জামালপুর/জলপাইগুড়ি, 21 জুন: জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে ধাক্কা অ্যাম্বুল্যান্সর। ঘটনায় অ্যাম্বুল্যান্সের চালক-সহ মৃত্যু হল তিন জনের ৷ ঘটনায় আরও তিন জন আহত । তাঁদের মধ্যে একজনকে দুর্গাপুরে ও বাকি দু'জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷ শনিবার সকালের দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের 19 নং জাতীয় সড়ক সংলগ্ন জামালপুরের আঝাপুর এলাকায়।
অন্যদিকে, এদিন সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল কাস্টমস অফিসার-সহ দু'জনের ৷ রাস্তায় উপর দাঁড়িয়ে থাকা পাথরবোঝাই ট্রাকের পিছনে চারচাকা গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় চালক-সহ এক কাস্টমস অফিসারের। কাস্টমস আধিকারিকের নাম নীতিশ কুমার অভিষেক (45) এবং চালকের নাম সিন্টু মণ্ডল (37)। ঘটনাটি ঘটেছে 17 নম্বর জাতীয় সড়কের বানারহাট ব্লকের বিন্নাগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন যাওয়ার রাস্তায়।

জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের জঁয়গার কাস্টমস অফিসের ওই আধিকারিকের বাড়ি কলকাতায় ৷ বাড়ি থেকে নিজের গাড়ি নিয়ে আলিপুরদুয়ার ফিরছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার সময় কাস্টমস অফিসার নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন ৷ তিনি বিন্নাগুড়ি এলাকায় আসার সময় রাস্তার ধারে দাড়িয়ে থাকা একটি পাথরবোঝাই গাড়িটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারেন । গতিবেগ বেশি থাকায় গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় পুলিশ। গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়িকে কেটে দেহ দুটি উদ্ধার করা হয় ৷ জলপাইগুড়ি গভ: মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ দু'টি পাঠানো হয়েছে ৷ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
আর এদিন সকালে বর্ধমানের জামালপুরের কাছে একটি অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকা এটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স কলকাতায় রোগীকে নামিয়ে ফিরছিল ৷ সে সময় অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন ড্রাইভার, একজন টেকনিসিয়ান ও একজন চিকিৎসক। পথে অ্যাম্বুল্যান্সের মালিকের তিন জন আত্মীয় সেই গাড়িতে চাপেন দুর্গাপুর ফেরার জন্য ৷ দ্রুত বেগে জাতীয় সড়ক ধরে চলছিল অ্যাম্বুল্যান্সটি। 19 নং জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময় জামালপুরের আঝাপুরের কাছে জাতীয় সড়কের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটি ধাক্কা মারে ৷
জামালপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে । মৃতদের মধ্যে বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী দুর্গাপুরের বাসিন্দা। বাকি দু'জন বিধান রুইদাস ও গৌতম দাস বীরভূমের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বিশ্বজিৎ হলেন অ্যাম্বুল্যান্সের ড্রাইভার ও অ্যাম্বুল্যান্সের খালাসি হলেন বিধান রুইদাস। দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জামালপুর থানার আঝাপুর ফাঁড়ির পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অ্যাম্বুল্যান্সের মালিকের বন্ধু অভিষেক চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অ্যাম্বুল্যান্সটি কলকাতা থেকে রোগী নামিয়ে ফিরছিল। পালসিটের আগে আঝাপুর এলাকায় একটা দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে অ্যাম্বুল্যান্সটা ধাক্কা মারে। ঘটনায় তিন জন মারা গিয়েছে ৷ বাকি তিনজন আহত হয়েছেন ৷ আহতদের মধ্যে একজনকে দুর্গাপুরে ও বাকি দু'জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।"