কলকাতা, 26 মার্চ: বরানগর উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে হলেন কলকাতা পৌরনিগমের কাউন্সিলর সজল ঘোষের নাম প্রকাশ করেছে বিজেপি। আর প্রার্থী হয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন সজল। বললেন, "বিধানসভা হলো চোরদের বিরুদ্ধে লড়ার আসল জায়গা।"
বরানগর কেন্দ্রের বিধায়ক তাপস রায় তৃণমূল ছাড়ার সঙ্গেই বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেন। এবার তিনি বিজেপির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা উত্তরের প্রার্থী। যদিও প্রাথমিকভাবে কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে সজল ঘোষকেই বিজেপি প্রার্থী করবে বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু তাপস রায় দলে যোগ দেওয়ায় পরবর্তী সময় তাঁকেই প্রার্থী করা হয়। এবার তাপস রায়ের ছেড়ে আসা বরানগর বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপি প্রার্থী করল সজল ঘোষকে। তাপস রায় ও সজল ঘোষ দু'জনেই বৌবাজার এলাকার বাসিন্দা। অনেকেই তাই রসিকতা করে বলছেন, 'মেলালেন তিনি মেলালেন।'
এদিন প্রার্থী হিসেবে নাম প্রকাশের পর সজল ঘোষ বলেন, "অধর্মের বিনাশ, ধর্মের জয় হবে এই প্রার্থনা করি।" তাঁকে লোকসভায় প্রার্থী না-করে বিধানসভায় করা নিয়ে তিনি বলেন, "আমি এখনও লোকসভার মেটিরিয়াল নই। এটা মানতে হবে। আমরা পাড়ায় আড্ডা মারা ছেলে। লোকসভায় গেলে তো পাড়ার আড্ডাটা নষ্ট হয়ে যাবে। বিধানসভা ঠিক আছে। চোরেদের বিরুদ্ধে লড়ার আসল জায়গা বিধানসভা, চোরেদের জায়গা তো আর লোকসভায় হয়নি। চোরেদের মুক্ত করতে গেলে আমাদের সবাইকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় লড়তে হবে।"
তাঁর কথায়, "আমাদের জয় ইঙ্গিত হবে সরকার বদলের। তাপস রায় পদত্যাগ করায় একটা সিট কমেছে। বরানগরের মানুষ বিশ্বাস করি আমাকে আশীর্বাদ করবেন। আমি আত্মবিশ্বাসী যথেষ্ট, আমি জিতব। ইট উইল বি আই ওপেনার। মানুষ কতটা পালটাচ্ছে। এটা আর কিছুদিনের মধ্যেই শাসক পক্ষ টের পাবে।" এই নির্বাচনকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি ? এই প্রশ্নের জবাবে সজল বলেন, "আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা উপনির্বাচন। এর ফলে আমরা তিনটি সিট জিতব। দমদমও আমরা জিতব, উত্তর কলকাতা জিতব। পাশাপাশি বরানগরও জিতব। বরানগর বিধানসভা জেতা মানে কলকাতার আশেপাশে খাতা খোলা। আগামিদিনে বিরোধীরা যে শাসকদলের দিকেই যাচ্ছে তা ইঙ্গিত করা।"
বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কী ইস্যুকে সামনে রেখে মানুষের কাছে যাবেন ? উত্তরে সজল বলেন, "কোনও কিছুই ছাড়া হবে না। পুরসভার দুর্নীতি যেমন ইস্যু, তেমনি সন্দেশখালি বিধানসভার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ততটাই ইস্যু চাকরি চুরি। তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে চাকরি চোরদের ভোট দেওয়া তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে পার্থর যে অপা আছে, তার খাটের তলায় যে টাকা পাওয়া তাকে সমর্থন করা। তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে সন্দেশখালির মা-বোনেদের সঙ্গে আত্মসম্মানের সঙ্গে যারা খেলেছে তাদেরকে ভোট দেওয়া। বরানগরের মানুষ অত্যন্ত শিক্ষিত মানুষ।"
আরও পড়ুন: