আরামবাগ, 30 মার্চ: আরামবাগ লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়নি বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে ৷ তাঁর টাকা নেই বলেই দল তাঁকে প্রার্থী করেনি ৷ এতদিনে নিজের ক্ষোভের কথা বলে ফেললেন আরামবাগের বিদায়ী সাংসদ ৷ এদিকে আরামবাগের নতুন তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগ বলেন, "তিনি কী বলেছেন, বিষয়টি বলতে পারব না ৷ আমি প্রার্থী হওয়া মাত্রই আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন অপরূপা পোদ্দার ৷ আরামবাগে তাঁর হাত ধরে একাধিক উন্নয়ন হয়েছে ৷ আগামী দিনে তিনি আমার প্রচারেও আসবেন বলে জানিয়েছেন ৷ তবে ভোটে টাকা-পয়সার ব্যাপারে দল ও আরামবাগ নেতৃত্ব বিষয়টি দেখছে ৷"
10 মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভায় 42টি আসনে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা হয় ৷ সেই তালিকায় অপরূপা পোদ্দারের নাম ছিল না ৷ আসন্ন ভোটে মিতালি বাগকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ এ নিয়ে প্রায় 19 দিন পর নিজের ক্ষোভের কথা বললেন অপরূপা ৷
বিদায়ী সাংসদের দাবি, "দলের তিনবারের সাংসদ পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদরা বারবার টিকিট পেয়েছেন ৷ তাঁদের যোগ্যতার ভিত্তিতে টিকিট পেয়েছেন ৷ 2019 সালে আমি যখন ভোটে লড়তে যাই তখন আমার কাছে টাকা ছিল না । এখনও আমার কাছে কোন টাকা নেই ৷ ভোটে লড়ার জন্য সাংসদ ও হুগলি গ্রামীনের দুই মন্ত্রী বিষয়টি জানতেন ৷"
এই প্রসঙ্গে নাম না-করে প্রবীণ সাংসদ ও হুগলির দুই মন্ত্রীর কথা বলেন অপরূপা ৷ যদিও তাঁদের নাম একবারের জন্য মুখে আনেননি তিনি ৷ এদিন সাংসদ ও মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে অপরূপা পোদ্দার বলেন, "তাঁরাই দিদিকে বা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে কথাটা জানিয়েছিলেন ৷ তাই হয়তো আমি টিকিট পাইনি ৷ সাংসদ এলাকায় ভোট পরিচালনা করতে প্রথম দিকে টাকা লাগে ৷ ভোটে লড়ার প্রথম দিকে নিজের ঘর থেকে টাকা খরচ করতে হয় ৷ সঙ্গে সঙ্গে দলের তরফে টাকা দেওয়া হয় না ৷ সেটা ছিল না বলেই আমার টিকিট দেওয়া হয়নি ৷ অন্য সাংসদের আছে বলেই তাঁরা তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ৷"
ইটিভি ভারতের তরফে তাঁকে ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি ৷ অপরূপার স্বামী রিষড়ার তৃণমূল কাউন্সিলর সাকির আলীকে ফোন করা হলে তিনি জানান, শুক্রবার বরানগরে এক ইফতার পার্টিতে গিয়ে অপরূপা এই কথা বলেছেন ৷ এক সাংসদ ও দুই মন্ত্রীর সম্পর্কে কিছু না বললেও সাকির আলী বলেন অপরূপা বাবা-মা অসুস্থ ৷ তাঁদের চিকিৎসা খরচ সাপেক্ষ ৷ তার উপর ভোটের খরচও বিপুল ৷ সেই কথা রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন সাংসদ ও মন্ত্ৰীরা ৷ তাই অপরূপাকে টিকিট দেওয়া হয়নি ৷ সেই অভিমান থেকেই এই কথা বলেছেন অপরূপা ৷ তবে এবিষয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কেউ কিছু বলতে চাননি ৷ তৃণমূল সাংসদ ও মন্ত্রীদের ফোন করা হলে, তাঁরা ফোন তোলেননি ৷
আরও পড়ুন: