ETV Bharat / sports

নারিনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দিল্লি 'বধ', প্লে-অফের দৌড়ে ভেসে রইল নাইটরা - KKR BEAT DC

প্রথমে ব্যাট করে নয় উইকেটে 204 রান তোলে আজিঙ্কা রাহানেরা। প্রত্যুত্তরে দিল্লির ইনিংস নয় উইকেটে 190 রানে শেষ। 14 রানে জয়ী কলকাতা।

KKR BEAT DC
নাইটদের জয় (AP)
author img

By ETV Bharat Sports Team

Published : April 30, 2025 at 3:11 AM IST

3 Min Read

কলকাতা, 30 এপ্রিল: শাহরুখ খানের জন্ম শহরে বাজিমাত নাইটদের। দিল্লি ক্যাপিট্যালসকে তাঁদের মাঠে হারিয়ে জয়ের সরণিতে প্রত্যাবর্তন কলকাতা নাইট রাইডার্সের। নয় পয়েন্ট ঝুলিতে। সাত নম্বরে থেকে সঙ্গে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমে ব্যাট করে নয় উইকেটে 204 রান তোলে আজিঙ্কা রাহানেরা। প্রত্যুত্তরে দিল্লির ইনিংস নয় উইকেটে 190 রানে শেষ। 14 রানে জয়ী কলকাতা। নাইটদের জয়ে নেতৃত্ব দিলেন অলরাউন্ডার সুনীল নারিন। ম্যাচের সেরাও তিনি।

ফাফ ডু'প্লেসির 62 রান ছাড়া দিল্লি ক্যাপিট্যালসের ব্যাটাররা নাইট স্পিনারদের ঘূর্ণিজালে দিগভ্রষ্ট। কোটলার ধীর গতির উইকেটকে কাজে লাগিয়ে বাজিমাত কেকেআর স্পিনারদের। সুনীল নারিন যদি স্পিন বিভাগের নেতৃত্বে থাকেন তাহলে যোগ্য সঙ্গত বরুণ চক্রবর্তী এবং অনুকূল রায়ের। ডু'প্লেসির 62 রানের পাশে অক্ষর প্যাটেলের 43 ছাড়া প্রায় সকলেই ব্যর্থ। লোয়ার মিডল অর্ডারে 19 বলে 38 রান করে ভিপরাজ নিগম মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কাজে লাগেনি। ব্যাট হাতে ঝোড়ো ইনিংসের পরে বল হাতে দিল্লিকে হারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নারিনের। এমনকী চোট পেয়ে রাহানে বেরিয়ে যাওয়ার পরে নেতৃত্বের ব্যাটনও সফলভাবে সামলালেন।

আশা জাগিয়ে শুরু করে শেষ এগারো ওভারে ফায়দা তুলতে ব্যর্থ নাইট ব্যাটাররা। যা চিন্তায় রাখবে কেকেআর ম্যানেজমেন্টকে। 20 ওভারে নয় উইকেটে 204 রান উঠলেও অন্তত তিরিশ রান কম তুলেছিল নাইটরা। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় প্রথম ছয় ওভারে এক উইকেটে 79 রান তোলার ফায়দা আসেনি। সুনীল নারিন এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ শুরুটা যথেষ্ট আশা জাগিয়ে করেছিলেন। 48 রানে প্রথম উইকেট হারায় কেকেআর। ব্যক্তিগত 26 রানে মিচেল স্টার্কের বলে অভিষেক পোড়েলের দুরন্ত ক্যাচে ফিরে যান গুরবাজ। 12 বলে পাঁচ বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কায় সাজানো গুরবাজের ইনিংস। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রাহানে এলবিডব্লিউ হন অক্ষর প্যাটেলের বলে। 14 বলে চারটি বাউন্ডারি, একটি বিশাল ছক্কায় সাজানো 26 রানের ইনিংস যখন লম্বা হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে তখনই তিনি আউট হন।

