ETV Bharat / state

ঝাড়খণ্ডের দূষণ মিশছে বাংলার বাতাসে ! দাবি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকের - AIR POLLUTION

আসানসোল-দুর্গাপুরের দূষণ নিয়ন্ত্রণে তৎপর রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ৷ ইস্পাত নগরির কারখানার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন পর্ষদের আধিকারিকরা ৷

AIR POLLUTION
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বৈঠক (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 30, 2024, 12:57 PM IST

দুর্গাপুর, 29 নভেম্বর: শীতকালে উত্তরের হাওয়ার কারণে ঝাড়খণ্ডের দূষণ বাংলার বাতাসের সঙ্গে মিশে যায় ৷ সম্প্রতি, আইআইটি দিল্লির সমীক্ষা এমনই তথ্য় উঠে এসেছে ৷ দূষণ নিয়ন্ত্রণে দুই রাজ্যের সীমান্তে তিনটি ধাপে বৃক্ষরোপণে জোর দেওয়া হয়েছে ৷ শুক্রবার রাজ্যের ইস্পাতের শহর দুর্গাপুরে একটি বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের 'অফিসার অফ স্পেশাল ডিউটি' সুব্রত ঘোষ ।

কয়েকদিন আগে দূষণের নিরিখে দিল্লিকে টপকে যায় আসানসোল ও দুর্গাপুর । মাথায় হাত পড়ে রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের । দুর্গাপুরের একাধিক ইস্পাত কারখানা বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, তারপরও দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি ৷ এবার সেই কারণে আসানসোল ও দুর্গাপুরের প্রায় 100টি কারখানার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দুর্গাপুরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আঞ্চলিক দফতর ৷

বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ? (ইটিভি ভারত)

এদিন বৈঠকে উপস্থিত হন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ওএসডি ৷ সেই সঙ্গে, আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক, দুর্গাপুর নগর নিগমের আধিকারিক এবং মহকুমা প্রশাসন ও আসানসোল-দুর্গাপুরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকরাও উপস্থিত হন এদিনের বৈঠকে ৷ ডিপিএল-সহ একাধিক কারখানার বিরুদ্ধে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠছিল । এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়ে কারখানার কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ আধিকারিকরা ৷

এই প্রসঙ্গে ওএসডি সুব্রত ঘোষ বলেন, "ভবিষ্যতে, ডিপিএল-র ছাই কারখানা থেকে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা না দেওয়া হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে । প্রয়োজনে ফাইন করা হবে । প্রত্যেক কারখানাকে ওয়াটার স্প্রিংলার ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রাস্তায় রাস্তায় জল দিতে হবে ৷ ইউএসপি চালাতে হবে সবসময় । কারখানাগুলির গতিবিধি নজরে রাখতে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন, আসানসোল দুর্গাপুরে উন্নয়ন পর্ষদ, দুর্গাপুর নগর নিগম-সহ সমস্ত কারখানাকে সঙ্গে নিয়ে একটি হোযাটসঅ্যাপ গ্রুপ করা হয়েছে । এই গ্রুপের আধিকারিকরা অভিযোগ পেলেই অভিযান চালাবে ৷"

তিনি আরও বলেন, "দু'দিন আগে দুর্গাপুরের বাতাসের গুণমান সূচক যে পরিমাণ ছিল সেটা অনেকটাই কমেছে । ভবিষ্যতে যাতে বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ন্ত্রণে থাকে সেদিকেও আমাদের তৎপর থাকতে হবে ।" বামুনাড়া শিল্প তালুকের বেসরকারি ইস্পাত কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার ঝাঁ বলেন, "এই ধরনের বৈঠকের জন্য আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি । দুর্গাপুরের মানুষ উপকৃত হচ্ছে । আমাদের যা নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, আমরা সেই মতোই কাজ করছি । দুর্গাপুরের মানুষ যাতে সুস্থ থাকে সেজন্য আমরাও সমস্ত রকম ভাবে তৎপর ।"

