ETV Bharat / state

পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদায় খারাপ ফল, অভিষেকের তুলোধোনা জেলা নেতৃত্বকে - ABHISHEK BANERJEE

জেলার নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের অভিযোগ অভিষেকের ৷ শীঘ্রই পূর্ব মেদিনীপুরে সভা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ৷

ABHISHEK BANERJEE
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : March 16, 2025 at 1:39 PM IST

3 Min Read

কলকাতা, 16 মার্চ: বৈঠক ছিল 'ভূতুড়ে ভোটার' প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বস্তরীয় নেতাদের নিয়ে ৷ কিন্তু, সেখানেই পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদা-সহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের 'ক্লাস' নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ গত লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদা জেলায় খারাপ ফলের জন্য জেলার নেতা, মন্ত্রী, সভাপতি, ব্লক ও বুথ সভাপতি সকলেই দায়ী করলেন তিনি ৷

পূর্ব মেদিনীপুর প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, "কাঁথি ও তমলুকে বিজেপি জিতেছে ৷ কিন্তু, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কতগুলো কাজ ওখানে হয়েছে ? সাধারণ মানুষকে প্রশ্ন করতে বলুন ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, ক্ষমতা প্রয়োগ করে, এজেন্সি ভয় দেখিয়ে ভোট করিয়েছে ৷ তমলুকে যে বিজেপি জিতেছে, কত পয়সার কাজ কেন্দ্র থেকে নিয়ে এসেছে ?"

এরপরেই শুভেন্দু-গড়ে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে জেলার নেতাদের নিশানা করেন অভিষেক ৷ তাঁর কথায়, "কাঁথিতে দল আরও জোরালো ভাবে ঝাঁপালে জয় সম্ভব ছিল ৷ দলের অভ্যন্তরে সমন্বয়ের অভাবের কারণেই দলকে হারতে হয়েছে ৷ বিজেপি সেখানে মিথ্যে প্রচার করেছে ৷ কিন্তু, তার পালটা আপনারা মানুষের কাছে যাননি ৷"

এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নিয়ে সভা করার কথা জানিয়েছেন অভিষেক ৷ সেখানকার 16টি বিধানসভার মধ্যে 9টি বিধানসভায় তৃণমূল গত লোকসভায় জিতেছে ৷ সেই সংখ্যাটা চেষ্টা করলেই বদলানো যেত বলে মনে করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷ তাই তাঁর বার্তা, ছাব্বিশের নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে কমপক্ষে 12টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন তিনি ৷

ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে মালদার ফলাফল নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানকার দু’টি আসনের একটি বিজেপি ও একটি কংগ্রেস জিতেছে ৷ এ নিয়ে তাঁর অভিযোগ, "বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রচারের ভুল তথ্যের মোকাবিলা করতে পারেননি তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ মালদার ফল খারাপ হওয়ার জন্য জেলা ও ব্লক নেতৃত্ব দায়ী ৷ মন্ত্রী হয়েছেন, পদ পেয়েছেন, কিন্তু ভোটের সময় সক্রিয় হননি অনেকে ৷ যুদ্ধের সময় যে মায়ের সঙ্গে বেইমানি করে, সে তৃণমূলের কর্মী নয়।"

সবমিলিয়ে, দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, কৌশলগত ব্যর্থতা এবং নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তাকেই পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদার হারের জন্য দায়ী করলেন অভিষেক। এই ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে আরও সংগঠিত হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেন তিনি ৷

এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়ার ফলাফলও খতিয়ে দেখেন অভিষেক ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি আসনে ফল ভালো হলেও, খড়গপুর সদরে প্রত্যাশিত জয় আসেনি বলে জানান তিনি ৷ পশ্চিম বর্ধমানে 137টি বুথে পিছিয়ে থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি ৷ পুরুলিয়ায় কিছু ব্লকে ভালো ফল করলেও, পুরুলিয়া বিধানসভায় হতাশাজনক ফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷

উত্তরবঙ্গের ফলাফলও পর্যালোচনা করেন তৃণমূলের এই শীর্ষ নেতা। জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের মতো আসনে হারের কারণও খুঁজে দেখার নির্দেশ দেন অভিষেক ৷ তবে, চোপড়া ও দক্ষিণ 24 পরগনায় দলের ভালো ফল হওয়া নিয়ে জেলা নেতৃত্বের প্রশংসা করেন তিনি ৷

