ETV Bharat / sports

ডার্বি হলে ভালো হত, পুরোটাই আয়োজকদের ব্যাপার: দেবব্রত সরকার - Durand Derby Cancelled

East Bengal-Mohun Bagan Match: নিরাপত্তা ঘটিত কারণে ডার্বি বাতিল করার নজির ভারতীয় ফুটবলে নেই ৷ এই রাজ্যেও এই ঘটনা বেনজির ৷ প্রশাসনের অপারগতায় ডার্বি বাতিলই শুধু নয়, ডুরান্ড কাপই চলে গিয়েছে কলকাতার বাইরে ।

author img

By ETV Bharat Sports Team

Published : Aug 18, 2024, 9:40 AM IST

East Bengal-Mohun Bagan
ডার্বি বাতিল (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 18 অগস্ট: ডুরান্ডের নকআউট পর্ব খেলতে ইস্টবেঙ্গলকে শিলং যেতে হবে । প্রতিপক্ষ লাজং এফসি । মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট খেলবে জামশেদপুরে । আরজি কর কাণ্ডের জেরে কলকাতা থেকেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ডুরান্ড কাপ । প্রশাসনের অপারগতায় ডার্বি বাতিলই শুধু নয়, পুরো টুর্নামেন্টটাই কলকাতা ছাড়া ।

ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন, “পুরোটাই আয়োজকদের বিষয় । বিষয়টিতে প্রশাসনিক নির্ভরতা রয়েছে ৷ প্রশাসন যদি নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে সমস্যার কথা বলে তাহলে তো কিছু করার থাকে না ৷ ডার্বিটা হলে ভালো হত ৷ আমাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে ম্যাচ বাতিলের কথা জানিয়ে ৷ পয়েন্ট দু’দলের মধ্যে ভাগ হয়েছে ৷ আমাদের খেলতে হবে শিলংয়ে ৷ মোহনবাগানকে জামশেদপুরে ৷ সমর্থকদের আবেগকে সম্মান করি ৷ তবে বলব ভাষা প্রয়োগে যত্নবান হতে হবে ৷ যা বিদেশে হয়ে থাকে ৷ তবে আবারও বলছি, ডার্বিটা এখানে হলে ভালো হত ।”

মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত কলকাতায় নেই ৷ তবে মোহনবাগানে নিয়মিত আসা সভ্য-সমর্থকরা বলছেন, ডার্বি বাতিলের কোনও প্রয়োজন ছিল না ৷ খেলা হবে না, এই কথা ভেবেই তাঁরা হতাশ । ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের সুরও একই । তাঁরা বলছেন, সেনাবাহিনীর টুর্নামেন্টে পুলিশি নিরাপত্তার অভাব থাকলেও সেনাবাহিনী স্বয়ং তা পালন করতে পারত ৷ আসলে দুই প্রধানের সমর্থকদের সম্মেলিত স্বরকে ফের দেখতে রাজি নয় বলেই প্রশাসন ডার্বি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল ৷

নিরাপত্তা ঘটিত কারণে ডার্বি বাতিল করার নজির ভারতীয় ফুটবলে নেই ৷ এই রাজ্যেও এই ঘটনা বেনজির ৷ ডুরান্ড কাপের ইতিহাসে এমন ঘটনা নেই ৷ আগে ডুরান্ড কাপ হত নয়াদিল্লির আম্বেদকর স্টেডিয়ামে ৷ যার আগের নাম ছিল দিল্লি গেট স্টেডিয়াম ৷ সেই সময় পঞ্জাব এবং কলকাতার ক্লাব দলগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বীতা সামগ্রিক ফুটবলের মান বাড়িয়েছিল । পঞ্জাবের লিডার্স ক্লাব বা জেসিটি, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স, পঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের লড়াই ছিল আকর্ষণীয় ৷ 1982 সালে ইস্টবেঙ্গল এবং জেসিটি ম্যাচে টাইব্রেকার মারা নিয়ে গণ্ডগোল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে মিলিটারি নামিয়ে তা সামাল দিতে হয়েছিল ।

