ETV Bharat / politics

ভোটের প্রচারে এলে গাছে বেঁধে মার, বিরোধীদের হুমকি তৃণমূলের ব্লক নেতাদের ! - TMC LEADERS THREAT OPPOSITIONS

হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকে বিরোধী শিবির থেকে তৃণমূলে যোগদান ৷ পাল্টা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা বিজেপির ৷

TMC LEADERS THREAT OPPOSITIONS
ভোটের প্রচারে এলে গাছে বেঁধে মা, বিরোধীদের হুমকি তৃণমূলের ব্লক নেতাদের ! (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : June 20, 2025 at 9:08 PM IST

3 Min Read

মালদা, 20 জুন: তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসির বিরুদ্ধে বারবার বিরোধীদের হুমকি ও কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে ৷ কখনও বিরোধীদের হাত কেটে নেওয়া, কখনও বা ঝাঁটাপেটা করার নিদান দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি ৷ তাঁর এহেন বিতর্কিত মন্তব্য যেন লুফে নিয়েছেন নিচুতলার নেতা-কর্মীরাও !

এবার হরিশ্চন্দ্রপুরের ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছাব্বিশের ভোটের প্রচারে এলে বিরোধীদের গাছে বেঁধে পেটানোর হুমকি দিয়ে রাখলেন ৷ তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করছেন অন্য নেতারাও ৷ যদিও, এই হুমকি ফুৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছে বিরোধী শিবিরগুলি ৷

ভোটের প্রচারে এলে গাছে বেঁধে মা, বিরোধীদের হুমকি তৃণমূলের ব্লক নেতাদের ! (ইটিভি ভারত)

হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং যুব তৃণমূলের আহ্বায়ক পূজন দাসের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে একটি যোগদান কর্মসূচি পালিত হয় ৷ তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ওই যোগদান শিবিরে সিপিআইএম ও বিজেপি থেকে প্রায় দেড়শো কর্মী ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন ৷ সেখানেই বিরোধীদের উদ্দেশ্যে হুঙ্কার ছাড়েন জিয়াউর ৷

তিনি বলেন, “মানুষের সঙ্গে মানুষের লড়াই বাঁধিয়ে দেওয়ার যে রাজনীতি বিজেপি করছে, সেটা জনগণ ধরে ফেলেছে ৷ মানুষ এখন তৈরি হয়ে আছে ৷ একে প্রচারের হাতিয়ার করে বিজেপি যদি ছাব্বিশের নির্বাচনে মানুষের কাছে ভোট চাইতে আসে তবে তাদের গাছে বেঁধে রাখা হবে ৷ জনগণ সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানে আমাদের ফল খারাপ হয়েছিল ৷ গত লোকসভা নির্বাচনে আমরা সেটা খানিকটা ঠিক করতে পেরেছি ৷”

ব্লক যুব তৃণমূলের আহ্বায়ক পূজন দাসের কথায়, “বুলবুল খানের নেতৃত্বে এই এলাকায় দল খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ভালো ফল না-করলেও, লোকসভা ভোটে ফল ভালো হয়েছে ৷ তৃণমূলের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সিপিআইএম ও বিজেপি থেকে দেড়শো জন কর্মী আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন ৷ এমন আরও বেশ কয়েকটি যোগদান কর্মসূচি করা হবে ৷ ছাব্বিশের নির্বাচনে বুলবুল খানের নেতৃত্বে এই এলাকা থেকে জোট ও বিজেপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ৷ মানুষ বুঝে গিয়েছে, বিজেপি সাম্প্রদায়িক প্রচার করছে ৷ দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ৷ সাধারণ মানুষ বিজেপিকে গাছে বেঁধে বেদম পেটাবে ৷”

যদিও, তৃণমূল নেতৃত্বের এই হুমকি ফুৎকারে উড়িয়ে বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য কিষান কেডিয়া বলেন, “কে কাকে গাছে বেঁধে রাখবে, তা জানার জন্য সময়ের অপেক্ষা করতে হবে ৷ ভোট যত এগিয়ে আসবে, তত দেখা যাবে তৃণমূল নেতা দলীয় নেতাকেই গাছে বেঁধে রেখেছেন ৷ এসব নিয়ে আমাদের কিছু বলতে হবে না ৷ সব জনসাধারণই বলবে ৷ আগে ওরা নিজেরা ঠিক করুক, বিধানসভা নির্বাচনে কে দলের টিকিট পাবে ৷ ওরা নিজেদের কোন্দল সামাল দিতে পারছে না, অন্যের বাড়ির খবর রাখছে ৷ ওরা আগে নিজেদের বাড়ি ঠিক করুক ৷ কে কাকে গাছে বেঁধে রাখছে, ভোট এগিয়ে এলে মানুষই সব বলে দেবে ৷”

সিপিআইএমের এরিয়া কমিটির সদস্য প্রণব দাসের বক্তব্য, “আমাদের দল থেকে কে বা কারা ওদের দলে নাম লেখালো জানি না ৷ কেউ যোগদান করে থাকলেও সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় ৷ ওরা সবাই তৃণমূল ৷ বহুরূপী হয়ে তারা কংগ্রেস কিংবা সিপিএমের হয়ে নিজেদের দলে যোগ দিয়েছে ৷ আগে তৃণমূলের লোকজন নিজের দল ঠিক করুক ৷ ওদের একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে মাঠেঘাটে বিষোদগার করছে, মানুষ হাসছে ৷ আগে ওরা নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাক, তারপর না-হয় অন্যদল থেকে যোগদান করাক ৷ আর ওদের যোগদানেরই বা কী আছে ৷ ওদের সব রয়েছে ৷ ওরা তো মানুষের ভোটে জেতে না ৷ পুলিশকে দিয়ে ভোট করিয়ে জেতে ৷ যোগদানের গল্প বলে শুধু-শুধু মানুষকে বিব্রত করার কোনও মানে হয় না ৷”

মালদা, 20 জুন: তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসির বিরুদ্ধে বারবার বিরোধীদের হুমকি ও কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে ৷ কখনও বিরোধীদের হাত কেটে নেওয়া, কখনও বা ঝাঁটাপেটা করার নিদান দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি ৷ তাঁর এহেন বিতর্কিত মন্তব্য যেন লুফে নিয়েছেন নিচুতলার নেতা-কর্মীরাও !

