কলকাতা, 12 জুলাই: ডার্বির আগে জেসিন টিকে এবং আমন সিকে অনুশীলনে হাতাহাতিতে জড়ালেন। কলকাতা ডার্বি খেলতে নামার আগে লাল-হলুদের দুই ফুটবলারের উত্তপ্ত আচরণে সরগরম বিনো জর্জের প্র্যাকটিস। কলকাতা লিগের ডার্বির একশো বছর। ফলে আলাদা একটা মাত্রা রয়েছে শনিবারের ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের দ্বৈরথ।
এই মুহূর্তে লাল-হলুদ ব্রিগেড ছন্দে। দুই ম্যাচে 10 গোল করেছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, নসিব, তন্ময় ঘোষরা। এমনকী পিছিয়ে পড়েও জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ডার্বির আগে তারা যে তেতে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই জেসন টিকে এবং আমন সিকে-র হাতাহাতি এবং উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়কে দলের মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা বলে দেখছে লাল-হলুদ। বৃষ্টিভেজা মাঠে বল কাড়ার প্রতিদ্বন্দীতায় কোচ বিনো জর্জ দলের মধ্যে জয়ের খিদে দেখছেন। তবে দুই ফুটবলারের জার্সি খুলে ফেলাকে সমর্থন করছেন না। প্র্যাকটিসের মধ্যেই সতর্ক করেছেন।
প্রতিপক্ষ মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট গত দু'টো ম্যাচে জয় পায়নি। বেকায়দায়। এই অবস্থায় ইস্টবেঙ্গল ডার্বিতে ফেভারিট বলছে ময়দান। কোচ বিনো জর্জ সেই সুরে গলা মেলাতে নারাজ। বলছেন, "ওরাও জানে এই ম্যাচের গুরুত্ব। আদতে ডার্বি একটি যুদ্ধ। প্রতিপক্ষ দলও জেতার চেষ্টায় মরিয়া হবে। সিনিয়র ফুটবলাদের খেলাতে পারে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আশা করি আমাদের ছেলেরা ভালো ফল করবে।" ইস্টবেঙ্গল কি ডার্বিতে তাদের সিনিয়র ফুটবলারদের খেলাবে?
বিনো জর্জ বলছেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হীরা মণ্ডল, দেবজিৎ মজুমদার, সদ্য আসা ডেভিড, সুহের ভিপি, পিভি বিষ্ণুদের ইতিমধ্যে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কার্লেস কুয়াদ্রাত নিয়মিত ম্যাচ দেখেন। ফুটবলারদের সঙ্গে কথাও বলেন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি পিছন থেকে কৌশল সাজাচ্ছেন ধরে নেওয়া হচ্ছে। সেই সম্ভাবনা অবশ্য বিনো জর্জ উড়িয়ে থিয়েছেন।
বলছেন, "না না উনি কোনও নির্দেশ দেন না। প্রতিটি ম্যাচে আসছেন। দলকে উৎসাহিত করছেন। ব্যস এইটুকুই। নিজের দলের শক্তি দুর্বলতা নিয়ে বলতে গিয়ে বিনো জর্জ বলেন, "আমরা দেরিতে শুরু করেছি। দলগত খেলা এখনও পুরোপুরি গড়ে ওঠেনি। ধীরে ধীরে দলটা গড়ে উঠছে। আমরা এই ম্যাচের গুরুত্ব জানি। এই জন্যই তো ম্যাচটা ডার্বি। আমরা তো যুদ্ধ হিসেবে দেখছি। দু'টো দলই সেভাবে তৈরি হচ্ছে। আমরাও সেইভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের ছেলেরা 99 শতাংশ নয় 100 শতাংশ উজার করে দেবে। সেভাবেই তৈরি হয়েছি। যে কোনও মূল্যে তিন পয়েন্ট চাই।"
ইতিমধ্যে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ম্যাচ দেখে হোমওয়ার্ক সেরেছেন বিনো জর্জ। বুঝতে পেরেছেন প্রতিপক্ষ সিনিয়র ফুটবলারদের খেলাবে। মহামেডান স্পোর্টিং থেকে ডেভিড ইস্টবেঙ্গলে এই বছর এসেছেন। ডার্বিতে তাঁকে ব্যবহার করা হবে কি না, তা ভাঙেননি বিনো জর্জ। আসলে ফিটনেস প্র্যাকটিসে দেখে নিয়ে ডার্বিতে হয়তো পরিবর্ত হিসেবে নামানো হতে পারে।