কলকাতা, 21 জুন: মোহনবাগান ক্লাব আর স্বপনসাধন বসু যেন হরিহর আত্মা ৷ গত সাড়ে তিন দশক ধরে গোষ্ঠ পাল সরণির ক্লাবে তাঁর নিঃস্বার্থ অবদান রেখে গিয়েছেন স্বপনসাধন ওরফে টুটু বসু ৷ আর সেই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছর মোহনবাগান রত্ন সম্মান পাচ্ছেন সবুজ-মেরুনের বর্ষীয়ান এই প্রশাসক ৷ শনিবার প্রাক্তন সচিব এবং সভাপতি স্বপনসাধন (টুটু) বসুকে ক্লাবের সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় নয়া কর্মসমিতির বৈঠকে ৷
শনিবার কর্মসমিতির বৈঠকে এও ঠিক করা হয়েছে যে আগামী বছর এই সম্মান পাবেন প্রয়াত সচিব অঞ্জন মিত্র ৷ মোহনবাগান ক্লাবে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রশাসনিক পদে থেকে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই দুই দিকপাল প্রশাসককে সর্বোচ্চ এই সম্মান প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সবুজ-মেরুনের নতুন সভাপতি দেবাশিস দত্ত। প্রয়াত সচিব ধীরেন দে'র পর প্রশাসনিক কোনও ব্যক্তিত্বকে ফের মোহনবাগান রত্নে ভূষিত করল ক্লাব ৷ পরপর দু'বছর সবুজ-মেরুন প্রশাসনের দুই কিংবদন্তি কর্তাকে সম্মান প্রদানের ঘোষণা আদতে কর্মকর্তাদের অবদানকেই স্বীকৃতি ৷
এদিকে চলতি বছর মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠানটি হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ৷ বৃষ্টিতে অনুষ্ঠান আয়োজনের অসুবিধা এড়াতেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মোহনবাগান দিবসের বন্দোবস্ত ৷ তবে সকাল থেকে যে সব অনুষ্ঠান হয়ে থাকে সেগুলো সব মোহনবাগান মাঠেই হবে ৷ 11 জুলাই ফের কার্যকরী কমিটির বৈঠক ৷ ওই দিন মোহনবাগান দিবসের বাকি পুরস্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত সচিব সৃঞ্জয় বসু ৷
বাবা মোহনবাগান রত্নে সম্মানিত হচ্ছেন জেনে আপ্লুত ছেলে সৃঞ্জয়। তিনি বলছেন, "এই সম্মান মোহনবাগানের প্রতি অবদানের স্বীকৃতি ৷ যা আনন্দের ৷ ক্লাবের তরফে সর্বোচ্চ সম্মান পেয়ে খুশির শেষ নেই টুটু বসুরও ৷ কার্যকরী কমিটিকে লেখা চিঠিতে তিনি ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেছেন ৷ টুটু বসু লেখেন, "আমি নবগঠিত কার্যকরী সমিতিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাকে 'মোহনবাগান রত্ন' দেওয়ার জন্য ৷ 1991 সাল থেকে সাধ্যমতো যতদিন পেরেছি, যতটা পেরেছি, মাতৃসম মোহনবাগান ক্লাবের সেবা করে এসেছি ৷ অগণিত মোহনবাগান সদস্য এবং সমর্থকদের জানাই আমার আকণ্ঠ সবুজ-মেরুন ভালবাসা ৷ পুনর্জন্ম বলে যদি সত্যিই কিছু থাকে, তাহলে সেই জন্মেও মোহনবাগানের সেবা করতে চাই ৷ জয় মোহনবাগান ৷"