কলকাতা, 16 মে: পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্লে-অফ এবং ফাইনালের ভেন্যু এখনও ঘোষণা করেনি আইপিএল কর্তৃপক্ষ ৷ নিয়ম মেনে পুরনো সূচি অনুযায়ী ইডেনে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ক্রিকেটের নন্দনকাননে আইপিএল ফাইনাল নিয়ে দোলাচল অব্য়াহত ৷ শোনা যাচ্ছে আগামী 3 জুন মেগা ফাইনাল সরে যেতে পারে আমেদাবাদে ৷ এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে যেখানে বলা হয়েছে, ফাইনালের দিন কলকাতায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাসের কারণে 'সিটি অফ জয়' থেকে সরতে পারে ফাইনাল ৷
এই বিষয়ে অবশ্য সরকারি কোনও বিবৃতি সামনে আসেনি ৷ তবে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্য়ায় এবং সচিব নরেশ ওঝা, দু'জনেই বলছেন যে কোনও পরিস্থিতিতে ইডেন নকআউট পর্ব কিংবা ফাইনাল আয়োজনে প্রস্তুত। প্রস্তুতি সারা রয়েছে সেইমত ৷ ভারত-পাক সংঘাতের জেরে সাতদিনের জন্য আইপিএল বন্ধ থাকার পর শনিবার থেকে ফের শুরু হচ্ছে। নয়া যে সূচি প্রকাশিত হয়েছে সেখানে প্লে-অফ এবং ফাইনালের ভেন্যু নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, ভারতীয় বোর্ড আবহাওয়ার কারণে কলকাতা থেকে ম্যাচ আমেদাবাদে সরিয়ে নিতে যেতে চায়। আবহাওয়া সংক্রান্ত উৎকণ্ঠায় বলা হয়েছে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ এবং আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ৷ প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা ভালো, নাইট রাইডার্স বনাম পঞ্জাব কিংস ম্যাচটি ঝড়বৃষ্টির ধাক্কায় বাতিল হয়েছিল ইডেনে। কিন্তু সেই ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করে ফাইনাল অন্য শহরে নিয়ে যাওয়া বোর্ড কর্তাদের দাদাগিরি এবং নোংরা রাজনীতির পরিচায়ক ৷
বোর্ডের আশঙ্কা অমূলক প্রমাণ করতে সিএবি বসে নেই। তাঁরা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ই-মেল মারফত ৷ সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এ বিষয়ে বলেন, "তিনদিন আগে আমরা ই-মেল করেছি ৷ জানতে চেয়েছি ওই সময় ঝড় বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস আদৌ আছে কি না। প্রত্যুত্তরে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এতদিন আগে কোনও পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। সাধারণত পাঁচদিন আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়।" সে তথ্য সিএবি'র তরফে বোর্ডের কাছেও পেশ করা হয়েছে বলেই খবর ৷ যদিও আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা ডঃ সোমনাথ দত্ত এ ব্যাপারে কোনও তথ্য সংবাদমাধ্যমকে দিতে নারাজ ৷
এখন প্রশ্ন হল আবহাওয়া বিজ্ঞানকে ফুৎকারে উড়িয়ে বোর্ড কোন যুক্তিতে ফাইনাল এবং একটি প্লে-অফ কলকাতা থেকে সরিয়ে নিতে পারে ৷ আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী টুর্নামেন্ট ফাইনাল যে দু’টো টিম খেলে, পরের বছর সেই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির শহরে টুর্নামেন্টের 'প্রাইজড' ম্যাচগুলো ভাগাভাগি হয়ে যায়। চ্যাম্পিয়ন টিমের শহর পায় পরের বছরের উদ্বোধনী ম্যাচ। সঙ্গে একটি কোয়ালিফায়ার এবং ফাইনাল। অন্যদিকে রানার্স টিমের শহর পায় একটি কোয়ালিফায়ার এবং এলিমিনেটর। কেকেআর গতবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় একটি কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সেখানে ৷ কিন্তু বোর্ডের 'খামখেয়ালিপনায়' সেই সম্ভাবনা বিশ বাঁও জলে ৷