কলকাতা, 23 মার্চ: "নৌকা ডুবতে পারে, কিন্তু মশাল কখনও নিভবে না ৷" শনিবার ইস্টবেঙ্গলের দীপক জ্যোতি সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে পড়শি মোহনবাগানকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন ইস্টবেঙ্গল সভাপতি মুরারী লাল লোহিয়া। শনিবার ছিল লাল-হলুদের কিংবদন্তি সচিব দীপক (পল্টু) দাসের 24তম মৃত্যুবার্ষিকী ৷ এবছর দীপক জ্যোতি সম্মান পেলেন ফুটবল কোচ রঘু নন্দী, ক্রিকেট প্রশিক্ষক প্রণব নন্দী, আইএম বিজয়নের মত ক্রীড়াব্যক্তিত্বরা। সম্মানিত হলেন মমতাশঙ্কর, সব্যসাচী চক্রবর্তীর মত চলচ্চিত্র জগতের কৃতিরাও। অনুষ্ঠানের চাকচিক্যের আড়ালে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আক্ষেপ সামনে এল। ট্রফি খরা কাটবে কবে? সমর্থকদের আক্ষেপ বুঝতে পেরেই ক্লাব সভাপতি সর্বোতভাবে চেষ্টার কথা জানালেন ৷
একই মঞ্চে দীর্ঘদিন পর দুই কিংবদন্তি বাইচুং ভুটিয়া এবং আইএম বিজয়ন। প্রীতি ম্য়াচে ভারতীয় ফুটবল দল মলদ্বীপকে পরাজিত করার পর এবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচ খেলবে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোলের অভাব মেটাতে কোচ মানোলো মার্কুয়েজ অবসর ভাঙিয়ে ফিরিয়ে এনেছেন সুনীল ছেত্রীকে। জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরে সুনীল গোলও পেয়েছেন। তবুও তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে আলোচনা অব্যাহত। বাইচুং বলেন, "সুনীল ছেত্রীর ফেরা ভারতীয় ফুটবলের দৈন্যদশা প্রকট করল। ও ফেরায় ভারতের ফুটবলপ্রেমীরা খুশি হবেন এতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে যুবভারতীতে গত বছর জুনে অবসর নেওয়ার পর ও কেন ফিরল সেটা আমি জানি না ৷ হয়তো কোচ মানোলো মার্কুয়েজের উপর ওকে ফেরানোর চাপ ছিল।" একইসঙ্গে 'পাহাড়ি বিছে' যোগ করেন, "গত বছর যুবভারতীতে কুয়েতের বিরুদ্ধে খেলে অবসর নেওয়ার কোনও দরকার ছিল না। কাতারের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচটা সুনীল খেললে হয়তো ভারত জিততেও পারত।"
সুনীল ছেত্রীর প্রত্যাবর্তন নিয়ে বাইচুংয়ের ভিন্ন মেরুতে ভারতীয় ফুটবলের 'কালো হরিণ' আইএম বিজয়ন। তাঁর মতে, "সুনীল ভারতীয় দলের জার্সিতে ফেরায় আমি খুশি। আইএসএলেও ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোরার ও। এইরকম ফুটবলারের দেশকে আরও কিছু দেওয়ার আছে ৷ সে যদি ফিরতে চায় এতে কোনও অসুবিধা থাকার কথা নয়।"
আইএসএলে রেফারিংয়ের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ভিএআর প্রযুক্তির ব্যবহারের কথাও উঠেছে। দুই কিংবদন্তিও মনে করেন যে, ভারতীয় রেফারিদের মান আরও উন্নত করতে হবে। ভিএআর এলেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমনটা ভাবার কারণ নেই ৷ কারণ, অতীতে দেখা গিয়েছে ভিএআর নিয়েও অনেক সিদ্ধান্ত ভুল হয়েছে। রেফারিরাও মানুষ, তাই তাঁরাও ভুল করবেন এটাই স্বাভাবিক ৷ তবে সেই ভুলের মাত্রা যত কম হয় ততই ভালো ৷