কলকাতা, 18 এপ্রিল: একাদশে সাতজন ভূমিপুত্র খেলানো বাধ্যতামূলক হতে চলেছে কলকাতা লিগে। আসন্ন মরশুম থেকেই এই নিয়ম লাগু করার পথে আইএফএ ৷ একাদশে বাকি চার ভিনরাজ্যের ফুটবলার খেলাতে পারবে দলগুলি ৷ সম্প্রতি এই ভাবনার কথা জানিয়েছেন রাজ্য ফুটবল সংস্থার সচিব অনির্বাণ দত্ত। সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে আইএফএ সচিব জানান বাংলার ফুটবলের উন্নতির স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত তাঁদের।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনই কিছু ঘোষণা হয়নি, পুরোটাই রয়েছে ভাবনার স্তরে ৷ সমগ্র পরিকল্পনাটি লিগে অংশগ্রহণ করতে চলা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আগামী জুন মাস থেকে বল গড়াবে কলকাতা লিগের। তার আগে ক্লাবগুলো দল গোছানোর যথেষ্ট সুযোগ পাবে। দুই মরশুম হয়ে গেল কলকাতা লিগে বিদেশি ফুটবলারদের খেলানো বন্ধ হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে একাদশে চারজন বাংলার ভূমিপুত্র এবং সাতজন ভিনরাজ্যের ফুটবল খেলানোর নিয়ম চালু হয়েছিল। আগামী মরশুম থেকে সংখ্যাটা বদলে হতে চলেছে সাত-চার ৷ যদিও কোনও নিয়ম চালুর ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মানের সঙ্গে যে আপস করা হবে না, তাও জানানো হয়েছে আইএফএ'র তরফে ৷
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস কলকাতা লিগে পুরোপুরিভাবে ভূমিপুত্র খেলানোর কথা বলে আসছেন। কিন্তু আইএফএ সচিব জানিয়েছেন, মান ধরে রাখতে এই নিয়ম চালু করা কঠিন। তবে বাংলার ফুটবলার বলতে শুধুমাত্র বাঙালি নয়, যে সকল ফুটবলার এই রাজ্যে জন্মেছেন বা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন; তারাও ভূমিপুত্র হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে জানিয়েছে আইএফএ। বাংলার ফুটবলার প্রমাণে সেক্ষেত্রে আধার কার্ড জালিয়াতির মত ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এই ব্যাপারে অসাধু উপায় অবলম্বনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
এদিকে নতুন প্রতিভার অন্বেষণে এবার স্কুলস্তরে ফুটবল প্রতিযোগিতা সুপ্রিম কাপ আয়োজন করতে চলেছে আইএফএ। এই মর্মে লগ্নিকারী এক সংস্থার সঙ্গে মউ স্বাক্ষরিতও হল। আইএফএ সচিব জানিয়েছেন, অনূর্ধ্ব-14 বয়সিদের জন্য এই স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট। আগামী মাস থেকে এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে। সচিব বলেন, "অনূর্ধ্ব-14 এই টুর্নামেন্টে রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার বেছে নেওয়া আটটি স্কুলকে নিয়ে প্রথমে জেলাস্তরে খেলা হবে ৷ সফল স্কুলগুলিকে নিয়ে জেলাভিত্তিক খেলা এবং সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্য়াচ কলকাতায় অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ৷"