ডার্বি বাতিলের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে দুই প্রধানের সমর্থকরা ৷ বিভিন্ন ফ্যান ক্লাব তাদের মতো করে আরজি কর কাণ্ডকে হাতিয়ার করে ডার্বি বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছে ৷ ইতিমধ্যে মোহনবাগান ক্লাবের সামনে সমর্থকদের একাংশ ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লেখা পোস্টারে প্রতিবাদ করেছেন । বেলেঘাটায় প্রতিবাদ হয়েছে । আজ হরিনাভিতে প্রতিবাদ সূচি করা হয়েছে । যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের মূল প্রবেশদ্বারে বিকেলে প্রতিবাদে সামিল হবেন ইস্ট-মোহনের সমর্থকরা ৷

কলকাতা, 18 অগস্ট: ডুরান্ডের নকআউট পর্ব খেলতে ইস্টবেঙ্গলকে শিলং যেতে হবে । প্রতিপক্ষ লাজং এফসি । মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট খেলবে জামশেদপুরে । আরজি কর কাণ্ডের জেরে কলকাতা থেকেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ডুরান্ড কাপ । প্রশাসনের অপারগতায় ডার্বি বাতিলই শুধু নয়, পুরো টুর্নামেন্টটাই কলকাতা ছাড়া ।

ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন, “পুরোটাই আয়োজকদের বিষয় । বিষয়টিতে প্রশাসনিক নির্ভরতা রয়েছে ৷ প্রশাসন যদি নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে সমস্যার কথা বলে তাহলে তো কিছু করার থাকে না ৷ ডার্বিটা হলে ভালো হত ৷ আমাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে ম্যাচ বাতিলের কথা জানিয়ে ৷ পয়েন্ট দু’দলের মধ্যে ভাগ হয়েছে ৷ আমাদের খেলতে হবে শিলংয়ে ৷ মোহনবাগানকে জামশেদপুরে ৷ সমর্থকদের আবেগকে সম্মান করি ৷ তবে বলব ভাষা প্রয়োগে যত্নবান হতে হবে ৷ যা বিদেশে হয়ে থাকে ৷ তবে আবারও বলছি, ডার্বিটা এখানে হলে ভালো হত ।”

মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত কলকাতায় নেই ৷ তবে মোহনবাগানে নিয়মিত আসা সভ্য-সমর্থকরা বলছেন, ডার্বি বাতিলের কোনও প্রয়োজন ছিল না ৷ খেলা হবে না, এই কথা ভেবেই তাঁরা হতাশ । ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের সুরও একই । তাঁরা বলছেন, সেনাবাহিনীর টুর্নামেন্টে পুলিশি নিরাপত্তার অভাব থাকলেও সেনাবাহিনী স্বয়ং তা পালন করতে পারত ৷ আসলে দুই প্রধানের সমর্থকদের সম্মেলিত স্বরকে ফের দেখতে রাজি নয় বলেই প্রশাসন ডার্বি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল ৷

নিরাপত্তা ঘটিত কারণে ডার্বি বাতিল করার নজির ভারতীয় ফুটবলে নেই ৷ এই রাজ্যেও এই ঘটনা বেনজির ৷ ডুরান্ড কাপের ইতিহাসে এমন ঘটনা নেই ৷ আগে ডুরান্ড কাপ হত নয়াদিল্লির আম্বেদকর স্টেডিয়ামে ৷ যার আগের নাম ছিল দিল্লি গেট স্টেডিয়াম ৷ সেই সময় পঞ্জাব এবং কলকাতার ক্লাব দলগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বীতা সামগ্রিক ফুটবলের মান বাড়িয়েছিল । পঞ্জাবের লিডার্স ক্লাব বা জেসিটি, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স, পঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের লড়াই ছিল আকর্ষণীয় ৷ 1982 সালে ইস্টবেঙ্গল এবং জেসিটি ম্যাচে টাইব্রেকার মারা নিয়ে গণ্ডগোল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে মিলিটারি নামিয়ে তা সামাল দিতে হয়েছিল ।

ডার্বি বাতিলের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে দুই প্রধানের সমর্থকরা ৷ বিভিন্ন ফ্যান ক্লাব তাদের মতো করে আরজি কর কাণ্ডকে হাতিয়ার করে ডার্বি বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছে ৷ ইতিমধ্যে মোহনবাগান ক্লাবের সামনে সমর্থকদের একাংশ ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লেখা পোস্টারে প্রতিবাদ করেছেন । বেলেঘাটায় প্রতিবাদ হয়েছে । আজ হরিনাভিতে প্রতিবাদ সূচি করা হয়েছে । যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের মূল প্রবেশদ্বারে বিকেলে প্রতিবাদে সামিল হবেন ইস্ট-মোহনের সমর্থকরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.