ফের ব্যর্থ ভেঙ্কটেশ আইয়ার। হাতে প্রচুর বল এবং ওভার থাকা সত্ত্বেও রাহানের ডেপুটি স্পিনারের বিরুদ্ধে ছটফট করে মাত্র সাত রানে ফিরে যান। অক্ষর প্যাটেলের বলে অনর্থক উঁচু শট নিতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন। রিঙ্কু সিং এবং অঙ্গকৃষ রঘুবংশী ধীরে ধীরে ইনিংস গড়ার চেষ্টা করলেও দিল্লির স্পিনারদের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রক হতে পারেননি। বিশেষ করে রঘুবংশী দলের হয়ে সর্বোচ্চ 44 রান করলেও স্কোরবোর্ডের গতি বাড়াতে ব্যর্থ। তিনি এবং রিঙ্কু যখন ব্যাট করছিলেন মনে হচ্ছিল সোয়া দু'শো পার হবে । কিন্তু তা হয়নি । 16 এবং 17তম ওভারে রঘুবংশী এবং রিঙ্কু সিং ফিরে যান। রিঙ্কু ব্যক্তিগত 36 রানে ফিরে যান। বাকি তিন ওভারে আন্দ্রে রাসেল এবং রোভম্যান পাওয়েল ঝড় তুলতে ব্যর্থ।

পাঁচ রানে ফিরে যান পাওয়েল। বার্থ ডে বয় রাসেল নয় বলে ফেরেন 17 রানে। শেষ ওভারে মিচেল স্টার্ককে ছক্কা মেরে শুরু করলেও রান আউট হন তিনি। অজি পেসারের শেষ ওভার ঘটনাবহুল। চারবার ডিআরএসের প্রয়োগ এবং হ্যাটট্রিকের দোরগোড়া থেকে স্টার্কের ফিরে আসা ও অনুকূল রায়কে দুরন্ত ক্যাচে দুষ্মন্ত চামিরার ফেরানো নাইটদের সোয়া দু'শোর আশেপাশে পৌঁছতে দেয়নি। দিল্লির বোলারদের মিচেল স্টার্ক তিন উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল। দু'টো করে উইকেট অক্ষর ও নিগমের।

আরও পড়ুন:

কলকাতা, 30 এপ্রিল: শাহরুখ খানের জন্ম শহরে বাজিমাত নাইটদের। দিল্লি ক্যাপিট্যালসকে তাঁদের মাঠে হারিয়ে জয়ের সরণিতে প্রত্যাবর্তন কলকাতা নাইট রাইডার্সের। নয় পয়েন্ট ঝুলিতে। সাত নম্বরে থেকে সঙ্গে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমে ব্যাট করে নয় উইকেটে 204 রান তোলে আজিঙ্কা রাহানেরা। প্রত্যুত্তরে দিল্লির ইনিংস নয় উইকেটে 190 রানে শেষ। 14 রানে জয়ী কলকাতা। নাইটদের জয়ে নেতৃত্ব দিলেন অলরাউন্ডার সুনীল নারিন। ম্যাচের সেরাও তিনি।

ফাফ ডু'প্লেসির 62 রান ছাড়া দিল্লি ক্যাপিট্যালসের ব্যাটাররা নাইট স্পিনারদের ঘূর্ণিজালে দিগভ্রষ্ট। কোটলার ধীর গতির উইকেটকে কাজে লাগিয়ে বাজিমাত কেকেআর স্পিনারদের। সুনীল নারিন যদি স্পিন বিভাগের নেতৃত্বে থাকেন তাহলে যোগ্য সঙ্গত বরুণ চক্রবর্তী এবং অনুকূল রায়ের। ডু'প্লেসির 62 রানের পাশে অক্ষর প্যাটেলের 43 ছাড়া প্রায় সকলেই ব্যর্থ। লোয়ার মিডল অর্ডারে 19 বলে 38 রান করে ভিপরাজ নিগম মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কাজে লাগেনি। ব্যাট হাতে ঝোড়ো ইনিংসের পরে বল হাতে দিল্লিকে হারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নারিনের। এমনকী চোট পেয়ে রাহানে বেরিয়ে যাওয়ার পরে নেতৃত্বের ব্যাটনও সফলভাবে সামলালেন।

