কলকাতা, 21 জুন: বাংলার বুকে সুইমিং অ্যাকাডেমি গড়ে তুলতে চান 'সমুদ্রের রানি' বুলা চৌধুরী। 'পদ্মশ্রী', 'অর্জুন', 'তেনজিং নোরগে ন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার অ্যাওয়ার্ড' প্রাপ্ত সাঁতারু হয়েও এখনও নিজের বাংলার বুকে গড়ে তুলতে পারেননি একটি সুইমিং অ্যাকাডেমি। বুলা চৌধুরীর স্বামী সঞ্জীব চক্রবর্তীও একজন আন্তর্জাতিক মানের সাঁতারু। তাই সুইমিং অ্যাকাডেমি গড়ে তুলতে না পারার যন্ত্রণা বুলা চৌধুরীর একার নয়, সঞ্জীব চক্রবর্তীরও বটে।
ইটিভি ভারতকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বুলা চৌধুরী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটা জিনিস অনেকদিন ধরেই চাইছি। যেটার খুব দরকার আমাদের পশ্চিমবাংলায়। তাঁর কাছে আমার আবেদন একটি সুইমিং অ্যাকাডেমির জন্য জায়গা দিন। একজন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাঁতারু হয়েও একটা সুইমিং অ্যাকাডেমি করতে পারলাম না এখনও। আমার স্বামী সঞ্জীব চক্রবর্তীও একজন ইন্টারন্যাশনাল সাঁতারু। আমাদের অনেকদিনের স্বপ্ন বাংলার বুকে একটা সুইমিং অ্যাকাডেমি হবে। আর এটা করলে অনেক সাঁতারু উঠে আসবে বাংলা থেকে। তাতে দেশও উপকৃত হবে।" তিনি সাফ জানান, "একটু তাড়াতাড়ি সুইমিং অ্যাকাডেমির জন্য জমিটা পেলে ভালো হয়। আমাদের দুজনেরই বয়স হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, ভোটের আবহে এক জনসভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "বুলা চৌধুরী আমার কাছে অর্জুন পুরস্কার চাইতে এসেছিলেন। আমি পাইয়ে দিয়েছিলাম।" তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে বুলা চৌধুরীর কাছে দরবার করলে তিনি বলেন, "আমি যোগ্যতা সত্ত্বেও পাচ্ছিলাম না 'অর্জুন'। ফেডারেশন থেকে আমার নাম পাঠানো হচ্ছিল না। সেই সময় ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে আমি গোটা বিষয়টা জানিয়েছিলাম। প্রশ্ন তুলেছিলাম যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমি কেন পাব না অর্জুন পুরস্কার? উনি আমার পাশে ছিলেন। আমাকে একটি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন আমি সেই চ্যালেঞ্জে জিতে ছ'টি সোনা আনি দেশে।"
তিনি জানান, 1991 সালে দক্ষিণ এশিয়ান ফেডারেশন গেমসে সুপারসনিক পারফরম্যান্সের জন্য ছ'টি স্বর্ণপদক জেতার পর 'অর্জুন পুরস্কার' হাতে আসে ৷ অর্জুন পুরস্কার চাইতে গিয়েছিলাম, এই কথাটা একেবারেই ঠিক নয়। যোগ্যতা না থাকলে 'অর্জুন' পাওয়া যায় না।" তারপরেই সুইমিং অ্যাকাডেমির জন্য প্রকাশ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমি চান 'পদ্মশ্রী' জয়ী সাতারু বুলা চৌধুরী ।