নেলোর, 1 অক্টোবর: শোনা যায় আবিষ্কারক এরনো রুবিক নিজেই আবিষ্কারের পর সমাধানে সময় নিয়েছিলেন এক মাস ৷ এমনকী তামাম বিশ্বে তাঁর তৈরি ঘনকধাঁধাঁ যে এমন সাড়া ফেলবে, তা একবারের জন্যও হয়তো আঁচ করেননি রুবিক ৷ সেই রুবিক্স কিউবই চোখের নিমেষে সমাধান করে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলে ফেলল অন্ধ্রের নয়ন মৌর্য ৷ 59 মিনিটে 271 বার রুবিক্স কিউব সলভ করে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলল নেলোরের কিশোর ৷
নয়নের রুবিক্স কিউবের প্রতি আগ্রহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৷ ঘটনাচক্রে নেলোরে এসে পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরুর আগে কয়েকবছর বাবা-মা'য়ের সঙ্গে আমেরিকায় ছিল নয়ন ৷ 2020 সালে ভারতে এসে বসবাস শুরু করে মৌর্য পরিবার ৷ নয়ন জানিয়েছে, প্রথম প্রথম শখেই বন্ধুদের থেকে নিয়ে রুবিক্স কিউব সলভ করত সে ৷ পাজল বা ঘনকধাঁধাঁর প্রতি আগ্রহ দেখে সন্তানকে একবার জন্মদিনে রুবিক্স কিউব উপহার দেন শ্রীনিবাস ও স্বপ্না ৷ নয়ন বলেন, "বন্ধুদের দেখে আমার রুবিক্স কিউবের প্রতি আগ্রহ জন্মায় ৷ তারপর থেকে নিয়মিত এটা অনুশীলন করছি আমি ৷"
যদিও সন্তানের এই সাফল্যের পিছনে নয়নের মায়ের অবদানও নেহাত কম নয় ৷ আগ্রহ দেখে ছেলেকে 20টি ভিন্ন ধরনের রুবিক্স কিউব কিনে দিয়েছিলেন মা ৷ ধীরে ধীরে গেমের অ্যালগরিদম বুঝে নিয়ে পাজলের সলভের টেকনিকে তুখোড় হয়ে ওঠে নয়ন ৷ এমনকী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজেকে আরও পরিণত করে তোলে নেলোরের কিশোর ৷ কিউবার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবেও নাম লেখায় সে ৷ এরপর শুরু হয় গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলার প্রস্তুতি ৷
যদিও সাধারণভাবে নয়, বরং সাইকেল চালাতে চালাতে কিউব সলভ করার অভিনব উপায় নয়নের মাথায় আসে ৷ দীর্ঘ অনুশীলনের পর চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে গিনেস বুকে নাম তোলেন সে ৷ প্রথম প্রয়াসেই 59 মিনিটে 271 বার ধাঁধাঁ সমাধান করে সফল হয় নয়ন ৷ ঘনকধাঁধাঁ সমাধানের পাশাপাশি নয়ন রাজ্যস্তরের ফুটবলারও বটে ৷ ফুটবলার হিসেবেও অল্প বয়সে অনেক ট্রফি জিতেছে সে ৷ ভবিষ্যতে রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর ৷