কলকাতা, 28 মার্চ: নবম রাজ্য গেমসের সূচনায় এসে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কড়া সমালোচনায় রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, "জাতীয় গেমসে সাফল্য আনন্দের। 47টি পদক এসেছে জাতীয় গেমস থেকে। পদক তালিকায় আট নম্বরে শেষ করেছে বাংলা। যা বিগত জাতীয় গেমসের সাফল্যের তুলনায় ভালো। কিন্তু যত সংস্থা বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে রয়েছে তার তুলনায় এই পদক সংখ্যা নিতান্তই কম। সাফল্যের হার প্রশ্নাতীত নয়।" এমনকী যে সকল রাজ্য সংস্থা সাফল্য পেয়েছে এবং যারা পায়নি, সকলের মূল্যায়ন প্রয়োজন বলে মনে করেন ক্রীড়ামন্ত্রী। কোথায় ভুল হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা উচিত বলেও মনে করেন তিনি ৷
ক্রীড়ামন্ত্রী জানান, বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্ব সেটাই ৷ রাজ্য সরকার সবধরনের পরিকাঠামো দেওয়ার পরেও কেন সাফল্য নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক বলে মনে করেন অরূপ বিশ্বাস। রাজ্য সরকার জাতীয় গেমসে সাফল্যের প্রত্যুত্তরে চাকরির নিশ্চয়তা দিয়েছে। যা অন্য কোনও রাজ্যে নেই বলে জানিয়েছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী ৷ শুধু বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অধীনস্ত রাজ্য ক্রীড়া সংস্থাগুলোই নয়, ক্রীড়ামন্ত্রীর আতস কাচের তলায় বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনও। দেশের অলিম্পিক্সগামী দলে বাংলার প্রতিনিধি কেন নেই, তার ব্যাখ্যাও খুঁজে দেখতে বলেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী।
এখানেই শেষ নয় ৷ ব্যর্থতাকে সঙ্গী করে রাজ্য সংস্থা এবং বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের পদ আঁকড়ে রাখা বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস ৷ এমনকী দল নির্বাচনের সময় স্বজনপোষণও বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান তিনি ৷ এই প্রসঙ্গে নাম না-করে অতীতের উদাহরণ টেনেছেন তিনি। যেখানে টেবল টেনিসে সাফল্য থাকা সত্ত্বেও এক মহিলা প্যাডলারকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই মহিলা প্যাডলারকে নিজের দফতরে ডেকে অরূপ বিশ্বাস তদানীন্তন বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিষয়টি দেখতে। পরবর্তী সময়ে সে শুধু রাজ্য নয়, দেশের হয়েও পদক আনছে।
বৃহস্পতিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নবম রাজ্য গেমসের জার্সি উন্মোচন হয়। রাজ্য গেমসের উদ্বোধনে ক্রীড়ামন্ত্রী ছাড়াও রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চন্দন রায়চৌধুরী-সহ উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য পদাধিকারীরাও।