এবার হরিশ্চন্দ্রপুরের ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছাব্বিশের ভোটের প্রচারে এলে বিরোধীদের গাছে বেঁধে পেটানোর হুমকি দিয়ে রাখলেন ৷ তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করছেন অন্য নেতারাও ৷ যদিও, এই হুমকি ফুৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছে বিরোধী শিবিরগুলি ৷

ভোটের প্রচারে এলে গাছে বেঁধে মা, বিরোধীদের হুমকি তৃণমূলের ব্লক নেতাদের ! (ইটিভি ভারত)

হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং যুব তৃণমূলের আহ্বায়ক পূজন দাসের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে একটি যোগদান কর্মসূচি পালিত হয় ৷ তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ওই যোগদান শিবিরে সিপিআইএম ও বিজেপি থেকে প্রায় দেড়শো কর্মী ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন ৷ সেখানেই বিরোধীদের উদ্দেশ্যে হুঙ্কার ছাড়েন জিয়াউর ৷

তিনি বলেন, “মানুষের সঙ্গে মানুষের লড়াই বাঁধিয়ে দেওয়ার যে রাজনীতি বিজেপি করছে, সেটা জনগণ ধরে ফেলেছে ৷ মানুষ এখন তৈরি হয়ে আছে ৷ একে প্রচারের হাতিয়ার করে বিজেপি যদি ছাব্বিশের নির্বাচনে মানুষের কাছে ভোট চাইতে আসে তবে তাদের গাছে বেঁধে রাখা হবে ৷ জনগণ সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানে আমাদের ফল খারাপ হয়েছিল ৷ গত লোকসভা নির্বাচনে আমরা সেটা খানিকটা ঠিক করতে পেরেছি ৷”

ব্লক যুব তৃণমূলের আহ্বায়ক পূজন দাসের কথায়, “বুলবুল খানের নেতৃত্বে এই এলাকায় দল খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ভালো ফল না-করলেও, লোকসভা ভোটে ফল ভালো হয়েছে ৷ তৃণমূলের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সিপিআইএম ও বিজেপি থেকে দেড়শো জন কর্মী আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন ৷ এমন আরও বেশ কয়েকটি যোগদান কর্মসূচি করা হবে ৷ ছাব্বিশের নির্বাচনে বুলবুল খানের নেতৃত্বে এই এলাকা থেকে জোট ও বিজেপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ৷ মানুষ বুঝে গিয়েছে, বিজেপি সাম্প্রদায়িক প্রচার করছে ৷ দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ৷ সাধারণ মানুষ বিজেপিকে গাছে বেঁধে বেদম পেটাবে ৷”

যদিও, তৃণমূল নেতৃত্বের এই হুমকি ফুৎকারে উড়িয়ে বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য কিষান কেডিয়া বলেন, “কে কাকে গাছে বেঁধে রাখবে, তা জানার জন্য সময়ের অপেক্ষা করতে হবে ৷ ভোট যত এগিয়ে আসবে, তত দেখা যাবে তৃণমূল নেতা দলীয় নেতাকেই গাছে বেঁধে রেখেছেন ৷ এসব নিয়ে আমাদের কিছু বলতে হবে না ৷ সব জনসাধারণই বলবে ৷ আগে ওরা নিজেরা ঠিক করুক, বিধানসভা নির্বাচনে কে দলের টিকিট পাবে ৷ ওরা নিজেদের কোন্দল সামাল দিতে পারছে না, অন্যের বাড়ির খবর রাখছে ৷ ওরা আগে নিজেদের বাড়ি ঠিক করুক ৷ কে কাকে গাছে বেঁধে রাখছে, ভোট এগিয়ে এলে মানুষই সব বলে দেবে ৷”

সিপিআইএমের এরিয়া কমিটির সদস্য প্রণব দাসের বক্তব্য, “আমাদের দল থেকে কে বা কারা ওদের দলে নাম লেখালো জানি না ৷ কেউ যোগদান করে থাকলেও সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় ৷ ওরা সবাই তৃণমূল ৷ বহুরূপী হয়ে তারা কংগ্রেস কিংবা সিপিএমের হয়ে নিজেদের দলে যোগ দিয়েছে ৷ আগে তৃণমূলের লোকজন নিজের দল ঠিক করুক ৷ ওদের একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে মাঠেঘাটে বিষোদগার করছে, মানুষ হাসছে ৷ আগে ওরা নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাক, তারপর না-হয় অন্যদল থেকে যোগদান করাক ৷ আর ওদের যোগদানেরই বা কী আছে ৷ ওদের সব রয়েছে ৷ ওরা তো মানুষের ভোটে জেতে না ৷ পুলিশকে দিয়ে ভোট করিয়ে জেতে ৷ যোগদানের গল্প বলে শুধু-শুধু মানুষকে বিব্রত করার কোনও মানে হয় না ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.