কুলপি, 24 মার্চ: কুলপি ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতির উপর হামলার অভিযোগ ৷ যে ঘটনায় কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী ৷ রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার কুলপি ব্লকের শ্যাম বসুর চক মোড়ে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, কুলপি যুব তৃণমূলের সভাপতি শামসুর আলম মীর ইফতার পার্টি থেকে ফিরছিলেন ৷ সেই সময় স্থানীয় কয়েকজন তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ ৷ তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় ৷ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি ৷ জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় শামসুরের কাকা রাজের শেখ সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তিনি শামসুরকে বাঁচাতে গেলে, তাঁকেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ৷
ঘটনার পর শামসুর এবং তাঁর কাকাকে কুলপি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে রাজের শেখ চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷ তবে, রাতেই শামসুরকে ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ কিন্তু, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় শামসুরকে ৷
এই ঘটনায় পাঁচ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে শামসুর আলম মীরকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ শামসুরের স্ত্রী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ তৃণমূল সূত্রে খবর, যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাঁরা কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৷ মূলত এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে এই হামলা বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে ৷
এ নিয়ে কুলপি ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সুপ্রিয় হালদার বলেন, "শামসুর ইফতার পার্টি থেকে রাতে ফিরছিল ৷ সেই সময় ওকে গালিগালাজ করে কয়েকজন দুষ্কৃতী ৷ ও প্রতিবাদ করলে, শাহিদ মাস্টার, বাবুয়া-সহ চার-পাঁচজন ওর উপরে চড়াও হয় ৷ রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ শাহিদ মাস্টারের বিরুদ্ধে আগেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ ওরা আমাদের এলাকাছাড়া করতে চাইছে, এভাবে হামলা চালিয়ে ৷ এর আগেও আমাদের লোকজনদের মারধর করা হয়েছে ৷ তবে, আজকের ঘটনায় শামসুরের প্রাণও চলে যেতে পারত ৷"
অন্যদিকে, বিধায়কের এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিয় হালদার বলেন, "আমি জানি না, বিধায়ক এর সঙ্গে জড়িত কি না, সেটা আমি বলতে পারব না ৷ তবে, যারা শামসুরের উপর হামলা করেছে, ওরা আমাদের ব্লক পার্টি অফিসে যাতায়াত করে ৷ তৃণমূলের সব কাজে থাকে ৷ আর বিধায়কের যোগ আছে কি না, সেটা শীর্ষ নেতৃত্ব দেখবে ৷"
অন্যদিকে, ব্লক যুব সভাপতির উপর হামলার ঘটনাকে অরাজনৈতিক বলে দাবি করেছেন কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার ৷ ফোনে তিনি বলেন, "যুব সভাপতির উপর হামলার ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগ নেই ৷ বিষয়টি পারিবারিক গণ্ডগোলের জন্য হয়েছে ৷"