ETV Bharat / state

দেওয়াল চুঁইয়ে পড়ছে জল, হাত দিলেই লাগছে শক ! ছাতনার স্কুল যেন মৃত্যুফাঁদ - ELECTRIC SHOCK ON SCHOOL WALL

বৃষ্টির কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাঙড় ভেঙে পড়ছে বলেও অভিযোগ ৷ মিড-ডে মিলের রান্নার জায়গাও অস্বাস্থ্যকর বলে অভিযোগ অভিভাবকদের ৷

ELECTRIC SHOCK ON SCHOOL WALL
দেওয়াল চুঁইয়ে পড়ছে জল, হাত দিলেই মারছে শক ! ছাতনার স্কুল যেন মৃত্যুফাঁদ ৷ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : June 20, 2025 at 8:54 PM IST

3 Min Read

বাঁকুড়া (ছাতনা), 20 জুন: কোথাও ঝুলে রয়েছে ছাদের পলেস্তেরা ৷ তো কোথাও দেওয়ালে বিশাল বড় ফাটল ৷ আর সেই সব অংশ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল ৷ শুধু তাই নয়, ভিজে দেওয়ালে হাত লাগলেই লাগছে বিদ্যুতের ঝটকা ! এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতি বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের বৈদ্যপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৷ যেন আস্ত একটা মৃত্যুফাঁদ ৷

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা থেকে শিক্ষকর্মী এমনকি অভিভাবক সকলের অভিযোগ, স্কুলের চারটি ক্লাসরুমের মধ্যে দু’টি ঘর পঠনপাঠনের যোগ্য নয় ৷ ছাদ থেকে জল পড়ে ভেসে যাচ্ছে মেঝে ৷ আর বাকি দু’টি ঘরে পাঁচটি শ্রেণির পঠনপাঠন চালাতে হচ্ছে ৷ আর তার মধ্যেই বিপদ বাড়িয়েছে বৃষ্টি ৷ বর্ষা ঢুকতেই স্কুলের দেওয়ালগুলি ভিজে গিয়েছে ৷ আর সেই দেওয়াল এখন রীতিমতো মৃত্যফাঁদ ৷

বৃষ্টির কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাঙড় ভেঙে পড়ার অভিযোগ ৷ (ইটিভি ভারত)

অভিযোগ, স্কুলের বিদ্যুতের লাইনে ফল্ট রয়েছে ৷ আর সেই কারণে ভিজে দেওয়ালে হাত লাগলে শক লাগছে ৷ কয়েকজন পড়ুয়ার শক লেগেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ এর পাশাপাশি, স্কুলের মিড-ডে মিল রান্নার পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর বলে অভিযোগ ৷ স্কুলের স্টোররুম ও মিড-ডে মিলের রান্নাঘরের ছাদ দিয়েও জল পড়ার অভিযোগ রয়েছে ৷ এমনকি দেওয়াল ও ছাদে শ্যাওলা ধরেছে ৷ কোথাও-কোথাও চাঙড় ঝুলছে ৷ আর পোকামাকড়ের সমস্যা তো রয়েছেই ৷

ফলে স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না করে বাচ্চাদের দেওয়া রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করার দাবি করেছেন অভিভাবক, প্রধান শিক্ষিকা-সহ সকলে ৷ এক অভিভাবক সুচেতনা কালিন্দি বলেন, "বাচ্চাদের ক্লাসরুম ভালো না ৷ ছাদ থেকে জল পড়ছে ৷ দু’টো ঘরে একসঙ্গে সব ক্লাসের পড়াশোনা হচ্ছে ৷ আর মিড-ডে মিল রান্নার জায়গাও খুব খারাপ ৷ বাচ্চারা খেতে চায় না ৷ আমরা চাই তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হোক ৷"

এ নিয়ে মিড-ডে মিলের রাঁধুনি সোমা দাস বলেন, "রান্না কী করব, খুব খারাপ অবস্থা ৷ ছাদ জল পড়ছে, টিকটিকি-ইঁদুর ঘুরে বেরায় ৷ রান্না করার জায়গায় আলো কম ৷ কিছু পড়লে দেখা বোঝা যায় না ৷"

এই সব অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জয়শ্রী সাহা ৷ তিনি নিজেও অভিযোগ করলেন, "আমাদের মোট 101 জন পড়ুয়া ৷ তাঁদের দু’টো ঘরে বসিয়ে একসঙ্গে ক্লাস করাতে হচ্ছে ৷ আরও তিনটে ঘর আছে ৷ কিন্তু, বর্ষাকাল শুরু হতেই ছাদ থেকে জল পড়ছে ৷ বাচ্চাদের বইখাতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ৷ খুব কষ্ট করে ক্লাস করাচ্ছি ৷ আবার কারেন্টের লাইনে সমস্যা হয়েছে ৷ দেওয়াল থেকে শক লাগছে ৷ সব জায়গায় জানিয়েছি ৷ জানি না কবে এর সুরাহা হবে ৷"

