জলপাইগুড়ি, 17 এপ্রিল: রাজ্যে প্রথম দফা নির্বাচনে প্রচারে বিজেপিকে টেক্কা দিল তৃণমূল কংগ্রেস । কিন্তু কেন ? জানলে অবাক হবেন । প্রথম দফা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে হেলিকপ্টার ব্যবহারে বিজেপিকে টেক্কা দিল তৃণমূল কংগ্রেস । বিজেপির দাবি, ‘‘আমাদের হেলিকপ্টার দেখিয়ে লোক জড়ো করতে হয় না ।’’
প্রথম দফায় তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিনেতা তথা সাংসদ দেব (দীপক অধিকারী) হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন । যদিও বিজেপির প্রচারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছেন । প্রধানমন্ত্রী ছাড়া বিজেপির কোনও হেভিওয়েট নেতা বা প্রচারক জলপাইগুড়ি বা কোচবিহারে হেলিকপ্টারে আসেননি ।
গত 31 মার্চ জলপাইগুড়িতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এরপর তিনি প্রচারের জন্য চালসার বেসরকারি রিসর্টে আস্তানা গাড়েন । চালসায় থেকেই তিনি আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক, কোচবিহারের প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় ও দার্জিলিংয়ের প্রার্থী গোপাল লামা ও রায়গঞ্জের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে নির্বাচনী সভা করেন । প্রতিটি নির্বাচনী সভাতেই মমতা হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছেন ।
অন্যদিকে ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, কোচবিহারে সভা করেন তিনি । কোচবিহারে তৃণমূল নেত্রী রাসমেলা ময়দানে, দিনহাটা সংহতি ময়দানে, আলিপুরদুয়ারের কালচিনি নিমতি, ডিমডিমাতে হেলিকপ্টারে সভা করতে যান । জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির পশ্চিম শালবাড়ি ময়দান, মালবাজার, জলপাইগুড়ি এবিপিসি মাঠ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির জাবরাভিটা হাইস্কুলের মাঠেও হেলিকপ্টারে জনসভা করতে যান তৃণমূল নেত্রী ।
অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে সভা করেন হেলিকপ্টারে গিয়েই । অভিনেতা দেব জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের মেখলিগঞ্জে ও আলিপুরদুয়ারের জটেশ্বরে রোড শো করতে আসেন হেলিকপ্টারে । অন্যদিকে মিঠুন চক্রবর্তী ও রাজনাথ সিং আলিপুরদুয়ারের এলেও তাঁরা হাসিমারা এয়ারফোর্স স্টেশনে নামেন ।
বিজেপির রাজ্য সম্পাদক দীপক বর্মন বলেন, ‘‘আমাদের হেলিকপ্টার দেখিয়ে লোক জড়ো করতে হয় না । তৃণমূল কংগ্রেস বন্ড থেকে কত টাকা পেয়েছে, সেটা আগে দেখতে হবে । বিজেপি সর্বভারতীয় দল ৷ তাদের কত টাকা সদস্য পদ বা সাংসদ পিছু বাবদ উঠে আসছে, তা অনেক কম । তৃণমূল লটারি কোম্পানি থেকে যে পরিমাণ টাকা পেয়েছে, তারা সেই টাকা কোথায় খরচ করবে ?’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘তারা তাই যত্রতত্র হেলিকপ্টার নামাচ্ছে । হেলিপ্যাড বানাচ্ছে৷ তাদের তাতেই খরচ করছে । তাদের দেখে আর লোক হয় না । তাই হেলিকপ্টার দেখিয়ে লোক জোড়ো করতে হয় । ওরা দেখেছে উত্তরবঙ্গের মানুষ হেলিকপ্টার দেখেনি । আর দেখাও সম্ভব নয় । এখানে একটাই মাত্র এয়ারপোর্ট আছে । মানুষের মনে বিজেপি আছে ৷ আমাদের হেলিকপ্টারের দরকার হয় না ।’’
আরও পড়ুন: