কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর: শনিবার বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে আইএসএলের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে আনোয়ার আলির কি অভিষেক হবে ? এই মুহূর্তে এর উত্তর জানা নেই কোচ, খেলোয়াড় থেকে লাল-হলুদ সমর্থকদের ৷ পরিস্থিতি যা তাতে কার্লেস কুয়াদ্রাত আনোয়ার আলিকে রেখেই প্রথম একাদশ সাজানোর সুযোগ পেতে পারেন। কিন্তু তার জন্য শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
কারণ ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আনোয়ার আলি। শুধু তাই নয়, দিল্লি হাই কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসিও। এর আগে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছেও আবেদন করা হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের তরফে। পুরো প্রক্রিয়া যেহেতু অনেকটা সময় সাপেক্ষ, তাই এই সময়ে যাতে আনোয়ার খেলতে পারেন, সেই ব্যাপারেই ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে এই আবেদন করা হয়েছে ৷ কারণ স্থগিতাদেশ পেলেই আনোয়ারের আইএসএলে খেলতে কোনও বাধা থাকবে না।
গত মঙ্গলবারই ফেডারেশন জানিয়ে দেয়, মোহনবাগানের সঙ্গে লোন চুক্তি বাতিল করায় আগামী চার মাসের জন্য নির্বাসিত হয়েছেন ভারতীয় দলের ডিফেন্ডার। পাশাপাশি মোহনবাগানকে 12.90 কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে আনোয়ার, ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি-কে। সেই সঙ্গেই আগামী দু'টি ট্রান্সফার উইন্ডো থেকে নতুন কোনও ফুটবলারকেও সই করাতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি।
এই বিষয়ে লাল-হলুদের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “আমরা ফেডারেশনের কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছি। তার পরে 10 দিনের মধ্যে ওরা আমাদের সেই বিষয়ে জবাব দেবে। সেই জবাবের ফের আমরা হয়তো উত্তর দেব। ফলে সেটা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এই সময়ের মধ্যে আনোয়ার যাতে খেলতে পারে, সেই ব্যাপারেই আমরা আদালতে স্থগিতাদেশ চেয়েছি ।”
তাই, আনোয়ার বিতর্ক শেষ হয়নি বরং নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। দিল্লি হাইকার্টের স্থগিতাদেশ পাওয়া গেলে আনোয়ারকে লাল-হলুদ জার্সিতে শনিবারই দেখা যেতে পারে। ভারতীয় দলের জার্সিতে ইতিমধ্যেই খেলেছেন। ইস্টবেঙ্গলে চুটিয়েও প্র্যাকটিসও করছেন। ফলে আজ আদালতের রায়ের দিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে লাল-হলুদ জনতা।