এ নিয়ে ছাতনা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক তপতী মৈত্র এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি, বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান ৷ তবে, ছাতনার বিডিও সৌরভ ধল্ল বলেন, "আমি আজকে একটা অভিযোগ পেয়েছি ৷ ছাদ চুঁইয়ে জল পড়া বন্ধ করছে আপাতত ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ স্কুলের অবস্থা কী, তা জানতে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি ৷ সেই মতো সংস্কারের কাজ করা হবে ৷ ইলেক্ট্রিট শকের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছি ৷ দ্রুত মেরামত করা হবে ৷"

বাঁকুড়া (ছাতনা), 20 জুন: কোথাও ঝুলে রয়েছে ছাদের পলেস্তেরা ৷ তো কোথাও দেওয়ালে বিশাল বড় ফাটল ৷ আর সেই সব অংশ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল ৷ শুধু তাই নয়, ভিজে দেওয়ালে হাত লাগলেই লাগছে বিদ্যুতের ঝটকা ! এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতি বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের বৈদ্যপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৷ যেন আস্ত একটা মৃত্যুফাঁদ ৷

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা থেকে শিক্ষকর্মী এমনকি অভিভাবক সকলের অভিযোগ, স্কুলের চারটি ক্লাসরুমের মধ্যে দু’টি ঘর পঠনপাঠনের যোগ্য নয় ৷ ছাদ থেকে জল পড়ে ভেসে যাচ্ছে মেঝে ৷ আর বাকি দু’টি ঘরে পাঁচটি শ্রেণির পঠনপাঠন চালাতে হচ্ছে ৷ আর তার মধ্যেই বিপদ বাড়িয়েছে বৃষ্টি ৷ বর্ষা ঢুকতেই স্কুলের দেওয়ালগুলি ভিজে গিয়েছে ৷ আর সেই দেওয়াল এখন রীতিমতো মৃত্যফাঁদ ৷

বৃষ্টির কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাঙড় ভেঙে পড়ার অভিযোগ ৷ (ইটিভি ভারত)

অভিযোগ, স্কুলের বিদ্যুতের লাইনে ফল্ট রয়েছে ৷ আর সেই কারণে ভিজে দেওয়ালে হাত লাগলে শক লাগছে ৷ কয়েকজন পড়ুয়ার শক লেগেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ এর পাশাপাশি, স্কুলের মিড-ডে মিল রান্নার পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর বলে অভিযোগ ৷ স্কুলের স্টোররুম ও মিড-ডে মিলের রান্নাঘরের ছাদ দিয়েও জল পড়ার অভিযোগ রয়েছে ৷ এমনকি দেওয়াল ও ছাদে শ্যাওলা ধরেছে ৷ কোথাও-কোথাও চাঙড় ঝুলছে ৷ আর পোকামাকড়ের সমস্যা তো রয়েছেই ৷

ফলে স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না করে বাচ্চাদের দেওয়া রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করার দাবি করেছেন অভিভাবক, প্রধান শিক্ষিকা-সহ সকলে ৷ এক অভিভাবক সুচেতনা কালিন্দি বলেন, "বাচ্চাদের ক্লাসরুম ভালো না ৷ ছাদ থেকে জল পড়ছে ৷ দু’টো ঘরে একসঙ্গে সব ক্লাসের পড়াশোনা হচ্ছে ৷ আর মিড-ডে মিল রান্নার জায়গাও খুব খারাপ ৷ বাচ্চারা খেতে চায় না ৷ আমরা চাই তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হোক ৷"

এ নিয়ে মিড-ডে মিলের রাঁধুনি সোমা দাস বলেন, "রান্না কী করব, খুব খারাপ অবস্থা ৷ ছাদ জল পড়ছে, টিকটিকি-ইঁদুর ঘুরে বেরায় ৷ রান্না করার জায়গায় আলো কম ৷ কিছু পড়লে দেখা বোঝা যায় না ৷"

এই সব অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জয়শ্রী সাহা ৷ তিনি নিজেও অভিযোগ করলেন, "আমাদের মোট 101 জন পড়ুয়া ৷ তাঁদের দু’টো ঘরে বসিয়ে একসঙ্গে ক্লাস করাতে হচ্ছে ৷ আরও তিনটে ঘর আছে ৷ কিন্তু, বর্ষাকাল শুরু হতেই ছাদ থেকে জল পড়ছে ৷ বাচ্চাদের বইখাতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ৷ খুব কষ্ট করে ক্লাস করাচ্ছি ৷ আবার কারেন্টের লাইনে সমস্যা হয়েছে ৷ দেওয়াল থেকে শক লাগছে ৷ সব জায়গায় জানিয়েছি ৷ জানি না কবে এর সুরাহা হবে ৷"

এ নিয়ে ছাতনা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক তপতী মৈত্র এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি, বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান ৷ তবে, ছাতনার বিডিও সৌরভ ধল্ল বলেন, "আমি আজকে একটা অভিযোগ পেয়েছি ৷ ছাদ চুঁইয়ে জল পড়া বন্ধ করছে আপাতত ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ স্কুলের অবস্থা কী, তা জানতে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি ৷ সেই মতো সংস্কারের কাজ করা হবে ৷ ইলেক্ট্রিট শকের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছি ৷ দ্রুত মেরামত করা হবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.