বালুরঘাট (দক্ষিণ দিনাজপুর), 19 এপ্রিল: বিজেপির বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগও উঠেছে ৷ ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ৷ তিনি পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷
উল্লেখ্য, শনিবার বিজেপির তরফে বালুরঘাট মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হয় ৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের সুব্যবস্থা এবং মালদা, মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বালুরঘাটে এই কর্মসূচি নেয় ৷ বিজেপির এই কর্মসূচির কারণে মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয় ৷ ব্যারিকেডও দেওয়া হয় ৷
বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা মিছিল করে মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে যান ৷ সেখানে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন ৷ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপির বিক্ষোভ মিছিলে হাজার খানেক কর্মী-সমর্থক অংশ নেন । মিছিল করে তাঁরা বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসতেই পুলিশি ব্যারিকেডের বাধার মুখে পড়েন ৷
সেই সময় আন্দোলনকারীরা সেই ব্যারিকেড উপরে তুলে ফেলেন। পুলিশের তরফে আন্দোলকারীদের প্রতিহত করা হয়৷ তখনই দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সেই সময়ই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ অভিযোগ, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ ৷ পুলিশ লাঠিচার্জ করতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ ডেপুটেশন কর্মসূচিতে পুলিশ ব্যারিকেড করে বাধা দেয় । এরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ করে । পুলিশের লাঠি আঘাতে বেশকিছু বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন । ডিএসপি বিক্রম প্রসাদের নেতৃত্বে এই লাঠিচার্জ হয়েছে ও আমাদের বিশেষ করে চারজন গুরুতর আহত হয়েছে ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এর মধ্যে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকারের মাথায় লাঠির আঘাত করা হয়েছে । পুলিশের লাঠিচার্জে মাথায় আঘাত করার কোনও নিয়ম নেই । মাথায় মারলে ইন্টার্নাল হেমারেজ হতে পারে । আমরা তাঁকে পাঠিয়েছি এমআরআই করতে, যদি ইন্টারনাল হেমারেজ হয়, আমরা পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করব ।’’