ETV Bharat / politics

একুশের মঞ্চ থেকেই ছাব্বিশের ডঙ্কা ! 14 জুন শহিদ তর্পণের প্রস্তুতি বৈঠক তৃণমূলের - TMC MEETING

আগামী 14 জুন শহিদ তর্পণের প্রস্তুতি বৈঠকে বসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে এ বছরের একুশে জুলাই দলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷

ETV BHARAT
14 জুন শহিদ তর্পণের প্রস্তুতি বৈঠক তৃণমূলের (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : June 8, 2025 at 3:18 PM IST

3 Min Read

কলকাতা, 8 জুন: সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন । এরই মধ্যে, 21 জুলাই শহিদ দিবসের প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস । আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে এ বছরের 21 জুলাই রাজনৈতিক দিক থেকে তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । দলের অভ্যন্তরে স্পষ্ট ইঙ্গিত, এবার শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকেই ভোটযুদ্ধের সুর বেঁধে দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আগামী 14 জুন ভবানীপুরের মেগা বৈঠক থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ।

প্রতি বছরের মতো এবারও 21 জুলাই শহিদ তর্পণ উপলক্ষে রাজ্যজুড়ে হবে সভা-সমাবেশ । তবে নির্বাচনের প্রেক্ষিতে এ বছরের শহিদ দিবস হবে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ও লক্ষ্যনির্দিষ্ট । ছাত্র ও যুব সংগঠনকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে নামার বার্তা দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব । তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে দলীয় স্তরে । তৃণমূল কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার কথায়, "গতকালই একুশে জুলাই নিয়ে একটি প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে ৷ এরপর 14 তারিখ একটি বড় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে ৷ সেখান থেকেই এই বছরের শহিদ দিবস পালনের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা হবে ।"

সূত্রের খবর, 14 জুন ভবানীপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বসছে বড়সড় প্রস্তুতি বৈঠক । ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলা সভাপতি ও জেলা চেয়ারম্যানদের কাছে বৈঠকে হাজির থাকার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে । পাশাপাশি কলকাতা উত্তর ও বীরভূম জেলার কোর কমিটির সদস্যদেরও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে । মূলত এই দুই জেলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব ।

শনিবার পুরনো তৃণমূল ভবনে এক প্রাক-প্রস্তুতি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে । ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ একাধিক শীর্ষ নেতা । 14 জুনের বৈঠকের আহ্বানপত্রও তাঁদের নির্দেশেই পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্বের কাছে ।

প্রতি বছর ধর্মতলার কেন্দ্রীয় সভামঞ্চ থেকেই শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে নতুন লড়াইয়ের শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবছর সেই মঞ্চে তাঁর বক্তৃতা ঘিরেই দলের মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা রয়েছে । কারণ রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার এই মঞ্চ থেকেই চতুর্থবার ক্ষমতায় ফেরার লক্ষ্যে লড়াইয়ের সূচনা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ।

এদিকে, বিজেপি-ও রাজ্যজয়ের স্বপ্নে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে । আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু হয়েছে 2026-এর প্রচার । 20 জুন ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । এই রাজনৈতিক উত্তাপের আবহেই একুশে জুলাইকে আরও বৃহৎ পরিসরে এবং রাজনৈতিক বার্তায় পরিপূর্ণ করে তুলতে চাইছে ঘাসফুল শিবির ।

শহিদ তর্পণ এবার শুধুই স্মরণ নয়, লড়াইয়ের অঙ্গীকার । তাই তৃণমূলের কাছে এই মহাসমাবেশ কার্যত ভোটযুদ্ধের দামামা । রাজনৈতিক মহলের মতে, একুশের মঞ্চ থেকে যেভাবে বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে শাসকদলের রণকৌশল অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে । আর সেই কারণেই প্রস্তুতিপর্বের গুরুত্ব যেন আরও বেড়ে গিয়েছে ।

কলকাতা, 8 জুন: সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন । এরই মধ্যে, 21 জুলাই শহিদ দিবসের প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস । আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে এ বছরের 21 জুলাই রাজনৈতিক দিক থেকে তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । দলের অভ্যন্তরে স্পষ্ট ইঙ্গিত, এবার শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকেই ভোটযুদ্ধের সুর বেঁধে দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আগামী 14 জুন ভবানীপুরের মেগা বৈঠক থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ।

প্রতি বছরের মতো এবারও 21 জুলাই শহিদ তর্পণ উপলক্ষে রাজ্যজুড়ে হবে সভা-সমাবেশ । তবে নির্বাচনের প্রেক্ষিতে এ বছরের শহিদ দিবস হবে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ও লক্ষ্যনির্দিষ্ট । ছাত্র ও যুব সংগঠনকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে নামার বার্তা দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব । তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে দলীয় স্তরে । তৃণমূল কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার কথায়, "গতকালই একুশে জুলাই নিয়ে একটি প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে ৷ এরপর 14 তারিখ একটি বড় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে ৷ সেখান থেকেই এই বছরের শহিদ দিবস পালনের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা হবে ।"

সূত্রের খবর, 14 জুন ভবানীপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বসছে বড়সড় প্রস্তুতি বৈঠক । ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলা সভাপতি ও জেলা চেয়ারম্যানদের কাছে বৈঠকে হাজির থাকার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে । পাশাপাশি কলকাতা উত্তর ও বীরভূম জেলার কোর কমিটির সদস্যদেরও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে । মূলত এই দুই জেলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব ।

শনিবার পুরনো তৃণমূল ভবনে এক প্রাক-প্রস্তুতি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে । ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ একাধিক শীর্ষ নেতা । 14 জুনের বৈঠকের আহ্বানপত্রও তাঁদের নির্দেশেই পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্বের কাছে ।

প্রতি বছর ধর্মতলার কেন্দ্রীয় সভামঞ্চ থেকেই শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে নতুন লড়াইয়ের শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবছর সেই মঞ্চে তাঁর বক্তৃতা ঘিরেই দলের মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা রয়েছে । কারণ রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার এই মঞ্চ থেকেই চতুর্থবার ক্ষমতায় ফেরার লক্ষ্যে লড়াইয়ের সূচনা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ।

এদিকে, বিজেপি-ও রাজ্যজয়ের স্বপ্নে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে । আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু হয়েছে 2026-এর প্রচার । 20 জুন ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । এই রাজনৈতিক উত্তাপের আবহেই একুশে জুলাইকে আরও বৃহৎ পরিসরে এবং রাজনৈতিক বার্তায় পরিপূর্ণ করে তুলতে চাইছে ঘাসফুল শিবির ।

শহিদ তর্পণ এবার শুধুই স্মরণ নয়, লড়াইয়ের অঙ্গীকার । তাই তৃণমূলের কাছে এই মহাসমাবেশ কার্যত ভোটযুদ্ধের দামামা । রাজনৈতিক মহলের মতে, একুশের মঞ্চ থেকে যেভাবে বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে শাসকদলের রণকৌশল অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে । আর সেই কারণেই প্রস্তুতিপর্বের গুরুত্ব যেন আরও বেড়ে গিয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.