বেঙ্গালুরু, 5 জুন: আইপিএলে ঐতিহাসিক খেতাব জয়ের পরের দিনই বেঙ্গালুরুতে ট্রফি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কোহলিরা। দলের আনন্দের দিনে প্রিয় তারকাদের একঝলক দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন সকলে। তবে এর জেরেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে হুড়োহুড়িতে প্রাণ যায় 11 জন আরসিবি সমর্থকের, আহতর সংখ্যাটা অন্তত 47। ঘটনার প্রায় 6 ঘণ্টার পর সোশাল মিডিয়ায় পুরো ঘটনায় বিবৃতি দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছে আরসিবি। পাশাপাশি এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ বিরাট কোহলি।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু'র তরফে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে, "আজ (বুধবার) বিকেলে দলের আগমনের আশায় সমর্থকরা ভিড় জমান এবং তারপর যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সকলের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাটাই আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য আমরা সমব্যথী।"
পোস্টে আরও উল্লেখ, "পুরো বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা অনুষ্ঠান সংশোধন করে স্থানীয় আধিকারিকদের নির্দেশ অনুযায়ীই যা করতে বলা হয়, তেমনটা করি। আমাদের সকল সমর্থকদের সুরক্ষিত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।"
𝗢𝗳𝗳𝗶𝗰𝗶𝗮𝗹 𝗦𝘁𝗮𝘁𝗲𝗺𝗲𝗻𝘁: 𝗥𝗼𝘆𝗮𝗹 𝗖𝗵𝗮𝗹𝗹𝗲𝗻𝗴𝗲𝗿𝘀 𝗕𝗲𝗻𝗴𝗮𝗹𝘂𝗿𝘂
— Royal Challengers Bengaluru (@RCBTweets) June 4, 2025
We are deeply anguished by the unfortunate incidents that have come to light through media reports regarding public gatherings all over Bengaluru in anticipation of the team’s arrival this… pic.twitter.com/C0RsCUzKtQ
যাঁকে ঘিরে আরসিবি'র অনুরাগীদের সবথেকে বেশি উন্মাদনা তিনি কিং কোহলি ৷ দলের তরফে এই পোস্টের পরই কম্যান্ট সেকশনে বিরাট কোহলি লিখেছেন, "ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। অত্যন্ত হৃদয় বিদারক।"

এরপরই একটি হার্টভাঙার ইমোজি দিয়েছেন কোহলি ৷ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবারই আরসিবি'র ভিকট্রি প্যারাড হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়ে যায় । আরসিবির দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি, অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্ণাটকের ক্রিকেট সংস্থা (কেএসসিএ) মৃতদের পরিবার প্রতি 5 লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে।

এই ঘটনায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া মৃতদের জন্য 10 লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদানের কথা ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে পরোক্ষে দায়ী করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড । বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সইকিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই ব্যাপারে উদ্যোক্তাদের আরও সুচিন্তিত পরিকল্পনা করার প্রয়োজন ছিল ।