ETV Bharat / politics

শাহজাহানের গ্রেফতারিতে বিলম্ব কেন ? 72 ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব রাজভবনের

Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালি-কাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারিতে কেন এত বিলম্ব হচ্ছে, তা 72 ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য়ের কাছে জানতে চাইল রাজভবন ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 27, 2024, 10:52 AM IST

ETV BHARAT
ETV BHARAT

কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি ইস্যুতে ফের নবান্নের কাছে রাজভবনের জবাব তলব । সূত্রের খবর, শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারিতে বিলম্ব কেন হচ্ছে, রাজ্যের কাছে তা জানতে চেয়ে 72 ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে রাজভবন । গতকাল রাতে রাজ্যপালের নির্দেশে নবান্নে চিঠি পাঠানো হয়েছে । রাজ্য সরকার যদি তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে সংবিধানিক ক্ষমতা মেনে রাজ্যপাল পদক্ষেপ করতে পারেন, সে ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে ।

এ দিকে, গতকালই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম স্পষ্ট জানিয়েছেন, সন্দেশখালি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ফেরার শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারিতে কোনও বাধা নেই । রাজ্য পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে । এরপরেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন যে, 7 দিনের মধ্যে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হবেন । এ সবের মাঝে রাজভবন সূত্রের দাবি, রাজ্যপাল চাইছেন দ্রুতই গ্রেফতার করা হোক শেখ শাহজাহানকে । কেন এখনও তাঁকে গ্রেফতার করা হল না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে ।

দু'দিন আগেই তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারছে না রাজ্য পুলিশ । একইসঙ্গে অভিষেক দাবি করেছিলেন, সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনকে কাশ্মীর থেকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছিল । ফলে, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারের ক্ষমতা রাখে রাজ্যের পুলিশ । শুধুমাত্র আইনি জটিলতার কারণে তা হয়ে উঠছে না । যদিও অভিষেকের এই দাবির পর গতকালই কলকাতা হাইকোর্টের প্ৰধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, শাহজাহানের গ্রেফতারিতে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি ।

এ প্রসঙ্গেই গতকাল হুগলির ব্যান্ডেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছিলেন, "আদালত যা বলেছে সেটাই শেষ কথা । যে কালপ্রিট তাকে ধরতে হবে । আদালতের রায় শেষ কথা, তাঁকে না ধরার কোনও অজুহাত নেই । আমাদের দেশে গণতন্ত্রে আদালতের একটা ভূমিকা আছে । দোষীকে ধরতেই হবে । রাজ্য়পাল হিসেবে আমার সম্পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে বিষয়টা দেখব । কোনও রাজ্যের সরকার যদি ঠিক মত দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দরকার হয় । আমি চেষ্টা করব সবটা বিষয় যেন মিটে যায় । আপাতত সংবাদমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি পুলিশ গিয়েছে । আটশো পিটিশন জমা পড়েছে, অভিযোগ নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে । সংবিধান অনুযায়ী সরকার তার দায়িত্ব পালন না করলে, গভর্নর নিজের ক্ষমতায় থেকে কাজ করবে ।"

এরপর রাজ্যপালের নির্দেশেই সোমবার রাতে নবান্নকে ইমেল মারফৎ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে । গতকাল শবেবরাতের ছুটি থাকায় আজ জবাব তলবের হার্ড কপি পাঠানো হতে পারে বলে দাবি রাজভবন সূত্রের ।

আরও পড়ুন:

কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি ইস্যুতে ফের নবান্নের কাছে রাজভবনের জবাব তলব । সূত্রের খবর, শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারিতে বিলম্ব কেন হচ্ছে, রাজ্যের কাছে তা জানতে চেয়ে 72 ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে রাজভবন । গতকাল রাতে রাজ্যপালের নির্দেশে নবান্নে চিঠি পাঠানো হয়েছে । রাজ্য সরকার যদি তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে সংবিধানিক ক্ষমতা মেনে রাজ্যপাল পদক্ষেপ করতে পারেন, সে ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে ।

এ দিকে, গতকালই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম স্পষ্ট জানিয়েছেন, সন্দেশখালি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ফেরার শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারিতে কোনও বাধা নেই । রাজ্য পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে । এরপরেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন যে, 7 দিনের মধ্যে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হবেন । এ সবের মাঝে রাজভবন সূত্রের দাবি, রাজ্যপাল চাইছেন দ্রুতই গ্রেফতার করা হোক শেখ শাহজাহানকে । কেন এখনও তাঁকে গ্রেফতার করা হল না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে ।

দু'দিন আগেই তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারছে না রাজ্য পুলিশ । একইসঙ্গে অভিষেক দাবি করেছিলেন, সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনকে কাশ্মীর থেকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছিল । ফলে, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারের ক্ষমতা রাখে রাজ্যের পুলিশ । শুধুমাত্র আইনি জটিলতার কারণে তা হয়ে উঠছে না । যদিও অভিষেকের এই দাবির পর গতকালই কলকাতা হাইকোর্টের প্ৰধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, শাহজাহানের গ্রেফতারিতে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি ।

এ প্রসঙ্গেই গতকাল হুগলির ব্যান্ডেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছিলেন, "আদালত যা বলেছে সেটাই শেষ কথা । যে কালপ্রিট তাকে ধরতে হবে । আদালতের রায় শেষ কথা, তাঁকে না ধরার কোনও অজুহাত নেই । আমাদের দেশে গণতন্ত্রে আদালতের একটা ভূমিকা আছে । দোষীকে ধরতেই হবে । রাজ্য়পাল হিসেবে আমার সম্পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে বিষয়টা দেখব । কোনও রাজ্যের সরকার যদি ঠিক মত দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দরকার হয় । আমি চেষ্টা করব সবটা বিষয় যেন মিটে যায় । আপাতত সংবাদমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি পুলিশ গিয়েছে । আটশো পিটিশন জমা পড়েছে, অভিযোগ নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে । সংবিধান অনুযায়ী সরকার তার দায়িত্ব পালন না করলে, গভর্নর নিজের ক্ষমতায় থেকে কাজ করবে ।"

এরপর রাজ্যপালের নির্দেশেই সোমবার রাতে নবান্নকে ইমেল মারফৎ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে । গতকাল শবেবরাতের ছুটি থাকায় আজ জবাব তলবের হার্ড কপি পাঠানো হতে পারে বলে দাবি রাজভবন সূত্রের ।

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.