কলকাতা, 22 জুন: পদক জিতলে তবেই অর্থপ্রাপ্তি। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান এই শর্তেই দলগঠন করেছে। 73তম রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিট শেষ হল। জুনিয়র এবং সিনিয়র দুই বিভাগেই চিরপ্রতিদ্বন্দী মোহনবাগানকে টেক্কা দিল ইস্টবেঙ্গল।
- জুনিয়র বালক ও বালিকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাপ্ত পয়েন্ট- 159, দ্বিতীয় মোহনবাগান এসি'র প্রাপ্ত পয়েন্ট -110
- সিনিয়র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাপ্ত পয়েন্ট- 530, দ্বিতীয় মোহনবাগান এসি'র প্রাপ্ত পয়েন্ট -300
- সর্বমোট (জুনিয়র ও সিনিয়র) চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাপ্ত পয়েন্ট -689, দ্বিতীয় মোহনবাগান এসি'র প্রাপ্ত পয়েন্ট - 410
খেতাবের আলোয় দুই প্রধানের পারস্পরিক মেঠো বৈরিতায় উত্তাল রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিট। তার আড়ালে রয়েছে পদক না-জিতলে অর্থ না-পাওয়ার যন্ত্রণার গল্প।
- মোহনবাগানের জার্সিতে অ্যাথলিটদের পদক জয়ের হিসেব অনেকটা এইরকম ৷ সোনা জয়ে 20 হাজার, রুপো জয়ে 15 হাজার, ব্রোঞ্জ জয়ে 10 হাজার। রিলে দলের পদক প্রাপ্তির টাকা 4 জনের মধ্যে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। রেকর্ড করলে বাড়তি 5 হাজার টাকা মিলবে।
- ইস্টবেঙ্গলের পদক জয়ের অর্থপ্রাপ্তিটা আরেকরকম। সেখানে সোনা জিতলে 10 হাজার টাকা, রুপো জিতলে 7 হাজার টাকা, ব্রোঞ্জ জিতলে 5 হাজার টাকা। রিল দলের টাকা চারজনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। রেকর্ড গড়ে সোনা জয়ের প্রাপ্তি বাড়তি 5 হাজার টাকা।

দুই প্রধানের জার্সিতে জেলা থেকে উঠে আসা অ্যাথলিটদের জন্য সামান্য অর্থের চুক্তি, বিস্ময়কর। অথচ দুই প্রধানের অ্যাথলেটিক্সের আলাদা বিভাগ রয়েছে। নতুন প্রতিভা তৃণমূল স্তর থেকে খুঁজে নিয়ে এসে সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু তাদের আর্থিক নিরাপত্তা আরেকটু ভালো হলে সুবিধা হয়, মানছেন সকলেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অ্যাথলিটরা বলছেন, দুই প্রধানের জার্সিতে পদক জয়ের স্বপ্ন বহুদিনের। সেই স্বপ্ন সফল হওয়ার আনন্দ তো রয়েছে। কিন্তু আর্থিক দিকে তাকালে মন খারাপ তো হয়। তা সত্ত্বেও দোষারোপের পালায় অংশ না-নিয়ে সকলেই অ্যাথলেটিক্সকে আঁকড়ে বড় হওয়ার স্বপ্ন সাজাচ্ছেন।
- রাজ্য অ্যাথলেটিক্সে দ্রুততম পুরুষ হলেন এরিয়ান ক্লাবের শতায়ু মণ্ডল (সময় 10.8 সেকেন্ড)। দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গলের দেব রায় (সময় 10.9 সেকেন্ড)। তৃতীয় মোহনবাগান অ্যাথলেটিক্স ক্লাবের শফিকুল মণ্ডল।
- দ্রুততম মহিলা পুলিশ অ্যাথলেটিক্সের জসমিনা খাতুন (সময় 12.3 সেকেন্ড)। দ্বিতীয় মোহনবাগানের টুম্পা মাহাতো (সময় 12.5 সেকেন্ড)। তৃতীয় গরিমা রজক (সময় 12.7 সেকেন্ড)।