কলকাতা, 16 মার্চ: বৈঠক ছিল 'ভূতুড়ে ভোটার' প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বস্তরীয় নেতাদের নিয়ে ৷ কিন্তু, সেখানেই পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদা-সহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের 'ক্লাস' নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ গত লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদা জেলায় খারাপ ফলের জন্য জেলার নেতা, মন্ত্রী, সভাপতি, ব্লক ও বুথ সভাপতি সকলেই দায়ী করলেন তিনি ৷

পূর্ব মেদিনীপুর প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, "কাঁথি ও তমলুকে বিজেপি জিতেছে ৷ কিন্তু, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কতগুলো কাজ ওখানে হয়েছে ? সাধারণ মানুষকে প্রশ্ন করতে বলুন ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, ক্ষমতা প্রয়োগ করে, এজেন্সি ভয় দেখিয়ে ভোট করিয়েছে ৷ তমলুকে যে বিজেপি জিতেছে, কত পয়সার কাজ কেন্দ্র থেকে নিয়ে এসেছে ?"

এরপরেই শুভেন্দু-গড়ে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে জেলার নেতাদের নিশানা করেন অভিষেক ৷ তাঁর কথায়, "কাঁথিতে দল আরও জোরালো ভাবে ঝাঁপালে জয় সম্ভব ছিল ৷ দলের অভ্যন্তরে সমন্বয়ের অভাবের কারণেই দলকে হারতে হয়েছে ৷ বিজেপি সেখানে মিথ্যে প্রচার করেছে ৷ কিন্তু, তার পালটা আপনারা মানুষের কাছে যাননি ৷"

এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নিয়ে সভা করার কথা জানিয়েছেন অভিষেক ৷ সেখানকার 16টি বিধানসভার মধ্যে 9টি বিধানসভায় তৃণমূল গত লোকসভায় জিতেছে ৷ সেই সংখ্যাটা চেষ্টা করলেই বদলানো যেত বলে মনে করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷ তাই তাঁর বার্তা, ছাব্বিশের নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে কমপক্ষে 12টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন তিনি ৷

ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে মালদার ফলাফল নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানকার দু’টি আসনের একটি বিজেপি ও একটি কংগ্রেস জিতেছে ৷ এ নিয়ে তাঁর অভিযোগ, "বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রচারের ভুল তথ্যের মোকাবিলা করতে পারেননি তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ মালদার ফল খারাপ হওয়ার জন্য জেলা ও ব্লক নেতৃত্ব দায়ী ৷ মন্ত্রী হয়েছেন, পদ পেয়েছেন, কিন্তু ভোটের সময় সক্রিয় হননি অনেকে ৷ যুদ্ধের সময় যে মায়ের সঙ্গে বেইমানি করে, সে তৃণমূলের কর্মী নয়।"

সবমিলিয়ে, দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, কৌশলগত ব্যর্থতা এবং নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তাকেই পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদার হারের জন্য দায়ী করলেন অভিষেক। এই ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে আরও সংগঠিত হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেন তিনি ৷

এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়ার ফলাফলও খতিয়ে দেখেন অভিষেক ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি আসনে ফল ভালো হলেও, খড়গপুর সদরে প্রত্যাশিত জয় আসেনি বলে জানান তিনি ৷ পশ্চিম বর্ধমানে 137টি বুথে পিছিয়ে থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি ৷ পুরুলিয়ায় কিছু ব্লকে ভালো ফল করলেও, পুরুলিয়া বিধানসভায় হতাশাজনক ফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷

উত্তরবঙ্গের ফলাফলও পর্যালোচনা করেন তৃণমূলের এই শীর্ষ নেতা। জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের মতো আসনে হারের কারণও খুঁজে দেখার নির্দেশ দেন অভিষেক ৷ তবে, চোপড়া ও দক্ষিণ 24 পরগনায় দলের ভালো ফল হওয়া নিয়ে জেলা নেতৃত্বের প্রশংসা করেন তিনি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.