ETV Bharat / sports

বিনো জর্জ, লাল-হলুদ পাঠশালার অক্লান্ত গুরুমশাই - Bino George

Bino George: ইস্টবেঙ্গলের ডেভলপমেন্ট দলকে তৈরির কারিগর বিনো জর্জ ৷ ডেভলপমেন্ট দল থেকে একাধিক ফুটবলার ইতিমধ্যেই সিনিয়র দলে খেলার সুযোগ পেয়েছে ৷ যাদের তৈরি করার পিছনে বিনো জর্জের অবদান রয়েছে ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 16, 2024, 6:14 PM IST

ETV BHARAT
বিনো জর্জ ৷ (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা, 16 জুলাই: শহরে পৌঁছে গিয়েছেন মাদিহ তালাল ৷ দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তোকোস চলতি সপ্তাহে চলে আসবেন বলে খবর ৷ গত চারবছরে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক মরশুমের প্রস্তুতি এত পরিকল্পনা করে হয়নি ৷ ভারতীয় ফুটবলাররা সকলেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন ৷ তাদের প্রস্তুতি ঠিক কতটা হয়েছে, তা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রথম টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপে বল গড়ানোর সঙ্গেই বোঝা যাবে ৷ তবে, ইস্টবেঙ্গল এফসি তাদের মরশুম কিন্তু আশা জাগিয়ে শুরু করেছে ৷

বিনো জর্জ (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক ৷ সেই তালিকায় ডার্বি রয়েছে ৷ গত দু’বছর ধরে ইস্টবেঙ্গল এবং বাকি দুই প্রধান তাদের ডেভলপমেন্ট দলকে কলকাতা লিগে খেলায় ৷ বাকি দুই প্রধানের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ডেভলপমেন্ট দল কলকাতা লিগের পারফরম্যান্স তুলনায় অনেক এগিয়ে ৷ এই এগিয়ে থাকার নেপথ্য অবশ্যই কোচ বিনো জর্জ ৷

মঙ্গলবার কাস্টমসের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল চতুর্থ ম্যাচে আটকে গেলেও প্রতিপক্ষ লক্ষ্যে অবিচল কোচ বিনো জর্জ ৷ পরবর্তী ম্যাচগুলোর জন্য সতর্ক তিনি ৷ যেহেতু ডাগ আউটে একাধিক ভালো ফুটবলারের উপস্থিতি, তাই রোটেশন পদ্ধতিতে সবাইকে তৈরি রাখতে চান ৷ ডেভলপমেন্ট দল যে শুধুমাত্র এবছরের কলকাতা লিগে ভালো খেলছে, তা কিন্তু নয় ৷ গত দুই বছরের পারফরম্যান্স গ্রাফটা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের ডেভলপমেন্ট দলটি মূল দলের সমৃদ্ধশালী সাপ্লাই লাইন হয়ে উঠছে ৷

ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, ডেভলপমেন্ট দলকে গড়ে তোলা নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে ৷ ইতিমধ্যে বেশ কিছু ফুটবলার ডেভলপমেন্ট দল থেকে সিনিয়র দলে সুযোগ পেয়েছেন ৷ আরও কিছু ফুটবলার নেওয়া হবে ৷ ইস্টবেঙ্গলের ডেভলপমেন্ট দল তৃতীয় বছরে সাফল্য পাচ্ছে ৷ পরপর দু’বার রিলায়েন্স লিগে স্থানীয় জোনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাল-হলুদ ৷ শেষ রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লিগে রানার্স হয়ে ইস্টবেঙ্গল এবার নেক্সট জেন ক্লাবে খেলবে ৷

এই সাফল্যের পেছনে যে লোকটির অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে তিনি কোচ বিনো জর্জ ৷ কেরলকে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করার পরে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছিলেন ৷ 47 বছরের অকৃতদার মানুষটি প্রথম বছরই অতুল উন্নিকৃষ্ণনকে সিনিয়র দলের জন্য তৈরি করে দিয়েছিলেন ৷ গতবছর সুযোগ পেয়েছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, পি ভি বিষ্ণুরা ৷ শ্যামল বেসরা, আমন সি কে, জেসিন টি কে-রা কার্লেস কুয়াদ্রাতের সিনিয়র দলে খেলছেন ৷ এবছরও নসিব, তন্ময় দাসরা সিনিয়র দলে প্র্যাকটিস করছেন ৷ এদের গড়ে তোলার কাজে ব্যস্ত সদাহাস্য মুখ বিনো জর্জ ৷

কেরল থেকে একাধিক ভালো মানের ফুটবলার বেছে নিয়ে এসেছিলেন ৷ তা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি ৷ তবে, সমালোচনাকে ফুৎকারে উড়িয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ৷ ডেভলপমেন্ট দলকে গড়ে তোলার এই উদ্যোগে সমর্থন ছিল ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টের ৷ ত্রিশূরের এএফসি প্রো লাইসেন্স প্রাপ্ত কোচ এখন পিএইচডি করছেন ৷ গবেষণাপত্র একমাসের মধ্যে জমা দেবেন ৷ আসলে ফুটবলের এই ডঃ বিনো জর্জের হাতে লাল-হলুদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত বলে মনে করছে কর্মকর্তারা ৷ ফুটবলাররা গড়ে উঠছে কোচের সঠিক দিশায় ৷ সঙ্গে ঔজ্বল্য বাড়ছে ইস্টবেঙ্গলের ৷