আশা জাগিয়ে শুরু করে শেষ এগারো ওভারে ফায়দা তুলতে ব্যর্থ নাইট ব্যাটাররা। যা চিন্তায় রাখবে কেকেআর ম্যানেজমেন্টকে। 20 ওভারে নয় উইকেটে 204 রান উঠলেও অন্তত তিরিশ রান কম তুলেছিল নাইটরা। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় প্রথম ছয় ওভারে এক উইকেটে 79 রান তোলার ফায়দা আসেনি। সুনীল নারিন এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ শুরুটা যথেষ্ট আশা জাগিয়ে করেছিলেন। 48 রানে প্রথম উইকেট হারায় কেকেআর। ব্যক্তিগত 26 রানে মিচেল স্টার্কের বলে অভিষেক পোড়েলের দুরন্ত ক্যাচে ফিরে যান গুরবাজ। 12 বলে পাঁচ বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কায় সাজানো গুরবাজের ইনিংস। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রাহানে এলবিডব্লিউ হন অক্ষর প্যাটেলের বলে। 14 বলে চারটি বাউন্ডারি, একটি বিশাল ছক্কায় সাজানো 26 রানের ইনিংস যখন লম্বা হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে তখনই তিনি আউট হন।

ফের ব্যর্থ ভেঙ্কটেশ আইয়ার। হাতে প্রচুর বল এবং ওভার থাকা সত্ত্বেও রাহানের ডেপুটি স্পিনারের বিরুদ্ধে ছটফট করে মাত্র সাত রানে ফিরে যান। অক্ষর প্যাটেলের বলে অনর্থক উঁচু শট নিতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন। রিঙ্কু সিং এবং অঙ্গকৃষ রঘুবংশী ধীরে ধীরে ইনিংস গড়ার চেষ্টা করলেও দিল্লির স্পিনারদের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রক হতে পারেননি। বিশেষ করে রঘুবংশী দলের হয়ে সর্বোচ্চ 44 রান করলেও স্কোরবোর্ডের গতি বাড়াতে ব্যর্থ। তিনি এবং রিঙ্কু যখন ব্যাট করছিলেন মনে হচ্ছিল সোয়া দু'শো পার হবে । কিন্তু তা হয়নি । 16 এবং 17তম ওভারে রঘুবংশী এবং রিঙ্কু সিং ফিরে যান। রিঙ্কু ব্যক্তিগত 36 রানে ফিরে যান। বাকি তিন ওভারে আন্দ্রে রাসেল এবং রোভম্যান পাওয়েল ঝড় তুলতে ব্যর্থ।

পাঁচ রানে ফিরে যান পাওয়েল। বার্থ ডে বয় রাসেল নয় বলে ফেরেন 17 রানে। শেষ ওভারে মিচেল স্টার্ককে ছক্কা মেরে শুরু করলেও রান আউট হন তিনি। অজি পেসারের শেষ ওভার ঘটনাবহুল। চারবার ডিআরএসের প্রয়োগ এবং হ্যাটট্রিকের দোরগোড়া থেকে স্টার্কের ফিরে আসা ও অনুকূল রায়কে দুরন্ত ক্যাচে দুষ্মন্ত চামিরার ফেরানো নাইটদের সোয়া দু'শোর আশেপাশে পৌঁছতে দেয়নি। দিল্লির বোলারদের মিচেল স্টার্ক তিন উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল। দু'টো করে উইকেট অক্ষর ও নিগমের।

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.