চেন্নাই, 11 এপ্রিল: এক বছর আগের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাঠেই জয়ের স্বাদ ফিরে পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স । শুক্রবার চেন্নাই সুপার কিংসকে তাদের মাঠে হেলায় দুমড়ে দিল নাইটরা । প্রতিপক্ষের 103 রান তাড়া করতে নেমে আট উইকেটে 59 বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় কলকাতা । অপরাজিত দুই ব্যাটার অধিনায়ক অজিঙ্কে রাহানে 20 রানে এবং ব্যাটিং অর্ডারে পদোন্নতি হওয়া রিঙ্কু সিং অপরাজিত 15 রানে ।
এই জয়ের ফলে তিন নম্বরে উঠে এল কেকেআর । 103 রানের পাল্টা 107 । নাইট ইনিংসে হেলায় জয়ের ভিত গড়েন দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং সুনীল নারাইন । 16 বলে তিন ছক্কায় 23 রান করে ফিরে যান কুইন্টন ডি কক । কিন্তু বল হাতে তিন উইকেট নেওয়ার পরে মারকুটে মেজাজে ব্যাটিং নারাইনের । 18 বলে 44 রানের ইনিংস সাজালেন দুটি চার এবং পাঁচটি বিশাল ছক্কায় ।
নেতৃত্বের ব্যাটন মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে তুলে দিয়েও হারের অন্ধকারে চেন্নাই সুপার কিংস । পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন গত আঠারো বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে । পাঁচ ম্যাচে পরাজয় । এবং তা লড়াকু পরাজয় নয়, অসহায় আত্মসমর্পণ ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল এদিন । ফলশ্রুতিতে দ্রুত নিয়মিতভাবে উইকেট পতন । একটা সময় মনে হচ্ছিল চেন্নাই বোধহয় নির্ধারিত 20 ওভার ব্যাট করতে পারবে না এবং রান 100-ও পেরোবে না । শেষ পর্যন্ত 9 উইকেটে 103 রান তোলে ।
চেন্নাইয়ের গ্যালারিতে 'ফরএভার থালা' লেখা টিফো নামিয়েছিলেন সমর্থকরা । তামিল ভাষায় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে 'থালা' সম্বোধন করেন তাঁরা । ধোনি সম্পর্কে অপরিসীম শ্রদ্ধার প্রকাশ । কিন্তু 'থালা' বৃদ্ধ হয়েছেন । বনস্পতির ছায়া তাঁর ব্যাট থেকে আর না আশা করাই ভালো । তা অতীত স্মৃতি । কেকেআরের বিরুদ্ধে ফের অনেক নিচে নয় নম্বরে নামলেন । চার বল খেলে মাত্র এক রান করে সুনীল নারাইনের বলে এলবিডব্লু আউট হয়ে ফিরে গেলেন ।
ধোনির ব্যর্থতা যেন শুক্রবার পুরো চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতার ছবি । রাচিন রবীন্দ্র(4), ডেভন কনওয়ে(12),রবিচন্দ্রন অশ্বিন(1),রবীন্দ্র জাদেজা(0),দীপক হুডা(0)। আইপিএলের হলুদ জার্সির গণ বিপর্যয়ের ছবি । চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ রান শিবম দুবের 29 বলে 31 । দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ রান বিজয় শঙ্করের । 21 বলে 29, রাহুল ত্রিপাঠির 22 বলে 16 । এর আগে চেন্নাই ঘরের মাঠে কখনও 103 রানে ইনিংস শেষ করেনি ।
চেন্নাইয়ের লাল মাটির উইকেটের কথা মাথায় রেখে বরুণ চক্রবর্তী,সুনীল নারাইন এবং মঈন খানকে খেলালো । স্পিন সহায়ক উইকেটে নাইটদের স্পিনার ত্রয়ী হতাশ করেননি । সুনীল নারাইন তিন উইকেট নিয়ে দলের সর্বোচ্চ শিকারি । বরুণের শিকার দুই উইকেট । মঈন ও বৈভব অরোরা একটি করে উইকেট নিয়েছেন । হর্ষিত রানার শিকার দু'জন । কেকেআর তিন স্পিনারের ঘূর্ণিতে চেন্নাইয়ে ছয় ক্রিকেটার ফিরে গিয়েছেন । দুই পেসাররা নির্দিষ্ট জায়গায় বল করে চাপ যেমন বাড়িয়েছেন তেমনই উইকেটও নিয়েছেন ।