কলকাতা, 28 মার্চ: একটা জয় নাইট শিবিরের চিত্রটা আমূল বদলে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই কেকেআর পৌঁছে গিয়েছে মুম্বইয়ে। শুক্রবার কোনও অনুশীলন রাখা হয়নি ক্রিকেটারদের জন্য ৷ সোমবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলবে তাঁরা। তার জন্য চূড়ান্ত অনুশীলন শনিবার থেকে শুরু করবে পার্পল ব্রিগেড। গুয়াহাটিতে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে জয়ের পর দলের মালিক শাহরুখ খান পুরো দলকে অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়েছেন। যা সাজঘরে পড়ে শুনিয়েছেন কেকেআর সিইও ভেঙ্কি মাইসোর। যেখানে দলের বোলিং বিভাগের যেমন প্রশংসা রয়েছে, তেমনই ব্যাটার কুইন্টন ডি'কক এবং অঙ্গকৃষ রঘুবংশীর প্রশংসা করেছেন বলিউড বাদশা।
দলকে জয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন এসআরকে। বাড়তি অভিনন্দন জানিয়েছেন হেড কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত এবং মেন্টর ডোয়েন ব্র্যাভোকে। দলের ভালো পারম্যান্সের প্রশংসা করেছেন মইন আলিও। ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে খেলার কথা জানতে পেরে দ্রুত নামতে হলেও সুনীল নারিনের অভাব পূরণ করেছেন ইংরেজ স্পিনার। সাজঘরে ফুরফুরে মেজাজের আবহ উঠে এসেছে রিঙ্কু সিংয়ের করা একটি ভিডিয়োয়। পাশাপাশি কলকাতা নাইট রাইডার্সের তরফেও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে রাজস্থান ম্যাচের নায়ক কুইন্টন ডি'কক বলছেন, "টুর্নামেন্টের প্রথম জয় আমাদের। এটা কেবলমাত্র শুরু, সামনের ম্যাচগুলোতে জয়ের হার গতি পাবে।"
On the Flight, with the Knights 🎤🗣️ pic.twitter.com/HpGq3W72bm
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) March 28, 2025
অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে মুম্বইয়ের মানুষ। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম তাঁর তালুর মতো চেনা। চেনা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামার আগে নাইট দলনায়ক বলেন, "অবশ্যই দ্বিতীয় জয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। সবসময়ই ওয়াংখেড়েতে খেলা উপভোগ করি। এখানেই আমি ক্রিকেট শুরু করেছিলাম। এখানকার আবহ, পিচ আমার চেনা ৷ এখানে বোলার-স্পিনার-ব্যাটার সকলেই সুবিধা পাবে, উপভোগ করবে। তবে শেষ ম্যাচটা ইতিহাস। তাই সব ভুলে সামনের দিকে তাকাতে হবে আমাদের।"
এদিকে 3 এপ্রিল নাইটদের হোম ম্যাচ ঘিরে কলকাতায় আগ্রহ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই টিকিটের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী। ইডেনের পিচ নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে ইডেনের পিচের চরিত্র নিয়ে অখুশি নাইটরা। যদিও তাদের তরফে পিচের চরিত্র বদলের কোনও অনুরোধ পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছয়নি। তিনি নিজেই ভালো উইকেটের পক্ষে সওয়াল করেছেন। প্রথম ম্যাচে নাইটরা হারলেও বোলাররা সুবিধা থেকে বঞ্চিত, একথা বলা যাবে না। যা দু'দলের বোলারদের সার্বিক পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে পরিষ্কার। তবে গুয়াহাটির জয় পুরো ছবিটাই বদলে দিয়েছে। পিচ বা বাহ্যিক অনুষঙ্গ নয়, নাইটরা পারফরম্যান্সের জোরে নিজেদের চ্যাম্পিয়ন খেতাব ধরে রাখতে চাইছে। যা আগামী ম্যাচগুলোতে মেলে ধরতে চায় তাঁরা।