ETV Bharat / politics

কাজল-কেষ্ট তৃণমূলের রাম-লক্ষ্মণ, মন্তব্য কুণাল ঘোষের - KUNAL GHOSH

কাজল শেখ ও অনুব্রত মণ্ডলের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে যে অভিযোগ ওঠে বারবার, তা নিয়েই একাধিক মন্তব্য করলেন কুণাল ঘোষ ৷

Anubrata Mondal and Kajal Sheikh
অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখ (ফাইল ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : June 9, 2025 at 9:27 PM IST

3 Min Read

কলকাতা, 9 জুন: “কাজল শেখ আর অনুব্রত মণ্ডল রাম-লক্ষ্মণের মতো ৷ ছোট আর বড় ভাই’’, সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ ৷

কাজল-কেষ্টকে নিয়ে তাঁর সংযোজন, ‘‘ছোট ছোট বিষয়ে হয়তো মতপার্থক্য থাকতে পারে ৷ কিন্তু এরা হচ্ছে এক পরিবারের ৷ তৃণমূল একটা পরিবার৷ সেখানে কখনও কখনও ইস্যুভিত্তিক কোনও মতপার্থক্য হতে পারে ৷ কিন্তু নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মাথার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গোটা পার্টি এক ৷”

অনুব্রত-কাজল নিয়ে রাজ্যবাসী এখন চর্চায় ৷ এর জন্য ওই দুই নেতার কার্যকলাপ নয়, তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দায়ী করেছেন সংবাদমাধ্যমকেই ৷ তাঁর দাবি, “বীরভূম জেলা তৃণমূলে কোনও পার্থক্য নেই ৷ তৃণমূল ভারতবর্ষের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল ৷ একটা পরিবারের মতো ৷ পরিবার যখন বড় হয়, তখন মাঝেমধ্যে সদস্যদের মধ্যে ছোটখাটো বিষয়ে ঝগড়া হয়েই থাকে ৷ এক্ষেত্রে ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে মিডিয়ার লোকজন হইচই করে ৷”

Kunal Ghosh
কুণাল ঘোষ (নিজস্ব ছবি)

অনুব্রত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন শুভেন্দু অধিকারীকেও টেনে এনেছেন কুণাল ৷ সংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তাঁর মন্তব্য, “যাত্রা করছে শুভেন্দু অধিকারী ৷ আপনারা শুভেন্দু অধিকারীর ভিডিয়োটি দেখান ৷ যেখানে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে বলছে, আমার জুতোর নীচে থাকে৷ আপনাদের আর্কাইভ, লাইব্রেরিগুলো কি তৃণমূলের জন্য রাখা আছে ? আপনাদের সেই লাইব্রেরিতে এখন শুভেন্দু অধিকারীর পুরনো ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না ?’’

কুণাল আরও বলেন, ‘‘মদন মিত্র আজ, মদন মিত্র গতকাল ৷ অনুব্রত মণ্ডল আজ, অনুব্রত মণ্ডল গতকাল ৷ তাহলে শুভেন্দু অধিকারী আজ, শুভেন্দু অধিকারী গতকাল কেন হবে না ? জঙ্গলকন্যা বীরবাহা হাঁসদার উদ্দেশ্যে কটুক্তি করার পর ক্ষমা পর্যন্ত চাননি শুভেন্দু অধিকারী ৷ অনুব্রত মণ্ডল খারাপ কথা বলার পর তৃণমূল তাঁকে চার ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইয়েছে ৷” এতেই অনেকের প্রশ্ন, বারবার উচ্চারণের অযোগ্য ভাষায় অনুব্রত ব্যক্তিগত আক্রমণ করে গেলেও দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হয়নি কেন, তার উত্তর নেই কুণালের কাছে ৷

এদিন জাতীয় মহিলা কমিশনকেও একহাত নিয়েছেন কুণাল ৷ তিনি বলেন, “উন্নাও, হাথরাস, প্রয়াগরাজের সময় জাতীয় মহিলা কমিশন কোথায় ছিল ? মনিপুরে যায় না কেন ? দিল্লিতে যায় না কেন ? জাতীয় মহিলা কমিশন কেন্দ্রের ৷ বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে ব্যবহার করে ৷ তারা এখন বিভিন্ন নাটক করছে ৷”

কুণাল এদিন বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ বলে কিছু নেই ৷ যদি থাকে তবে তার জন্য দায়ী বিএসএফ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (অমিত শাহ) ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কখনও সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধে কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করেননি ৷ আগে সীমান্তের 15 কিলোমিটার দূর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা দেখতে পারত বিএসএফ ৷ কেন্দ্রীয় সরকার সেই আইন সংশোধন করে 15 কিলোমিটার থেকে ওই দূরত্ব 50 কিলোমিটার করেছে ৷ রাজ্য সরকার এই এলাকায় কাজ করে না ৷ ফলে অনুপ্রবেশ হয়ে থাকলে তার দায়ও কেন্দ্রের ৷”

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, 2026 সালে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের পতন হবে ৷ এই প্রসঙ্গে কুণালের প্রতিক্রিয়া, “তামিলনাডুতে বসে থাকা একজন বলছেন, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গঠন করবেন ৷ তাঁদের সেই স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না ৷ অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদি এর আগেও অনেক ফাঁপা দাবি করেছেন ৷ এবার পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির গ্যারান্টি বাজেয়াপ্ত হবে ৷”

