প্যারিস, 11 অগস্ট: পাঁচটি ব্রোঞ্জ ও একটি রুপো প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতের ঝুলিতে ৷ সেই সংখ্যাটা কি সাত হবে? তারকা কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগতের হাতে ধরে কি আরও একটি রুপো আসতে চলেছে? সোনার আশা ভঙ্গ হলেও অনেকেই চাইছেন রুপোটা পেয়ে যান ভিনেশ। সেই আশা কি পূরণ হবে? শনিবার ভিনেশের রুপোর পদক মামলার রায় প্রথমে একদিন পিছিয়ে দিয়েছিল কোর্ট অফ আরবিট্রেশন। প্রথমে জানানো হয় রবিবার রাত 9.30 নাগাদ ভিনেশ পদক পাবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত বা রায় জানিয়ে দেওয়া হবে ৷ কিন্তু ফের বদলালো দিনক্ষণ ৷
IOA অর্থাৎ ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাশোসিয়েশন একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে জানায়, ভিনেশ মামলায় আরও বেশ কিছু বিষয়ে শুনানি হবে রবিবার রাত 9টা 30 মিনিট নাগাদ ৷ সিএএস-এর পক্ষে ডঃ অ্যানাবেল বেনেট রবিবার সন্ধ্যা 6টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন দু'পক্ষকে (ভিনেশ ফোগত বনাম ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং) প্রয়োজনীয় নথি এবং প্রমাণ জমা দিতে। তার উপর ভিত্তি করেই রায় দেওয়া হবে রবিবারই। কিন্তু এই বিবৃতির পরই আরও এক বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চেয়ে বলা হয় ভিনেশের পদক মামলার চূড়ান্ত রায় ফের পিছিয়ে মঙ্গলবার অর্থাৎ, 13 অগস্ট সন্ধে 6টার মধ্যে জানানো হবে ৷
উল্লেখ্য, শুক্রবার 3 ঘণ্টা ধরে ভিনেশের মামলা শোনেন অ্যানাবেল বেনেট। সেখানে ভিনেশের হয়ে লড়েন ফ্রান্সের চার জন আইনজীবী। তাছাড়া, ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার হয়ে হরিশ সালভে ও বিদুষ্পত সিঙ্ঘানিয়া ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন শুনানিতে। তাঁরা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে, ভিনেশ বেআইনি কিছু করেননি। কোনও অসৎ উপায় অবলম্বন করেননি। যোগ্য হিসাবেই ফাইনালে উঠেছিলেন। তা হলে কেন তাঁকে রুপো দেওয়া হবে না? এরপর এই মামলার শুনানি শনিবার অর্থাৎ গতকাল হওয়ার কথা ছিল ৷ তারপর আজ রাত সাড়ে ন'টার কথা বলা হয় ৷ পরে বলা হয় 13 অগস্ট ভিনেশের পদক মামলার রায় দেওয়া হবে ৷
প্রসঙ্গত, একদিনে তিন প্রতিপক্ষকে মাটি ধরিয়ে রুপো নিশ্চিত করেছিলেন ভিনেশ ফোগত। তাঁকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন দেশ। কিন্তু, ফাইনালের দিন সকালেই আকাশ ভেঙে পড়ে। মঙ্গলবার ফাইনাল ম্যাচের সকালে ওজন পরিমাপের সময় নির্ধারিত 50 কেজির তুলনায় ভিনেশ ফোগতের ওজন 100 গ্রাম বেশি থাকায় তাঁকে 'অযোগ্য' ঘোষণা করা হয় ৷ তাঁকে সবরকম পদক থেকে বঞ্চিত করা হয় ৷ সোমবার সেমিফাইনাল জয়ের পরেই ওজন অনেকটা বেড়ে যায় ভারতীয় কুস্তিগীরের ৷ সারারাত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও 100 গ্রামের ব্যবধান ঘোচানো যায়নি কোনওভাবেই ৷ তার ফলে তিনি ছিটকে যান সোনার লড়াই থেকে। অলিম্পিক্স অভিযানও শেষ হয়ে যায়। রুপোও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরই প্রতিবাদ জানিয়ে ন্যায়বিচারের জন্য ক্রীড়া আদালতে গিয়েছেন ভিনেশ।