সিপিএম পার্টি অফিসে মারামারি, কামড়াকামড়ি! ক্ষুব্ধ দলীয় নেতৃত্ব

সিপিএম কলকাতা জেলার এরিয়া কমিটির একটি বৈঠকে ধুন্ধুমার কাণ্ড দলীয় কর্মীদের মধ্যে। হাতাহাতি মারামারি থেকে কামড়াকামড়ি— কিছুই বাদ যায়নি!

কলকাতা, 28 এপ্রিল: যৌন হেনস্থা থেকে কুপ্রস্তাব। ধারাবাহিক অভিযোগে নাজেহাল সিপিএম। গত কয়েক মাস ধরে সিপিএমের বিভিন্ন জেলা নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট তদন্ত করে ব্যবস্থাও নিয়েছে। এরই সদ্য উদাহরণ আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশ গোপাল চৌধুরীকে বহিষ্কার করা। সূত্রের দাবি গতকাল রাতে সিপিএম কলকাতা জেলার এরিয়া কমিটির একটি বৈঠকে ধুন্ধুমার কাণ্ড দলীয় কর্মীদের মধ্যে। হাতাহাতি মারামারি থেকে কামড়াকামড়ি— কিছুই বাদ যায়নি! দুই পক্ষের আক্রান্তদের ব্যান্ডেজ, সেলাই পড়েছে। এদিকে জেলা নেতৃত্ব উভয় পক্ষের তরফে লিখিত অভিযোগ জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

গতকাল কসবার 91 নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম এরিয়া কমিটির বৈঠক বসে। সেই বৈঠকেই প্রাথমিক কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি এবং কামড়াকামড়ির পর্যায়ে পৌঁছায়। শেষ পর্যন্ত ভেস্তেই যায় বৈঠক। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ সিপিএমের উচ্চ নেতৃত্ব। লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে বলেও সূত্রের দাবি। কিন্তু, অফিসিয়ালি সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটির কোনও নেতাই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। এমনকি ইটিভি ভারতের তরফে সিপিএম কলকাতা জেলার সম্পাদক কল্লোল মজুমদারকে ফোন করা হলে তাকেও পাওয়া যায়নি।

এদিকে কয়েকদিন আগেই ডিওয়াইএফআই কলকাতা জেলা কমিটির সম্মেলন শেষে সদ্য নির্বাচিত এক পদাধিকারীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন এক মহিলা সদস্য। সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখিও চলে। অভিযোগকারিনীকে লিখিত অভিযোগ করার কথাও বলা হয়। যদিও সূত্রের দাবি, ওই মহিলা সদস্য পার্টির কাছে কোনও লিখিত অভিযোগই করেননি।

একইভাবে সিপিআইএমের এক শ্রমিক নেতার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা তা নিয়ে কটাক্ষ করেন। কিন্তু সে বিষয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি দলের কাছে। কিন্তু, কসবার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়বে বলেই উভয় পক্ষের তরফে দাবি করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় হল, অভিযোগ জমা পড়লে সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটি কি পদক্ষেপ নেয়।

অন্যদিকে, পার্টির ইন্টার্নাল কমপ্লেন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশ গোপাল চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নৈতিক অবক্ষয়ের কারণেই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে সিপিএমের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে। যদিও ইটিভি ভারতের কাছে বংশগোপাল চৌধুরী দাবি করেছেন তার সঙ্গে পার্টি কোনও রকম ভাবে যোগাযোগ করেনি।