ETV Bharat / politics

লোকসভার আগে 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব' মেটাতেই পশ্চিম বর্ধমানে জরুরি বৈঠক মমতার ?

Mamata in Durgapur: লোকসভা নির্বাচনের আগে দলে 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব' মেটাতেই কি পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ? প্রতিবেদনটি পড়ুন ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 27, 2024, 10:03 AM IST

Updated : Feb 27, 2024, 5:53 PM IST

ETV BHARAT
ETV BHARAT
লোকসভার আগে 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব' মেটাতেই পশ্চিম বর্ধমানে জরুরি বৈঠক মমতার ?

দুর্গাপুর, 26 ফেব্রুয়ারি: লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন বাকি ৷ তার আগে পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মন্ত্রী মলয় ঘটক ঘনিষ্ঠ ও তাঁর বিরোধী - এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে 'কাজিয়া' থামাতে উদ্যোগী নেত্রী ৷ সেই কারণে সোমবারের বৈঠকে অরূপ বিশ্বাসকে সামনে রেখে কোর কমিটি গঠন করার কথা বললেন মমতা । কিন্তু তারপরও কাজিয়া থামেনি বলে অভিযোগ ।

বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলা সফরে যাওয়ার আগের দিন সোমবার বিকেল পাঁচটা বেজে দশ মিনিটে অন্ডাল বিমানবন্দরে বিশেষ বিমানে এসে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তড়িঘড়ি সড়কপথে তিনি দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে সার্কিট হাউসে আসেন । সার্কিট হাউসে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢোকার পরেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও মন্ত্রী মলয় ঘটক, আড্ডার চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান কবি দত্ত, পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-সহ দলীয় বিধায়করা এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির অভিজিৎ ঘটকদের ঢুকতে দেখা যায় ।

সূত্র মারফত জানা যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু কেন এই বৈঠক ? কেন তড়িঘড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করা প্রয়োজন হয়ে পড়ল নেত্রীর ? রাজনৈতিক মহলের দাবি, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মূলত শাসকদল আড়াআড়ি ভাবে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে । মন্ত্রী 'মলয় ঘটক ঘনিষ্ঠ' একটি গোষ্ঠী এবং অন্যদিকে 'মলয় ঘটক বিরোধী' একটি শিবির । আর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই জেলায় শাসক দলের 'কাঁটা' দুই শিবিরের দ্বন্দ্ব ।

সূত্র মারফত খবর, কারা কারা বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখছেন সেই বিষয়ে বৈঠকে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । উল্লেখ্য, এর আগেও কলকাতায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই একই ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন । এ দিন প্রায় 18 মিনিট ধরে এই বৈঠক চলে ।

মন্ত্রী মলয় ঘটক শুধু বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন, তাই আমরা দেখা করতে এসেছিলাম ।" জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকেও দেখা যায় দ্রুত গাড়িতে করে রওনা দিতে ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইন্দ্রনীল সেন, প্রদীপ মজুমদার ও মলয় ঘটক । তবে পশ্চিম বর্ধমান জেলাজুড়ে আজ ফের প্রশ্ন উঠল, তাহলে কি সত্য়িই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে এই জেলার কোনও হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা সম্পর্ক রাখছেন ? ভোটের আগে জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর জন্যই কি উদ্যোগী হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ?

আরও পড়ুন:

  1. 'সাংসদ আলুওয়ালিয়া নিখোঁজ', বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে 'লড়াকু' অগ্নিমিত্রাকে প্রার্থী চাইছে বিজেপির একাংশ
  2. ডিভিসির পর বাধার মুখে ডিএসপি, শিল্পনগরীতেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে শিল্পের ভবিষ্যত
  3. সন্দেশখালি যেতে বাধা, সায়েন্স সিটির কাছেই গ্রেফতার নওশাদ সিদ্দিকী

লোকসভার আগে 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব' মেটাতেই পশ্চিম বর্ধমানে জরুরি বৈঠক মমতার ?

দুর্গাপুর, 26 ফেব্রুয়ারি: লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন বাকি ৷ তার আগে পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মন্ত্রী মলয় ঘটক ঘনিষ্ঠ ও তাঁর বিরোধী - এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে 'কাজিয়া' থামাতে উদ্যোগী নেত্রী ৷ সেই কারণে সোমবারের বৈঠকে অরূপ বিশ্বাসকে সামনে রেখে কোর কমিটি গঠন করার কথা বললেন মমতা । কিন্তু তারপরও কাজিয়া থামেনি বলে অভিযোগ ।

বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলা সফরে যাওয়ার আগের দিন সোমবার বিকেল পাঁচটা বেজে দশ মিনিটে অন্ডাল বিমানবন্দরে বিশেষ বিমানে এসে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তড়িঘড়ি সড়কপথে তিনি দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে সার্কিট হাউসে আসেন । সার্কিট হাউসে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢোকার পরেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও মন্ত্রী মলয় ঘটক, আড্ডার চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান কবি দত্ত, পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-সহ দলীয় বিধায়করা এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির অভিজিৎ ঘটকদের ঢুকতে দেখা যায় ।

সূত্র মারফত জানা যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু কেন এই বৈঠক ? কেন তড়িঘড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করা প্রয়োজন হয়ে পড়ল নেত্রীর ? রাজনৈতিক মহলের দাবি, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মূলত শাসকদল আড়াআড়ি ভাবে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে । মন্ত্রী 'মলয় ঘটক ঘনিষ্ঠ' একটি গোষ্ঠী এবং অন্যদিকে 'মলয় ঘটক বিরোধী' একটি শিবির । আর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই জেলায় শাসক দলের 'কাঁটা' দুই শিবিরের দ্বন্দ্ব ।

সূত্র মারফত খবর, কারা কারা বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখছেন সেই বিষয়ে বৈঠকে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । উল্লেখ্য, এর আগেও কলকাতায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই একই ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন । এ দিন প্রায় 18 মিনিট ধরে এই বৈঠক চলে ।

মন্ত্রী মলয় ঘটক শুধু বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন, তাই আমরা দেখা করতে এসেছিলাম ।" জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকেও দেখা যায় দ্রুত গাড়িতে করে রওনা দিতে ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইন্দ্রনীল সেন, প্রদীপ মজুমদার ও মলয় ঘটক । তবে পশ্চিম বর্ধমান জেলাজুড়ে আজ ফের প্রশ্ন উঠল, তাহলে কি সত্য়িই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে এই জেলার কোনও হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা সম্পর্ক রাখছেন ? ভোটের আগে জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর জন্যই কি উদ্যোগী হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ?

আরও পড়ুন:

  1. 'সাংসদ আলুওয়ালিয়া নিখোঁজ', বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে 'লড়াকু' অগ্নিমিত্রাকে প্রার্থী চাইছে বিজেপির একাংশ
  2. ডিভিসির পর বাধার মুখে ডিএসপি, শিল্পনগরীতেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে শিল্পের ভবিষ্যত
  3. সন্দেশখালি যেতে বাধা, সায়েন্স সিটির কাছেই গ্রেফতার নওশাদ সিদ্দিকী
Last Updated : Feb 27, 2024, 5:53 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.