সেরাভাল্লে (সান মারিনো), 6 সেপ্টেম্বর: 20 বছর, 140 ম্যাচ ৷ প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল ম্যাচে কোনও জয় ছিল না সান মারিনোর ৷ অবশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ৷ দু'দশক পর ম্য়াচ জিতল ফিফা ব়্যাংকিংয়ে সবচেয়ে নীচে থাকা ইউরোপের দেশটি ৷ উয়েফা নেশনস লিগে গ্রুপের প্রথম ম্য়াচে শুক্রবার লিখেনস্টেইনকে 1-0 গোলে হারিয়ে দিল তারা ৷ যা সান মারিনোর ঐতিহাসিক জয়ও বটে ৷
ফিফা ক্রমতালিকায় 199তম স্থানে থাকে লিখেনস্টেইনের বিরুদ্ধে এদিন ম্য়াচে 53 মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন নিকো সেনসোলি ৷ উল্লেখযোগ্যভাবে, 2004 সালে এক প্রীতি ম্যাচে এই লিখেনস্টেইনের বিরুদ্ধেই শেষ ম্যাচটি জিতেছিল ইউরোপের ছোট্ট দেশটি ৷ যার জনসংখ্যা 33 হাজারের সামান্য বেশি ৷
FINAL DEL PARTIDO.
— San Marino Fútbol 🇸🇲 (@SanMarinoTeam) September 5, 2024
🇸🇲 SAN MARINO 1-0 LIECHTENSTEIN 🇱🇮
FINALMENTE LLEGÓ ESE DÍA QUE TODO EL PLANETA LO PUEDE DECIR:
🇸🇲 ¡GANÓ SAN MARINO! 🇸🇲
DESPUÉS 20 AÑOS, 4 MESES Y 8 DÍAS, HEMOS VUELVO AL TRIUNFO.
TE AMO SAN MARINO DE MI VIDA, YO VI GANAR UN PARTIDO. GRACIAS MUCHACHOS. pic.twitter.com/yzTxIY0D0F
আরও মজার বিষয় হল এদিন সান মারিনোর হয়ে একমাত্র গোলটি যিনি করেন, সেই সেনসোলির বয়স মাত্র 19 বছর ৷ অর্থাৎ, 20 বছর আগে শেষবার সান মারিনো যখন কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্য়াচ জিতেছিল, তখন তাঁর জন্মই হয়নি ৷ এদিন নেশনস লিগের ম্যাচে প্রথমার্ধজুড়ে দাপট ছিল লিখেনস্টেইনের ৷ বিরতির আগে তারা একটি গোলও করে ৷ কিন্তু সেটি বাতিল করা হয় ৷
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আসে সেই মুহূর্ত, যখন গোল করে 20 বছর পর দেশকে জয় এনে দেন সেনসোলি ৷ গত দু'দশক ধরে কোনও জয় না-এলেও সাম্প্রতিক অতীতে সান মারিনোর খেলায় উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ সেইখেলেস, সেন্ট কিটসের মত দেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র অন্তত তাই প্রমাণ করে ৷ চলতি নেশনস লিগে ডি1 গ্রুপে রয়েছে সান মারিনো ৷ লিখেনস্টেইনের সঙ্গে সেই গ্রুপে আছে জিব্রাল্টার ৷