ETV Bharat / politics

'নিজেকে কী ভাবছেন, হরিদাস পাল ?' দলীয় কর্মীদের বেনজির আক্রমণ মদনের - MADAN MITRA

দলীয় কর্মীদের বেনজির আক্রমণ মদন মিত্রের ৷ তিনি বলেন, 'দলের জার্সি খুলে নিলে আপনাদের তৃণমূল নেতাদের পায়ের তলায় গিয়ে আশ্রয় নিতে হবে ।'

ETV BHARAT
দলের কর্মিসভায় মদন মিত্র (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : June 6, 2025 at 7:23 PM IST

3 Min Read

কামারহাটি, 6 জুন: দলের কর্মিসভায় উপস্থিতি কম ! তা দেখে চটে গিয়ে সভামঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের বেনজির আক্রমণ করে বসলেন কামারহাটির 'গ্ল্যামার' বিধায়ক মদন মিত্র ।

দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "কী ভাবছেন আপনারা নিজেদের ? হরিদাস পাল ! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি 24 ঘণ্টার জন্য ঘোষণা করে দেন, কামারহাটির তৃণমূল দলটা বন্ধ করে দিলাম, তাহলে বাড়িতে থাকতে পারবেন না আপনারা । তৃণমূল নেতাদের পায়ের তলায় গিয়ে আশ্রয় নিতে হবে । বাঁচানোর মতো কোনও বাবা পাশে এসে দাঁড়াবে না । এটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে, আমরা ঘরের কথা জানি না । ঘরের সব কথা জানি ।"

দলীয় কর্মীদের বেনজির আক্রমণ মদনের (নিজস্ব ভিডিয়ো)

কিন্তু, হঠাৎই দলীয় কর্মীদের প্রতি এতটা কেন রেগে গেলেন বিধায়ক মদন মিত্র ? জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কামারহাটির নজরুল মঞ্চে বিধানসভা ভিত্তিক এক রাজনৈতিক কর্মিসভা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের । সেই কর্মিসভায় হাজির ছিলেন বিধানসভায় শাসকদলের মুখ্য সচেতক, বিধায়ক নির্মল ঘোষ, বরানগরের তারকা বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র-সহ দলের অন‍্যান‍্য নেতৃত্ব । সভায় প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী সংখ্যা কম ছিল । আর তাতেই চটে লাল হয়ে যান তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র । বক্তব্য রাখতে গিয়ে তা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি ।

মদনের কথায়, "ছেঁড়া জামা আমি পরতেই পারি । জামার ভিতরের গেঞ্জি ছেঁড়া থাকতেই পারে । কিন্তু, যখন অতিথি আসবে তখন আমরা জামার বোতামটা লাগিয়ে নেব । আমি লক্ষ্য করছিলাম, নান্টু (নির্মল ঘোষ)-দা যখন বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন, তখন অনেকেই সভার মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল । আমি কামারহাটির নেতৃত্বকে বলব, একটা মিটিং ডাকতে । যেখানে প্রতিযোগিতা হবে সভায় কে থাকবে, আর কে থাকবে না ।"

এর পরেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, "কান খুলে শুনে নিন । আমি সব লক্ষ্য রেখেছি, কারা সভাগৃহের উপর থেকে নীচে নেমেছে । বেলঘরিয়া এবং কামারহাটির কতজন সভা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে । আড়িয়াদহের কোন এলাকা থেকে সভায় কম লোক এসেছে । সব জানি । আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, সভায় যাঁরা উপস্থিত রয়েছেন তাঁদের মধ্যে 40 শতাংশ তৃণমূলের দেওয়া চাকরি পেয়েছেন । অনেকেই ভাবতে পারেন, আমি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছি । এজন্য আমার নামে কমপ্লেনও হতে পারে । তা সত্ত্বেও আমি বলব, অবিলম্বে এমএলএ অফিস থেকে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে তিনদিন অন্তর রিপোর্ট নিন । ক'জন করে কর্মী মিটিংয়ে আসছেন সব স্পষ্ট হয়ে যাবে ।মেয়েদের থেকে ছেলেরা সব ক্ষেত্রেই সুযোগ সুবিধা বেশি পেয়েছে । এটা আমি জোর গলায় বলতে পারি ।"