পড়ুন: মরণাপন্ন হলেও চিকিৎসা নয়, বাংলাদেশি রোগী নিয়ে কঠোর কলকাতার হাসপাতাল

দুর্গাপুর, 29 নভেম্বর: শীতকালে উত্তরের হাওয়ার কারণে ঝাড়খণ্ডের দূষণ বাংলার বাতাসের সঙ্গে মিশে যায় ৷ সম্প্রতি, আইআইটি দিল্লির সমীক্ষা এমনই তথ্য় উঠে এসেছে ৷ দূষণ নিয়ন্ত্রণে দুই রাজ্যের সীমান্তে তিনটি ধাপে বৃক্ষরোপণে জোর দেওয়া হয়েছে ৷ শুক্রবার রাজ্যের ইস্পাতের শহর দুর্গাপুরে একটি বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের 'অফিসার অফ স্পেশাল ডিউটি' সুব্রত ঘোষ ।

কয়েকদিন আগে দূষণের নিরিখে দিল্লিকে টপকে যায় আসানসোল ও দুর্গাপুর । মাথায় হাত পড়ে রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের । দুর্গাপুরের একাধিক ইস্পাত কারখানা বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, তারপরও দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি ৷ এবার সেই কারণে আসানসোল ও দুর্গাপুরের প্রায় 100টি কারখানার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দুর্গাপুরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আঞ্চলিক দফতর ৷

বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ? (ইটিভি ভারত)

এদিন বৈঠকে উপস্থিত হন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ওএসডি ৷ সেই সঙ্গে, আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক, দুর্গাপুর নগর নিগমের আধিকারিক এবং মহকুমা প্রশাসন ও আসানসোল-দুর্গাপুরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকরাও উপস্থিত হন এদিনের বৈঠকে ৷ ডিপিএল-সহ একাধিক কারখানার বিরুদ্ধে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠছিল । এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়ে কারখানার কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ আধিকারিকরা ৷

এই প্রসঙ্গে ওএসডি সুব্রত ঘোষ বলেন, "ভবিষ্যতে, ডিপিএল-র ছাই কারখানা থেকে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা না দেওয়া হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে । প্রয়োজনে ফাইন করা হবে । প্রত্যেক কারখানাকে ওয়াটার স্প্রিংলার ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রাস্তায় রাস্তায় জল দিতে হবে ৷ ইউএসপি চালাতে হবে সবসময় । কারখানাগুলির গতিবিধি নজরে রাখতে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন, আসানসোল দুর্গাপুরে উন্নয়ন পর্ষদ, দুর্গাপুর নগর নিগম-সহ সমস্ত কারখানাকে সঙ্গে নিয়ে একটি হোযাটসঅ্যাপ গ্রুপ করা হয়েছে । এই গ্রুপের আধিকারিকরা অভিযোগ পেলেই অভিযান চালাবে ৷"

তিনি আরও বলেন, "দু'দিন আগে দুর্গাপুরের বাতাসের গুণমান সূচক যে পরিমাণ ছিল সেটা অনেকটাই কমেছে । ভবিষ্যতে যাতে বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ন্ত্রণে থাকে সেদিকেও আমাদের তৎপর থাকতে হবে ।" বামুনাড়া শিল্প তালুকের বেসরকারি ইস্পাত কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার ঝাঁ বলেন, "এই ধরনের বৈঠকের জন্য আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি । দুর্গাপুরের মানুষ উপকৃত হচ্ছে । আমাদের যা নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, আমরা সেই মতোই কাজ করছি । দুর্গাপুরের মানুষ যাতে সুস্থ থাকে সেজন্য আমরাও সমস্ত রকম ভাবে তৎপর ।"

পড়ুন: মরণাপন্ন হলেও চিকিৎসা নয়, বাংলাদেশি রোগী নিয়ে কঠোর কলকাতার হাসপাতাল
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.