কলকাতা, 8 এপ্রিল: ফের বিতর্কের কেন্দ্রে ইডেনের বাইশগজ। ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে এসে পরাজয়ের জন্য ইডেনের বাইশগজ এবং কিউরেটরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন অধিনায়ক অজিঙ্কে রাহানে। অনেক সময় কিছু না বলেও অনেককিছু বলা হয়ে যায়। রাহানে সাংবাদিক সম্মেলনে সেই কাজটাই করলেন। ইডেনের পিচ নিয়ে ওঠা প্রশ্নে নাইট অধিনায়ক বলেছেন, “আমি কিছু বলব না। বললে বিতর্ক হয়ে যাবে। আমি আইপিএল কর্তৃপক্ষকে বলব। ইডেনের পিচ কিউরেটর অনেক বেশি প্রচার পেয়ে গিয়েছেন এবং তা নিয়েই সন্তুষ্ট রয়েছেন। ”
হারে মুহ্যমান ইডেনের আবহে রাহানের এই কথাগুলি স্বাভাবিকভাবেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। ইডেন পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় বলছেন, তিনি কিছু বলবেন না। সকলেই দেখতে পেয়েছে কি হয়েছে। দর্শকরাই বিচার করবে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন এর থেকে ভালো উপভোগ্য আইপিএল ম্যাচ হতে পারত না। চলতি আইপিএলের প্রথম ম্যাচ থেকে ইডেনের পিচের চরিত্র নিয়ে অসন্তোষ কেকেআর শিবির করে আসছে। উদ্বোধনী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে পরাজয়ের পরে রাহানে বলেছিলেন পিচে বল আরেকটু স্পিন করলে ভালো হতো। এরপর প্রচুর জল গড়িয়েছে। এক ধারাভাষ্যকার এবং প্রাক্তন বিদেশি ক্রিকেটার ঘরের মাঠের সুবিধা হোম টিমের পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন। এমনকি ঘরের মাঠে সুবিধা না পাওয়া গেলে কেকেআর-এর হোম পরিবর্তন করার উচিত বলে সওয়াল করেন।
এরপর নাইট হেড কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত বলেন ঘরের মাঠের সুবিধা কোন দল না চায়। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয়ের পরে অজিঙ্কে রাহানে বলেছিলেন একই ধরনের উইকেট তারা বাকি ম্যাচগুলিতেও চাইছেন। লক্ষ্ণৌ ম্যাচে পিচ বদল এবং চরিত্র বদল। তাতে নাইটরা ফের ধরাশায়ী। কড়া সমালোচনা পিচ কিউরেটরের। ব্যস বিতর্কে ফের ইডেনের বাইশ গজ এবং তার কিউরেটর।
টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। রাহানে বলছেন, “এটা সত্যিই কঠিন ম্যাচ ছিল। আমরা লড়াই করেছি। শেষ পর্যন্ত চার রানে পরাজয়। যখন আপনি ২৩০ রানের বেশি রান তাড়া করতে নামছেন তখন স্বাভাবিক ভাবে উইকেট পড়বেই। কিভাবে ব্যাটাররা খেলেছেন তা দেখা উচিত। এই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো। সাধারণত বরুন এবং সুনীল আধিপত্য দেখায়। কিন্তু সুনীল ব্যর্থ হয়েছে। ”
রাহানে-ভেঙ্কটশ-রিঙ্কুর লড়াই ব্যর্থ, বোলিং ব্যর্থতায় ফের হারল নাইটরা