দুর্গাপুর, 2 এপ্রিল: প্রবল খরতাপ রাজ্যজুড়ে। বাইরে যখন 45 ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে শহর, তখন গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে লাগাতার বিদ্যুৎ পরিষেবায় বিঘ্ন। বাধ্য হয়ে তাই বিদ্যুৎ দফতরেই বিক্ষোভ দেখাল এলাকাবাসী। দুর্গাপুরের বিধাননগরের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের অফিসের ভেতরেই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ 24 নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লি-সহ বিধাননগরের বেশকিছু এলাকাবাসীর।
বন্ধ করে দেওয়া হল বিদ্যুৎ অফিসের আলো-পাখা। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ অফিসের কাজকর্ম। দ্রুত বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না-হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি। ব্যাপক উত্তেজনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা ফটিক কুমার দে অভিযোগ করে বলেন, "কোনওদিন সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ থাকছে আবার কোনওদিন ভোল্টেজই থাকছে না। চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশুদের ৷ এলাকায় রয়েছে একটি ট্রান্সফরমার। অত্যাধিক চাপে বার বার পুড়ে যাচ্ছে সেই ট্রান্সফরমার। ফলে এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না ৷ চূড়ান্ত দুরাবস্থার মধ্যে পড়েছেন শতাধিক মানুষ। জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু তিনি এতদিন গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না। তাই বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ অফিসে এসে এই বিক্ষোভ ৷"
বিক্ষোভকারী তারকনাথ ঘোষ পরিষ্কার জানিয়েছেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত এলাকায় ফ্যান চলছে, লাইট জ্বলছে ততক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ অফিসেরও ফ্যান-লাইট বন্ধ থাকবে। বিক্ষোভকারী অন্নপূর্ণা মালাকার জানান, বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে রয়েছে ৷ বারবার বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ভীষণ কষ্টের মধ্যে তাঁকে থাকতে হচ্ছে ৷ আগে বিদ্যুৎ অফিসে সমস্যার কথা জানানো হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি ৷ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দ্রুত বিদুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে।
আরও পড়ুন
1. পাঁচ বছর ফ্রি রেশন-বিদ্যুৎ, প্রবীণদের চিকিৎসাও বিনামূল্যে; একগুচ্ছ সংকল্প মোদির
2. 'প্রধানমন্ত্রী-সূর্য ঘর: বিনামূল্য বিদ্যুৎ যোজনা'য় ব্য়াপক সাড়া দেখে উচ্ছ্বসিত মোদি
3. একমাসে বিদ্যুৎ বিল 1 কোটি টাকা, দেখে চক্ষু চড়কগাছ শ্রমিকের