মগরাহাট, 26 মার্চ: বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে, একটি কন্টেনার ভ্যান ৷ যার মধ্যে মাছ, দুধ, শাক-সবজি নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু না, এই কন্টেনার ভ্যানে নিত্য প্রয়োজনীয় কোনও সামগ্রী ছিল না ৷ খালি মাছের ক্রেটের আড়ালে গুপ্ত একটি কেবিনে পাচার করা হচ্ছিল 118 কেজি গাঁজা ৷ মঙ্গলবার বিকেলে সেই বিপুল পরিমাণ গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেছে দক্ষিণ 24 পরগনার মগরাহাট থানার পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, মগরাহাট থানার আধিকারিকরা জানতে পারেন, একটি কন্টেনার ভ্যানে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার করা হচ্ছে ৷ ওড়িশা থেকে সেই কন্টেনার ভ্যানটি মগরাহাট-ধামুয়া রোড দিয়ে মগরাহাটে ঢুকবে ৷ খবর অনুযায়ী, আমড়াতলার তিনমাথার মোড়ে নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ ৷
তল্লাশি চলাকালীন একটি কন্টেনার গাড়িকে দূর থেকে আসতে দেখে থামতে নির্দেশ দেয় পুলিশ ৷ অভিযোগ, সেই সময় চালক কন্টেনার ভ্যানটিকে রাস্তার একপাশে দাঁড় করিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান ৷ তবে, গাড়িতে থাকা আরেক পাচারকারীকে ধরে ফেলে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, কন্টেনারের দরজা খুলতে দেখা যায়, সামনে সারি দিয়ে মাছের ক্রেট রাখা ৷ কিন্তু, সেগুলি সব ফাঁকা ছিল ৷ সেই ক্রেটগুলি বের করার পর ভিতরে সিল করা একটি কেবিনের হদিশ পান তদন্তকারীরা ৷ সেটিকে ভাঙা হলে, ভিতর থেকে একের পর এক গাঁজার প্যাকেট বেরিয়ে আসতে থাকে ৷

এ নিয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে বলেন, "গতকাল ওড়িশা থেকে একটি গাড়ি মগরাহাট-ধামুয়া রোড ধরে মগরাহাট এলাকায় প্রবেশ করছিল ৷ পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল, এই গাড়িতে আসছে বিপুল পরিমাণ মাদক ৷ এরপর মগরাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে গাড়িটিকে আমড়াতলা এলাকার কাছে আটক করা হয় ৷ রাস্তার উপর পুলিশকে দেখে চম্পট দেয় গাড়ির চালক ৷"
তিনি জানান, গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণে মাদক উদ্ধার হয় ৷ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কথায়, "এরপর সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ মাদক ৷ নারকোটিক্স ডিপার্টমেন্টকে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে উদ্ধার হওয়া মাদক সম্পর্কে ৷ আনুমানিক 118 কেজি ওজনের গাঁজা বলে জানা গিয়েছে ৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে ৷ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে ৷ উদ্ধার হওয়া মাদকের বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা ৷"
তবে, এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা মগরাহাটে কোথায় ও কাদের কাছে যাচ্ছিল, তা এখনও জানা যায়নি ৷ এ নিয়ে ধৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ ৷