোষপুর সার্ভে পার্ক এলাকায় এটিএম প্রতারণার ঘটনা ঘটে ৷ ইতিমধ্যে এই এটিএম জালিয়াতির ঘটনার তদন্তে নেমেছে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ ও লালবাজারের অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড বিভাগ ৷
এদিনই শিলিগুড়ির প্রাণকেন্দ্রে 2 নম্বর ওয়ার্ডের প্রধাননগর থানায় অন্য একটি এটিএম জালিয়াতির ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পরে গিয়েছে শহরজূড়ে। এটিএম জালিয়াতির কারণে কয়েক হাজার টাকা খোয়ালেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের 24 নম্বর ওয়ার্ডের ভারতনগরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী ও স্ত্রী পৌলমী চক্রবর্তী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ ও সাইবার থানার পুলিশ। ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, "ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।"
অভিযোগ শিলিগুড়ি প্রধাননগরে বেসরকারি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের একটি এটিএমে তাঁর স্ত্রীর এটিএম কার্ড থেকে টাকা তুলতে গিয়েই ঘটে ওই বিপত্তি। এটিএমে গিয়ে প্রথমে 15,000 টাকা অ্যামাউন্ট লিখলে এটিএম মেশিন কম টাকা দিতে মেসেজ শো হয়। এরপর প্রসেনজিৎবাবু লেনদেন ক্যানসেল করে এটিএম কার্ড বের করতে গেলেই দেখেন এটিএমকার্ড আটকে যায়। কোনভাবেই তা বের হচ্ছিল না। এবার সেই ঘরেই এক জায়গায় ব্যাঙ্কের নামে টোল ফ্রি নম্বর লেখা ছিল। সেখানেই ফোন করতে খোয়া যায় 20 হাজার টাকা।
প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী জানান, টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করলে জানানো হয়, ওই এলাকায় আরও একটি এটিএমে তাদের টেকনিশিয়ান কাজ করছেন। আপনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনার সমস্যা সমাধান হবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাই না। তখনই ব্যাঙ্ক থেকে এসএমএস আসে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উঠানো হয়েছে ৷ এরই মধ্যে পুনরায় এই এটিএমে ফিরে আসি। কিন্তু এসে দেখি এটিএম কার্ড নেই ৷ 10 হাজার করে দু'বারে 20 হাজার টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ৷ শুধু এখানেই থেমে নেই ৷ এরপরও একাধিকবার ওই কার্ডে টাকা তোলার চেষ্টা হয়েছে ৷ কিন্তু ব্যাঙ্ক থেকে এসএমএস আসছে ভুল পিন বলে। কাজেই প্রতারককারীরা আর টাকা তুলতে পারেনি। ঘটনা নিয়ে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানিয়েছি।
অন্যদিকে প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর স্ত্রী পৌলোমী চক্রবর্তী বলেন, "একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সুরক্ষা ব্যবস্থার হাল যদি এরকম হয়, তাহলে আমরা সাধারণ মানুষরা কোথায় যাব ৷ এটিএমে একজন নিরাপত্তা ক্ষী পর্যন্ত নেই। আজকে নিরাপত্তা রক্ষী থাকলে এই কাণ্ড ঘটত না। ব্যাঙ্কের থেকেও আমরা কোনওরকম সাহায্য পাইনি।"