প্রসঙ্গত, স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বরাবর নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন মদন মিত্র । তা করতে গিয়ে কখনও দলীয় কাউন্সিলর, আবার কখনও নিজের দলের সাংসদের ভূমিকা নিয়েও সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে । এদিনও যার ব‍্যতিক্রম ঘটল না । কর্মীদের পাশাপাশি এদিন মদনের রোষের মুখে পড়েছেন দলের কাউন্সিলরও । যা বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে শাসকদলের ।

কামারহাটি, 6 জুন: দলের কর্মিসভায় উপস্থিতি কম ! তা দেখে চটে গিয়ে সভামঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের বেনজির আক্রমণ করে বসলেন কামারহাটির 'গ্ল্যামার' বিধায়ক মদন মিত্র ।

দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "কী ভাবছেন আপনারা নিজেদের ? হরিদাস পাল ! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি 24 ঘণ্টার জন্য ঘোষণা করে দেন, কামারহাটির তৃণমূল দলটা বন্ধ করে দিলাম, তাহলে বাড়িতে থাকতে পারবেন না আপনারা । তৃণমূল নেতাদের পায়ের তলায় গিয়ে আশ্রয় নিতে হবে । বাঁচানোর মতো কোনও বাবা পাশে এসে দাঁড়াবে না । এটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে, আমরা ঘরের কথা জানি না । ঘরের সব কথা জানি ।"

দলীয় কর্মীদের বেনজির আক্রমণ মদনের (নিজস্ব ভিডিয়ো)

কিন্তু, হঠাৎই দলীয় কর্মীদের প্রতি এতটা কেন রেগে গেলেন বিধায়ক মদন মিত্র ? জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কামারহাটির নজরুল মঞ্চে বিধানসভা ভিত্তিক এক রাজনৈতিক কর্মিসভা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের । সেই কর্মিসভায় হাজির ছিলেন বিধানসভায় শাসকদলের মুখ্য সচেতক, বিধায়ক নির্মল ঘোষ, বরানগরের তারকা বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র-সহ দলের অন‍্যান‍্য নেতৃত্ব । সভায় প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী সংখ্যা কম ছিল । আর তাতেই চটে লাল হয়ে যান তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র । বক্তব্য রাখতে গিয়ে তা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি ।

মদনের কথায়, "ছেঁড়া জামা আমি পরতেই পারি । জামার ভিতরের গেঞ্জি ছেঁড়া থাকতেই পারে । কিন্তু, যখন অতিথি আসবে তখন আমরা জামার বোতামটা লাগিয়ে নেব । আমি লক্ষ্য করছিলাম, নান্টু (নির্মল ঘোষ)-দা যখন বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন, তখন অনেকেই সভার মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল । আমি কামারহাটির নেতৃত্বকে বলব, একটা মিটিং ডাকতে । যেখানে প্রতিযোগিতা হবে সভায় কে থাকবে, আর কে থাকবে না ।"

এর পরেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, "কান খুলে শুনে নিন । আমি সব লক্ষ্য রেখেছি, কারা সভাগৃহের উপর থেকে নীচে নেমেছে । বেলঘরিয়া এবং কামারহাটির কতজন সভা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে । আড়িয়াদহের কোন এলাকা থেকে সভায় কম লোক এসেছে । সব জানি । আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, সভায় যাঁরা উপস্থিত রয়েছেন তাঁদের মধ্যে 40 শতাংশ তৃণমূলের দেওয়া চাকরি পেয়েছেন । অনেকেই ভাবতে পারেন, আমি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছি । এজন্য আমার নামে কমপ্লেনও হতে পারে । তা সত্ত্বেও আমি বলব, অবিলম্বে এমএলএ অফিস থেকে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে তিনদিন অন্তর রিপোর্ট নিন । ক'জন করে কর্মী মিটিংয়ে আসছেন সব স্পষ্ট হয়ে যাবে ।মেয়েদের থেকে ছেলেরা সব ক্ষেত্রেই সুযোগ সুবিধা বেশি পেয়েছে । এটা আমি জোর গলায় বলতে পারি ।"

প্রসঙ্গত, স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বরাবর নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন মদন মিত্র । তা করতে গিয়ে কখনও দলীয় কাউন্সিলর, আবার কখনও নিজের দলের সাংসদের ভূমিকা নিয়েও সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে । এদিনও যার ব‍্যতিক্রম ঘটল না । কর্মীদের পাশাপাশি এদিন মদনের রোষের মুখে পড়েছেন দলের কাউন্সিলরও । যা বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে শাসকদলের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.