কলকাতা, 6 মার্চ: নির্বাচনী প্রচার এবং সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার রাতেই রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ বুধবার বারাসাতে বিজেপির বিজয় সংকল্প সভায় যোগ দেবেন তিনি ৷ আর প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে সরব হল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সকালেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দলের অন্যতম মুখপাত্র শান্তনু সেন নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে দুর্নীতি সব প্রশ্নেই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন ৷
প্রধানমন্ত্রী তাঁর শেষ রাজ্যে সফরে এসে সব থেকে বেশি সরব ছিলেন নারী নির্যাতন নিয়ে। তাঁর বক্তব্যের একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল সন্দেশখালি প্রসঙ্গও। আর এদিন সেই নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, "পাবলিসিটি মাস্টার প্রাইম মিনিস্টার ফের বাংলায় এসেছেন। আরও একবার তিনি নারী ক্ষমতায়নের কথা বলবেন। কিন্তু একবারও বলবেন না, গত বছর স্বাধীনতা দিবসে পতাকা তোলার পর বিকেল বেলায় কেন বিলকিস বানুর ধর্ষকদের রেহাই করে দিলেন। তিনি একবারও বলবেন না, মণিপুরে মহিলাদের নগ্ন করে প্যারেড করানোর পরেও কেন তিনি সেখানে একবারও যাননি। উত্তরপ্রদেশে অন্তসত্ত্বা মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে জেনেও তিনি চুপ থাকবেন। হাতরাসের ঘটনাতেও তিনি একটিও কথা বলবেন না। রাজস্থানে জলের ট্যাঙ্কের উপর দাঁড়িয়ে বিচার চাইছেন, এসব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটিও কথা বলবেন না।"
একই সঙ্গে শান্তনু বলেন, "একে তিনি নারী ক্ষমতায়নের কথা বলবেন অন্যদিকে প্রার্থী ঘোষণার পর দেখা যাবে মাত্র 14 শতাংশ আসনে মহিলাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভায় 75 শতাংশ এবং পঞ্চায়েতে 50 শতাংশ মহিলাদের মনোনয়ন দেবেন।" এদিন তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, "বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে মহিলাদের উন্নয়ন করেন মহিলাদের কথা ভাবেন এক্ষেত্রে কীভাবে নারী ক্ষমতায়ন করতে হয় তা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দেখে শিখতে হবে নরেন্দ্র মোদিকে।"
এদিন দুর্নীতির প্রশ্নেও প্রধানমন্ত্রীকে দুষেছেন শান্তনু সেন। তিনি বলেন, "একদিকে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির কথা বলছেন অন্যদিকে সিবিআই এর এফআইআর-এ নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে পাশে নিয়ে বসছেন। তিনি একবারও বলছেন না নীরব মোদি, ললিত মোদি, মেহুল চকসিরা হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে নিয়ে কীভাবে পার পেয়ে গেলেন ! মুখে দুর্নীতির কথা বলবেন তবে একবারও বলবেন না এই মুহূর্তে ভারতবর্ষে সব থেকে বড় আর্থিক দুর্নীতি হল মোদি-আদানি স্ক্যাম। তিনি এত কথা বলবেন তবু একবারও বলবেন না, কেন একজন কর্মরত শিখ পুলিশ অফিসারকে খালিস্তানি বলে গালাগাল করা হবে।" এদিন শান্তনু সেন স্পষ্ট করে দিয়েছেন আসলে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে আসা বাংলাকে বদনাম করার জন্যই তাই তাঁর গাল ভরা কথায় বাংলার মানুষ ভুলবে না।
আরও পড়ুন
অর্জুনের প্রার্থী হওয়া ঠেকাতে মরিয়া সোমনাথ ! মমতার দ্বারস্থ সাংসদ
গোটা দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন একমাত্র বাংলাতেই হয়, কমিশনকে বার্তা মমতার