ETV Bharat / state

বাতিল করুন NEET, রাজ্যের হাতে দিন ডাক্তারি পরীক্ষার দায়িত্ব, মোদিকে চিঠি মমতার - Mamata on NEET Issue

Mamata on NEET Issue: মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার দাবি নিয়ে মোদিকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ রাজ্য সরকার পড়ুয়া পিছু 50 লক্ষ টাকা খরচ করে ৷ আর সে কারণেই প্রবেশিকা নেওয়ার অধিকার দেওয়া হোক রাজ্যকেই ৷ প্রধানমন্ত্রীকে এমনই চিঠি দিয়েছেন মমতা ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 24, 2024, 7:25 PM IST

Mamata on NEET Issue
মোদিকে মমতার চিঠি (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 24 জুন: রাজ্যের হাতে মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-র স্বাধীনতার দেওয়া হোক ৷ এই দাবি তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল নিট এবং নেটের প্রশ্ন ফাঁস বিতর্কে। এর মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানালেন। কী সেই দাবি? মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন মেডিক্যালে ফের আগের মতোই পুরনো পদ্ধতি ফেরানো হোক। সর্বভারতীয় নিট বাতিল করে রাজ্যের হাতে জয়েন্টে ট্রান্স-এর মাধ্যমে মেডিক্যালে ছাত্র ভর্তির সুযোগ দেয়া হোক।

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে বর্তমানে মেডিক্য়াল প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-এর দুর্নীতির কথাও তুলে ধরেছেন। সেখানে তিনি এও জানান, অবিলম্বে যেন নিট পরীক্ষা বাতিল করে রাজ্যের হাতে আবারও মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী যে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে তাতে নিট পরীক্ষা নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি করেছেন তিনি। একইসঙ্গে এটাও উল্লেখ করেছেন, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ মেডিক্য়াল পড়তে আগ্রহী কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থীর কর্মজীবন এবং আকাঙ্খা বড় প্রশ্নচিহ্নের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "শিক্ষার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যার সঙ্গে চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ দিক জড়িয়ে, তাকে কোনও ভাবেই অবহেলা করা যায় না। এতে দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়তে পারে। আর সে কারণেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রবেশিকার যে অধিকার এই মুহূর্তে কেন্দ্রের হাতে রয়েছে, তা রাজ্যগুলির হাতে দেওয়া হোক।"

উল্লেখ্য, 2017 সাল পর্যন্ত গোটা দেশে রাজ্যভিত্তিক জয়েন্ট এন্ট্রান্স-এর মাধ্যমে মেডিক্যালে প্রবেশিকার সুযোগ ছিল। পরবর্তী সময় সর্বভারতীয় প্রবেশিকার মাধ্যমেই মেডিক্য়ালে পড়ার সুযোগ হয় ছাত্রছাত্রীদের। এখানেই মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "যেহেতু ছাত্র-ছাত্রীরা মেডিক্য়ালে পড়াশোনা এবং ইন্টার্নশিপের জন্য রাজ্য সরকার 50 লক্ষ টাকা খরচ করে, তাই প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে মেডিক্যালে পড়ুয়াদের বেছে নেওয়ার অধিকার রাজ্যের হাতেই থাকা উচিত। বর্তমান যে ব্যবস্থা, তাতে শুধুমাত্র ধনী পরিবারের ছেলে-মেয়েরাই সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু গরিব ও মধ্যবিত্ত মেধাবী পড়ুয়ারা এই ব্যবস্থার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।"

মুখ্যমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে মূল কথাই হল নিট দুর্নীতি। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, "প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়া, পরীক্ষা পর্যালোচনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়ার খবর, এই সমস্ত বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ ও পরিষ্কার একটি তদন্ত হওয়া উচিত। এর ফলে লক্ষ লক্ষ মেডিক্য়াল পড়ুয়ার জীবনে একটি আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।" শুধু তাই নয়, এই চিঠিতে তিনি এও উল্লেখ করেছেন, "এই ধরনের দুর্নীতি হলে শুধুমাত্র পড়াশোনা নয়, সারা দেশের চিকিৎসার মানেরও অনেক অবনতি হবে।"