আরও পড়ুন -

  1. দলের জেলা সভাপতিদের তলব সুব্রত বক্সির, ডাক বীরভূম কোর কমিটিকে
  2. স্বমহিমায় দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে অনুব্রত, দেখুন অডিও বিতর্কের ঘটনাক্রম
  3. 'নেতৃত্বহীনতায় ভুগছি !' কাজলের শরণে অনুব্রত অনুগামীরা, সাঁইথিয়ায় ভাঙন তৃণমূলে

কলকাতা, 9 জুন: “কাজল শেখ আর অনুব্রত মণ্ডল রাম-লক্ষ্মণের মতো ৷ ছোট আর বড় ভাই’’, সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ ৷

কাজল-কেষ্টকে নিয়ে তাঁর সংযোজন, ‘‘ছোট ছোট বিষয়ে হয়তো মতপার্থক্য থাকতে পারে ৷ কিন্তু এরা হচ্ছে এক পরিবারের ৷ তৃণমূল একটা পরিবার৷ সেখানে কখনও কখনও ইস্যুভিত্তিক কোনও মতপার্থক্য হতে পারে ৷ কিন্তু নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মাথার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গোটা পার্টি এক ৷”

অনুব্রত-কাজল নিয়ে রাজ্যবাসী এখন চর্চায় ৷ এর জন্য ওই দুই নেতার কার্যকলাপ নয়, তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দায়ী করেছেন সংবাদমাধ্যমকেই ৷ তাঁর দাবি, “বীরভূম জেলা তৃণমূলে কোনও পার্থক্য নেই ৷ তৃণমূল ভারতবর্ষের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল ৷ একটা পরিবারের মতো ৷ পরিবার যখন বড় হয়, তখন মাঝেমধ্যে সদস্যদের মধ্যে ছোটখাটো বিষয়ে ঝগড়া হয়েই থাকে ৷ এক্ষেত্রে ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে মিডিয়ার লোকজন হইচই করে ৷”

Kunal Ghosh
কুণাল ঘোষ (নিজস্ব ছবি)

অনুব্রত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন শুভেন্দু অধিকারীকেও টেনে এনেছেন কুণাল ৷ সংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তাঁর মন্তব্য, “যাত্রা করছে শুভেন্দু অধিকারী ৷ আপনারা শুভেন্দু অধিকারীর ভিডিয়োটি দেখান ৷ যেখানে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে বলছে, আমার জুতোর নীচে থাকে৷ আপনাদের আর্কাইভ, লাইব্রেরিগুলো কি তৃণমূলের জন্য রাখা আছে ? আপনাদের সেই লাইব্রেরিতে এখন শুভেন্দু অধিকারীর পুরনো ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না ?’’

কুণাল আরও বলেন, ‘‘মদন মিত্র আজ, মদন মিত্র গতকাল ৷ অনুব্রত মণ্ডল আজ, অনুব্রত মণ্ডল গতকাল ৷ তাহলে শুভেন্দু অধিকারী আজ, শুভেন্দু অধিকারী গতকাল কেন হবে না ? জঙ্গলকন্যা বীরবাহা হাঁসদার উদ্দেশ্যে কটুক্তি করার পর ক্ষমা পর্যন্ত চাননি শুভেন্দু অধিকারী ৷ অনুব্রত মণ্ডল খারাপ কথা বলার পর তৃণমূল তাঁকে চার ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইয়েছে ৷” এতেই অনেকের প্রশ্ন, বারবার উচ্চারণের অযোগ্য ভাষায় অনুব্রত ব্যক্তিগত আক্রমণ করে গেলেও দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হয়নি কেন, তার উত্তর নেই কুণালের কাছে ৷

এদিন জাতীয় মহিলা কমিশনকেও একহাত নিয়েছেন কুণাল ৷ তিনি বলেন, “উন্নাও, হাথরাস, প্রয়াগরাজের সময় জাতীয় মহিলা কমিশন কোথায় ছিল ? মনিপুরে যায় না কেন ? দিল্লিতে যায় না কেন ? জাতীয় মহিলা কমিশন কেন্দ্রের ৷ বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে ব্যবহার করে ৷ তারা এখন বিভিন্ন নাটক করছে ৷”

কুণাল এদিন বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ বলে কিছু নেই ৷ যদি থাকে তবে তার জন্য দায়ী বিএসএফ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (অমিত শাহ) ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কখনও সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধে কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করেননি ৷ আগে সীমান্তের 15 কিলোমিটার দূর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা দেখতে পারত বিএসএফ ৷ কেন্দ্রীয় সরকার সেই আইন সংশোধন করে 15 কিলোমিটার থেকে ওই দূরত্ব 50 কিলোমিটার করেছে ৷ রাজ্য সরকার এই এলাকায় কাজ করে না ৷ ফলে অনুপ্রবেশ হয়ে থাকলে তার দায়ও কেন্দ্রের ৷”

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, 2026 সালে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের পতন হবে ৷ এই প্রসঙ্গে কুণালের প্রতিক্রিয়া, “তামিলনাডুতে বসে থাকা একজন বলছেন, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গঠন করবেন ৷ তাঁদের সেই স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না ৷ অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদি এর আগেও অনেক ফাঁপা দাবি করেছেন ৷ এবার পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির গ্যারান্টি বাজেয়াপ্ত হবে ৷”

আরও পড়ুন -

  1. দলের জেলা সভাপতিদের তলব সুব্রত বক্সির, ডাক বীরভূম কোর কমিটিকে
  2. স্বমহিমায় দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে অনুব্রত, দেখুন অডিও বিতর্কের ঘটনাক্রম
  3. 'নেতৃত্বহীনতায় ভুগছি !' কাজলের শরণে অনুব্রত অনুগামীরা, সাঁইথিয়ায় ভাঙন তৃণমূলে
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.