কলকাতা, 14 অক্টোবর: অতি উৎসাহী জনতার আবেগের বিস্ফোরণের মধ্যে দিয়ে নয়। চেনা মানুষের নিবিড় ভালোবাসা মেখে শহরে ফিরলেন দুই কন্যা। ইতিহাস রচনা করে সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পা-দিলেন সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় এবং ঐহিকা মুখোপাধ্যায়।
তাঁদের সঙ্গে ভারতীয় মহিলা দলের কোচ সৌরভ চক্রবর্তী। বিমানবন্দরেই এশিয়ান টেবল টেনিস চ্য়াম্পিয়নশিপে ইতিহাস সৃষ্টিকারী দুই কন্যা এবং কোচকে সম্মানিত করল বেঙ্গল স্টেট টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন। ব্রোঞ্জ পদক পাওয়ার আনন্দ রয়েছে বঙ্গতনয়াদের মনজুড়ে। একইসঙ্গে পদকের রং বদল না-করতে পারার আক্ষেপও রয়েছে।
- সৌরভ বলছেন, "একমাস একসঙ্গে প্রস্তুতির পরে পদক পাওয়ার আনন্দ যাবতীয় ক্লান্তি ভুলিয়ে দিয়েছে। আগামীতে আরও বড় সম্মান ওরাই নিয়ে আসবে।" কলকাতা থেকে সুদূর 3497 কিমি দূরে কাজাখস্তানেও দুই বঙ্গকন্যার ইতিহাস সৃষ্টি।
- ঐহিকা বলছেন, দেশ এবং রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সবসময়ই গর্বের। বিমানবন্দরে পা-দিয়েই সম্মান পাব ভাবিনি। ভীষণ ভালো লাগছে। এই সাফল্য আমাদের আগামীতে ভালো খেলতে উদ্বুদ্ধ করবে।"
- ঐহিকার কথার সুর সুতীর্থার গলায়, "আমাদের সম্মানিত করতে এত লোক আসবে ভাবিনি। এই ভালোবাসা, এই সাফল্য আমাদের আরও ভালো খেলতে আগামীতে উদ্বুদ্ধ করবে।"
বিএসটিটিএ যুগ্মসচিব শর্মী সেনগুপ্ত এবং প্রেসিডেন্ট স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় দু'জনেই বলছেন এখন বলার সময় দুই সোনার মেয়ে এবং সৌরভের। ওরা শুধু রাজ্যকেই গর্বিত করেনি, দেশের মাথা উন্নত করেছে।
বিশ্বের 15 নম্বর সুতীর্থা-ঐহিকা 4-11, 9-11, 8-11 ফলে হার মানেন জাপানের মিওয়া হারিমোতো এবং মিউ কিশারা জুটির কাছে ৷ গতবছর এশিয়ান গেমসে দেশের প্রথম জুটি হিসেবে মহিলা ডাবলসে শক্তিশালী চিনকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। কিন্তু রবিবার দিনটা তাদের ছিল না।