প্রসঙ্গত, এর আগের রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রীর মুখেও শোনা গিয়েছিল একই কথা। তিনিও জানিয়েছিলেন, রাজ্যের হাতেই মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা ফিরিয়ে দেওয়া হোক, যা নিতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। কিন্তু এরপরই রাজ্যে শিক্ষা মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন কেন্দ্রীয়শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার । যদিও এর মাঝে ইতিমধ্যেই তদন্ত চলছে ।

কলকাতা, 24 জুন: রাজ্যের হাতে মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-র স্বাধীনতার দেওয়া হোক ৷ এই দাবি তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল নিট এবং নেটের প্রশ্ন ফাঁস বিতর্কে। এর মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানালেন। কী সেই দাবি? মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন মেডিক্যালে ফের আগের মতোই পুরনো পদ্ধতি ফেরানো হোক। সর্বভারতীয় নিট বাতিল করে রাজ্যের হাতে জয়েন্টে ট্রান্স-এর মাধ্যমে মেডিক্যালে ছাত্র ভর্তির সুযোগ দেয়া হোক।

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে বর্তমানে মেডিক্য়াল প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-এর দুর্নীতির কথাও তুলে ধরেছেন। সেখানে তিনি এও জানান, অবিলম্বে যেন নিট পরীক্ষা বাতিল করে রাজ্যের হাতে আবারও মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী যে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে তাতে নিট পরীক্ষা নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি করেছেন তিনি। একইসঙ্গে এটাও উল্লেখ করেছেন, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ মেডিক্য়াল পড়তে আগ্রহী কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থীর কর্মজীবন এবং আকাঙ্খা বড় প্রশ্নচিহ্নের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "শিক্ষার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যার সঙ্গে চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ দিক জড়িয়ে, তাকে কোনও ভাবেই অবহেলা করা যায় না। এতে দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়তে পারে। আর সে কারণেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রবেশিকার যে অধিকার এই মুহূর্তে কেন্দ্রের হাতে রয়েছে, তা রাজ্যগুলির হাতে দেওয়া হোক।"

উল্লেখ্য, 2017 সাল পর্যন্ত গোটা দেশে রাজ্যভিত্তিক জয়েন্ট এন্ট্রান্স-এর মাধ্যমে মেডিক্যালে প্রবেশিকার সুযোগ ছিল। পরবর্তী সময় সর্বভারতীয় প্রবেশিকার মাধ্যমেই মেডিক্য়ালে পড়ার সুযোগ হয় ছাত্রছাত্রীদের। এখানেই মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "যেহেতু ছাত্র-ছাত্রীরা মেডিক্য়ালে পড়াশোনা এবং ইন্টার্নশিপের জন্য রাজ্য সরকার 50 লক্ষ টাকা খরচ করে, তাই প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে মেডিক্যালে পড়ুয়াদের বেছে নেওয়ার অধিকার রাজ্যের হাতেই থাকা উচিত। বর্তমান যে ব্যবস্থা, তাতে শুধুমাত্র ধনী পরিবারের ছেলে-মেয়েরাই সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু গরিব ও মধ্যবিত্ত মেধাবী পড়ুয়ারা এই ব্যবস্থার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।"

মুখ্যমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে মূল কথাই হল নিট দুর্নীতি। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, "প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়া, পরীক্ষা পর্যালোচনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়ার খবর, এই সমস্ত বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ ও পরিষ্কার একটি তদন্ত হওয়া উচিত। এর ফলে লক্ষ লক্ষ মেডিক্য়াল পড়ুয়ার জীবনে একটি আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।" শুধু তাই নয়, এই চিঠিতে তিনি এও উল্লেখ করেছেন, "এই ধরনের দুর্নীতি হলে শুধুমাত্র পড়াশোনা নয়, সারা দেশের চিকিৎসার মানেরও অনেক অবনতি হবে।"

প্রসঙ্গত, এর আগের রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রীর মুখেও শোনা গিয়েছিল একই কথা। তিনিও জানিয়েছিলেন, রাজ্যের হাতেই মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা ফিরিয়ে দেওয়া হোক, যা নিতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। কিন্তু এরপরই রাজ্যে শিক্ষা মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন কেন্দ্রীয়শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার । যদিও এর মাঝে ইতিমধ্যেই তদন্ত চলছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.