কলকাতা, 16 জুলাই: শহরে পৌঁছে গিয়েছেন মাদিহ তালাল ৷ দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তোকোস চলতি সপ্তাহে চলে আসবেন বলে খবর ৷ গত চারবছরে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক মরশুমের প্রস্তুতি এত পরিকল্পনা করে হয়নি ৷ ভারতীয় ফুটবলাররা সকলেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন ৷ তাদের প্রস্তুতি ঠিক কতটা হয়েছে, তা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রথম টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপে বল গড়ানোর সঙ্গেই বোঝা যাবে ৷ তবে, ইস্টবেঙ্গল এফসি তাদের মরশুম কিন্তু আশা জাগিয়ে শুরু করেছে ৷

বিনো জর্জ (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক ৷ সেই তালিকায় ডার্বি রয়েছে ৷ গত দু’বছর ধরে ইস্টবেঙ্গল এবং বাকি দুই প্রধান তাদের ডেভলপমেন্ট দলকে কলকাতা লিগে খেলায় ৷ বাকি দুই প্রধানের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ডেভলপমেন্ট দল কলকাতা লিগের পারফরম্যান্স তুলনায় অনেক এগিয়ে ৷ এই এগিয়ে থাকার নেপথ্য অবশ্যই কোচ বিনো জর্জ ৷

মঙ্গলবার কাস্টমসের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল চতুর্থ ম্যাচে আটকে গেলেও প্রতিপক্ষ লক্ষ্যে অবিচল কোচ বিনো জর্জ ৷ পরবর্তী ম্যাচগুলোর জন্য সতর্ক তিনি ৷ যেহেতু ডাগ আউটে একাধিক ভালো ফুটবলারের উপস্থিতি, তাই রোটেশন পদ্ধতিতে সবাইকে তৈরি রাখতে চান ৷ ডেভলপমেন্ট দল যে শুধুমাত্র এবছরের কলকাতা লিগে ভালো খেলছে, তা কিন্তু নয় ৷ গত দুই বছরের পারফরম্যান্স গ্রাফটা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের ডেভলপমেন্ট দলটি মূল দলের সমৃদ্ধশালী সাপ্লাই লাইন হয়ে উঠছে ৷

ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, ডেভলপমেন্ট দলকে গড়ে তোলা নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে ৷ ইতিমধ্যে বেশ কিছু ফুটবলার ডেভলপমেন্ট দল থেকে সিনিয়র দলে সুযোগ পেয়েছেন ৷ আরও কিছু ফুটবলার নেওয়া হবে ৷ ইস্টবেঙ্গলের ডেভলপমেন্ট দল তৃতীয় বছরে সাফল্য পাচ্ছে ৷ পরপর দু’বার রিলায়েন্স লিগে স্থানীয় জোনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাল-হলুদ ৷ শেষ রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লিগে রানার্স হয়ে ইস্টবেঙ্গল এবার নেক্সট জেন ক্লাবে খেলবে ৷

এই সাফল্যের পেছনে যে লোকটির অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে তিনি কোচ বিনো জর্জ ৷ কেরলকে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করার পরে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছিলেন ৷ 47 বছরের অকৃতদার মানুষটি প্রথম বছরই অতুল উন্নিকৃষ্ণনকে সিনিয়র দলের জন্য তৈরি করে দিয়েছিলেন ৷ গতবছর সুযোগ পেয়েছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, পি ভি বিষ্ণুরা ৷ শ্যামল বেসরা, আমন সি কে, জেসিন টি কে-রা কার্লেস কুয়াদ্রাতের সিনিয়র দলে খেলছেন ৷ এবছরও নসিব, তন্ময় দাসরা সিনিয়র দলে প্র্যাকটিস করছেন ৷ এদের গড়ে তোলার কাজে ব্যস্ত সদাহাস্য মুখ বিনো জর্জ ৷

কেরল থেকে একাধিক ভালো মানের ফুটবলার বেছে নিয়ে এসেছিলেন ৷ তা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি ৷ তবে, সমালোচনাকে ফুৎকারে উড়িয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ৷ ডেভলপমেন্ট দলকে গড়ে তোলার এই উদ্যোগে সমর্থন ছিল ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টের ৷ ত্রিশূরের এএফসি প্রো লাইসেন্স প্রাপ্ত কোচ এখন পিএইচডি করছেন ৷ গবেষণাপত্র একমাসের মধ্যে জমা দেবেন ৷ আসলে ফুটবলের এই ডঃ বিনো জর্জের হাতে লাল-হলুদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত বলে মনে করছে কর্মকর্তারা ৷ ফুটবলাররা গড়ে উঠছে কোচের সঠিক দিশায় ৷ সঙ্গে ঔজ্বল্য বাড়ছে ইস্টবেঙ্গলের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.