কলকাতা, 24 মার্চ: সম্মানিত অতনু ভট্টাচার্য এবং আব্দুল খালেক। রবিবার মহামেডান ক্লাবে 'শান-ই-মহমেডান' সম্মানে ভূষিত হলেন ক্লাবের দুই প্রাক্তন ফুটবলার। দু'জনকে পুষ্পস্তবক, জার্সি, মালার পাশাপাশি সাম্মানিক পঞ্চাশ হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারক।
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা গোলরক্ষক অতনুর কথায়, "এই সম্মান পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত। আশা করি পরের মরশুমে মহামেডান স্পোর্টিংকে সেরা ছন্দে দেখতে পাব।" খালেক বললেন, "আমাকে পরিচিতি দিয়েছে মহামেডান ক্লাবই। প্রিয় ক্লাবের থেকে সম্মান পেয়ে আমি বাক্যহারা।" মহামেডান ক্লাবের ইফতার অনুষ্ঠানে রবিবার উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। প্রত্যেকেই বলছেন মহামেডানের আইএসএলে উত্থান শুধু বাংলা নয়, ভারতীয় ফুটবলের জন্য ভালো খবর। প্রথম বছর আশানুরূপ ফল না-করতে পারলেও সকলেই আশাবাদী নতুন মরশুমে মহামেডান তার সোনালি বিকেলে ফিরিয়ে আনবে।
দলের সমর্থকদের জন্য আসন্ন সুপার কাপে ভালো ফল করার কথাও উঠে আসে ৷ ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে ময়দানের তিন ক্লাবের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। আগামীতেও একইরকম সাহায্য করা হবে। বাংলার ফুটবলের উন্নতি না-হলে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি সম্ভব নয়। উৎসবের আবহেও অবশ্য মহামেডান ক্লাবে কাঁটা বেতন বকেয়া। সোমবার লগ্নিকারী সংস্থার আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ক্লাবের আইনজীবীদের। সেখানে ক্লাবের শেয়ার সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যা সুরাহার চেষ্টা হবে।
কিন্তু বৈঠকের আগে রবিবার মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি আমিরউদ্দিন ববি বেসুরো। তিনি জানান, ক্লাবের অংশীদারিত্বের বিষয়ের আগে পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া নিয়ে কথা হওয়া দরকার। কারণ, ফুটবলাররা বেতন বকেয়া সমস্যায় পড়েছেন। খেলায় মনোসংযোগ করতে পারছেন না। লগ্নিকারী সংস্থা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকা দেয়নি। দরজায় কড়া নাড়ছে সুপার কাপ। তার আগে ফুটবলারদের প্র্যাকটিসে নামার কথা থাকলেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে বকেয়া বেতন।