হাওড়া, 23 মার্চ: সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবলের ডার্বি আধিপত্য মোহনবাগানের। আইএসএলে দু'প্রধানের আত্মপ্রকাশের পর থেকে একবারও সবুজ-মেরুনকে হারাতে পারেনি লাল-হলুদ ৷ ন'বারের সাক্ষাতে আটবারই জিতেছে মোহনবাগান ৷ একটি ম্য়াচ ড্র ৷ ফুটবল মাঠের আধিপত্য এবার হকির অ্যাস্ট্রোটার্ফেও ৷ রবিবার ছিল ক্য়ালকাটা প্রিমিয়র লিগের ফাইনালে ছিল ডার্বি। ডুমুরজলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এদিনের ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের মধ্যেও ছিল ব্যাপক উন্মাদনা। সেখানেই সবুজ-মেরুনের বাজিমাত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে তাঁরা হারাল 3-1 গোলে ৷
সেইসঙ্গে ক্য়ালকাটা প্রিমিয়র হকি লিগে ফের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় হকি দলের প্রস্তুতি শিবিরে যোগদানের কারণে পাঁচ নিয়মিত খেলোয়াড়কে এদিন পায়নি মোহনবাগান। তাই খাতায়-কলমে দুর্বল বা আন্ডারডগ হিসেবেই নেমেছিল তাঁরা ৷ কিন্তু পজেশনাল হকি এবং পেনাল্টি কর্নারে বাজিমাত করে গেল তাঁরা। পাঁচ মিনিটের মাথায় প্রথম পেনাল্টি কর্নার থেকে অর্জুনের গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের 11 মিনিটে ফের গোল মোহনবাগানের। এবার প্রতি-আক্রমণে গোল করেন কার্তি সেলভম। ঝটিকা আক্রমণে মোহনবাগান 2-0 গোলে এগিয়ে যায়।
তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরু থেকে ইস্টবেঙ্গল চাপ বাড়াতে থাকে। ফলশ্রুতিতে চার মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি কর্নার পায় লাল-হলুদ বাহিনী। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান কমান জাহির। এই সময় মনে হচ্ছিল সমতা ফেরাতে পারে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তৃতীয় কোয়ার্টার শেষে মোহনবাগান 2-1 গোলে এগিয়ে থেকেই শেষ করে। কিন্তু চতুর্থ কোয়ার্টার শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে রাহিল মুশি গোল করতেই মোহনবাগান চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করে। বাকি সময়টা লাল-হলুদ খেলোয়াড়রা চাপ বাড়ালেও সবুজ-মেরুন রক্ষণ আর ভাঙতে পারেনি।